মঙ্গলবার ● ২১ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » ঝুকিপুর্ণ বিদ্যালয়ে চলছে শিশুদের পাঠদান
ঝুকিপুর্ণ বিদ্যালয়ে চলছে শিশুদের পাঠদান
সিলেট প্রতিনিধি :: (৭ অগ্রহায়ন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.১৯ মি.) সিলেটের গোলাপঞ্জ উপজেলার লক্ষনাবন্দ ইউপি’র ১নং ফুলসাইন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে করুন দশায় ভুগছে। তবুও ঝুকিপুর্ণ এই বিদ্যালয়েই চলছে পাঠদান। এছাড়া ১৪ বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক চলছে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম।সরেজমিন বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায়, ১৯৩১ সালে ১২৯ শতকের বিশাল জমির উপর প্রতিষ্ঠিত দুটি ভবনে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে। তাও আবার একটি কাচা টিন সেটের ঘর।বৃষ্টি মৌসুম এলেই টিন সেটের শ্রেনি কক্ষে পানি পড়ে। বিদ্যালয়ের চতুর্দিকে নেই কোন বাউন্ডারী দেয়াল , নেই কোন গেট। এবং নেই পর্যাপ্ত পরিমান ব্রেঞ্চ, ছাত্র ছাত্রিদের গাদাগাদি করে বসতে হয়। শ্রেণী কক্ষের কয়েকটি জানালা ভেংগে গেছে।
তাছাড়া ১নং ফুলসাইন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পুরনো ভবনের উপরের টিন সেটের কাঠ ভেংগে যাওয়ায় কারনে অভিবাবকরা আতংকে মধ্যে রয়েছেন। কারন যে কোন সময় শিক্ষার্থীদের উপড়ে কাঠ ভেংগে পড়ে যেতে পারে। বিদ্যালয়টিতে ৩০০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়টি প্রাথমিকে শতভাগ সাফল্য অর্জন করে আসছে।
এদিকে ২০০৩ সাল থেকে প্রধান শিক্ষক বিহিন চলছে, দীর্ঘ ১৪টি বছর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে শিক্ষার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিক রশেন্দ্র কুমার দাশ বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান সমস্যা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জন্য বসার বেঞ্চ।আমরা ক্লাসে গাদাগাদি করে বসিয়ে ছাত্র ছাত্রিদের পাঠদান করাচ্ছি। ফলে লেখাপড়া করতে বাচ্ছাদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়।
এছাড়া বিদ্যালয়ে বাউন্ডারী না থাকার ফলে বিদ্যালয়ে লাগানো বিভিন্ন ফলের চারাগাছ গরু ছাগল খেয়ে ফেলে। বর্তমানে খুবই আতংকে মধ্যে রয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। কারণ বিদ্যালয়ের টিন সেটের ঘরটি অনেক পুরুনো হওয়ায় ছাদের কাঠ ভেংগে পড়ে যাচ্ছে যেকোন সময় কাঠ পড়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, ১৯৩১ সালে স্থাপিত বিদ্যালয়টির করুন দশায় ভুগছে। বিদ্যালয়ের প্রধান সমাস্যা হচ্ছে ঝুকিপুর্ণ ভবন। পুরনো ঘর হওয়ায় ছাদের উপর কাঠ ভেংগে পড়ে যাচ্ছে যা খবই ঝুকিতে ক্লাস করানো হচ্ছে।
এছাড়া বিদ্যালয়ে বাউন্ডারি না থাকায় বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে এবং দির্ঘ ১৪বছর থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিক্ষার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন । ২০১৪ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে একটি ভবন নির্মানের আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাস আস্বাসের মাধ্যেই রয়েছে। তাই আমি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি ভবন নির্মান এবং স্থায়ী একজন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হোক।
এদিকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য লায়েক আহমদ বলেন, ঐতিহ্যবাহী ১নং ফুলসাইন্দ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নানা সমস্যা সমাধান ও চতুর্থ দিকে বাউন্ডারী দেয়াল স্থাপন ও একটি ভবন নির্মাণ করার জন্য উর্দধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।