বৃহস্পতিবার ● ১৬ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » রাজশাহী বিভাগ » তাড়াশ ডিগ্রি কলেজে প্রবেশপত্রের জন্য অর্থ আদায়ের অভিযোগ
তাড়াশ ডিগ্রি কলেজে প্রবেশপত্রের জন্য অর্থ আদায়ের অভিযোগ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :: (২ অগ্রহায়ণ ১৪২৪ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৩৮মি.) সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি ২য় বর্ষের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে বকেয়া কেন্দ্র ফির কথা বলে নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রবেশপত্র সংগ্রহের সময় ৪৫০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সিরাজগঞ্জ জেলা শিক্ষা মো. শফীউল্লাহ বলেন,ফরম পূরণের সময় কেন্দ্র ফিসহ যাবতীয় পাওনা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হয়ে থাকে। প্রবেশপত্র বাবদ অর্থ আদায় করা সম্পূর্ণ বেআইনি। এখন কেন টাকা আদায় করা হচ্ছে, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কলেজ ও শিক্ষার্থী সূত্র জানায়, আগামী শনিবার ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া ডিগ্রি ২য় বর্ষ পরীক্ষায় কলেজটি থেকে মানবিক বিভাগ, বিজ্ঞান বিভাগ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের মোট ১৮৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার কলেজের শিক্ষক ও অফিস সহকারী অফিস কক্ষে বসে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রবেশপত্র বিতরণ করেছেন। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে বকেয়া কেন্দ্র ফির কথা বলে ৪৫০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। প্রবেশপত্রে ‘বকেয়া পাওনা’ লিখে রসিদ দিয়ে এ টাকা আদায় করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ডিগ্রি পরীক্ষার্থী টাকা দিয়ে প্রবেশপত্র নিয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্তত অর্ধশতাধিক পরীক্ষার্থী বলে, ‘ফরম পূরণের সময় যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করেছি। বকেয়া না থাকলেও কেন্দ্র ফির কথা মুখে বলে কৌশলে রসিদের মধ্যে বকেয়া পাওনা লিখে প্রবেশপত্র নেওয়ার সময় টাকা আদায় করা হচ্ছে। সামনে পরীক্ষা চলে এসেছে। তাই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারি, ভেবে নিরুপায় হয়ে ৪৫০ টাকা করে দিয়ে প্রবেশপত্র নিয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।’
কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি বলেন, ফরম পূরণের সময় কলেজের সব পরীক্ষার্থীরই কেন্দ্র ফি বকেয়া ছিল। নিয়ম অনুযায়ী ফরম পূরণের সময়ে এ টাকা আদায় করার কথা ছিল। এখন তো আর কেন্দ্র ফি আদায় করা যাবে না। তাই রসিদে বকেয়া কেন্দ্র ফি পাওনা লিখে ৪৫০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসএম ফেরদৌস ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।