মঙ্গলবার ● ২১ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » পিএসসি শিক্ষার্থী পরীক্ষার কেন্দ্রের ৩০জন ইবতেদায়ী প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে হয়
পিএসসি শিক্ষার্থী পরীক্ষার কেন্দ্রের ৩০জন ইবতেদায়ী প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে হয়
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: (৭অগ্রহায়ণ ১৪২৪ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় রাত ১.৫৭মি.) গতকাল ১৯ নভেম্বর দেশব্যাপি ন্যায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মানিকছড়ি উপজেলাতে পিএসসি ও ইবতেদায়ীর সমাপনী পরীক্ষার প্রথম দিনে অনুষ্ঠিত ইংরেজি পরীক্ষায় কেন্দ্রের একটি কক্ষে ৩০ জন পিএসসি শিক্ষার্থীকে ইবতেদায়ীর প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে হয়েছে।
মানিকছড়ি উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা শুভাশীষ বড়ুয়া বিষয়টি গোপন রেখে শিক্ষার্থীদের পাস করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও শেষ পর্যন্ত এটি প্রকাশ হওয়ায় অভিভাবক মহলে তোলপাড়সহ প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী,অভিভাবক, সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষক সূত্রে জানা গেছে, মানিকছড়ি উপজেলার ৬টি কেন্দ্রে পিএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮৭৭জন। এর মধ্যে ছাত্র-৮৪৭জন, ছাত্রী- ১০৩০জন। অন্যদিকে ইবতেদায়ী কেন্দ্র ৩টি। পরীক্ষার্থীরসংখ্যা ৬৮ জন। এর মধ্যে ছাত্র-৩৮ জন,ছাত্রী ৩০জন।
উপজেলা সদরস্থ‘রাণী নিহার দেবী সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়’ পিএসসি কেন্দ্রের ১১২ নং কক্ষের ৩০ জন শিক্ষার্থী যথাক্রমে রাজবাড়ী মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১২জন, কারিতাস আলোঘর প্রকল্পের আওতায় দক্ষিণ হাফছড়ি পাড়া শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের ১০জন ও মুসলিমপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮জন শিক্ষার্থীর মাঝে ইবতেদায়ীর ইংরেজি প্রশ্ন বিতরণ করেন পর্যবেক্ষকরা!
এতে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন কমন নয় বলে প্রতিবাদ করলেও তাতে কর্ণপাত করেনি পর্যবেক্ষকরা! ফলে মাদ্রারসা প্রশ্নেই পরীক্ষা দিতে হয়েছে পিএসপি সমাপনীর ৩০জন পরীক্ষার্থীকে।
এদিকে বিষয়টি জানাজানির পর উপজেলা প্রাথমিক ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা শুভাশীষ বড়ুয়া ও কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত সরকারি অফিসার উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহমুদুল হক বিষয়টি এড়িয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পাস করিয়ে দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েই ক্ষান্ত হন! তাঁরা সাংবাদিকদের জানান অসাবধানতাবশত এমন ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে সোমবার ২০ নভেম্বর সকালে ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষে মো. আবদুল আলীম ও সুঁচিংপ্রু মারমা নামক জনৈক শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বিষয়টি আমলে নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাসহ পরবর্তী করণীয়ের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মানিকছড়ি বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অ.দা) মো. জাহিদ ইকবাল বলেন, কেন্দ্রে এমন ঘটনার পরও কেন্দ্র সচিব,ভারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, হল সুপার,এমনকি কোন অভিভাবকও বিষয়টি প্রশাসনকে জানায়নি। আজ যেহেতু বিষয়টি জেনেছি,তাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।