মঙ্গলবার ● ২১ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » ঈশ্বরগঞ্জে কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো.শহীদুল্লাহ্ আয়াকে ধর্ষণ চেষ্টা
ঈশ্বরগঞ্জে কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো.শহীদুল্লাহ্ আয়াকে ধর্ষণ চেষ্টা
স্টাফ রিপোর্টার,ঈশ্বরগঞ্জ :: (৭ অগ্রহায়ন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.১৭ মি.) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ডিএস কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো.শহীদুল্লাহ্ বিরুদ্ধে ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আয়াকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে । এ ঘটনার বিচার চেয়ে অাজ ২১ নভেম্বর মঙ্গলবার বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বিক্ষোভ শেষে অধ্যক্ষের মোটর সাইকেল ভাংচুর ও অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখে । খবর পেয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণ আনে ।
এ সময় উপজেলা মহিলা পরিষদের সভানেত্রী মায়া রানি সরকার ও সাধারণ সম্পাদিকা আনোয়ারা পারভীন বীনা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ।
সরেজমিন পরিদর্শনকালে জানা গেছে , গত বুধবার আয়াকে (১৫ নভেম্বর) সকালে বাড়ি থেকে অধ্যক্ষ শহীদুল্লাহ তাড়াতাড়ি মাদ্রাসায় আসতে বলেন । মাদ্রাসায় আসার পর উপস্থিত একমাত্র দপ্তরি ভুলু মিয়াকে অধ্যক্ষ স্যালাইন আনতে বাজারে পাঠান । পরে অধ্যক্ষ আয়াকে পাশের ভবনের দোতলায় ঝাড়– দেওয়ার জন্য বলে । পরে নির্জনতার সুযোগে ঝাড়– দেওয়ার সময় অধ্যক্ষ আয়াকে কুপ্রস্তাব দেয় । আয়া প্রস্তাবে রাজি না হলে জোরপুর্বক জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে । এসময় আয়া চিৎকারের ভয় দেখালে অধ্যক্ষ বিষয়টি প্রকাশ না করার জন্য আয়ার পা ধরে ক্ষমা চান। পরে দোতলা থেকে নেমে আসার পর আয়ার সাথে দপ্তরি ভুলু মিয়ার সাথে দেখা হলে ঘটনাটি খুলে বলেন । ভুলু মিয়া প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে আয়াকে বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন । জেডিসি পরীক্ষার কারণে মাদ্রাসা বন্ধ থাকার পর গত সোমবার (২০ নভেম্বর) মাদ্রাসা খোলার পর বিষয়টি মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য, শিক্ষক ও এলাকাবাসীকে জানালে এনিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয় ।
ভুক্তভোগী আয়া (৪০) জানান, অধ্যক্ষ শহীদুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে আমাকে কুপ্রস্তাবের পাশাপাশি বিভিন্ন আর্থিক সুবিধার প্রস্তাব দিয়ে আসছিল । গত ঈদের আগেও তার খালি বাসায় আমাকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তখন আমি অধ্যক্ষের পা ধরে ক্ষমা চেয়ে কোনোরকমে বাসা থেকে বের হয়ে আসি । অধ্যক্ষ বিষয়টি গোপন না রাখলে মাদ্রাসা থেকে প্রাপ্ত সকল সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয় ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ মো. শহীদুল্লাহ তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলম খান জানান বিষয়টি আমি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, এ ঘটনায় অধ্যক্ষ দোষী প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে ।