মঙ্গলবার ● ২৮ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » আত্রাইয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ
আত্রাইয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ
নওগাঁ প্রতিনিধি :: (১৪ অগ্রহায়ন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৮.৩৪মি.) নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভবানীপুর জিএস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে রাতের আঁধারে প্রায় ৬০-৭০ মণ পরিত্যাক্ত সরকারি বই বিক্রয় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিন্তু বই বিক্রয়ের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান।
স্থানীয়রা জানান, ভবানীপুর বাজারে একাধিক বই ক্রয় করার দোকানদার রয়েছেন। প্রধান শিক্ষক গোপনে এই বইগুলো বিক্রয় করার জন্য বাজারের এক বই ক্রেতার সঙ্গে প্রথমে আতাত করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক সেই ক্রেতার কাছে বইগুলো বিক্রয় না করে বেশি লাভের আশায় বাজারের অমর ডেকোরেটরের দোকানে রিপন নামের অপর এক বই ক্রেতার কাছে বইগুলো বিক্রয় করেন। এতে আগের বই ক্রেতা ক্ষুদ্ধ হয়ে এই বই বিক্রয় করার ঘটনাটি বাজারে ফাঁস করে দেন। আর এরপর থেকে এই বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চলছে কানাঘোসা।
সূত্রে জানা, গত শুক্রবার (২৪নভেম্বর) দিবাগত রাত অনুমান ৩টার সময় বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আহম্মদ আলীর নেতৃত্বে ও বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী আমান সরদারের সহযোগিতায় ভটভটি যোগে ভবানীপুর বাজারের ভাঙ্গরী জিনিস বিক্রেতা খন্দকার রিপনের কাছে গড়ে ২০টাকা কেজি দওে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ মণ বই বিক্রয় করেন। এতে অনুমান প্রায় ৬০ থেকে ৭০হাজার টাকার বই বিক্রয় করেছেন প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান। বাজারের স্থানীয় কিছু লোকজন বিষয়টি বুঝতে পারেন। এরপর থেকে ওই এলাকায় এই বিষয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। এক পর্যায়ে বই বহনকারী ভটভটি চালক মির্জাপুর গ্রামের আব্দুল মজিদ বিষয়টি স্বীকার করেন। এরপর স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে আমার প্রতিষ্ঠানের বই আমি বিক্রয় করেছি তাতে অন্যের কী।
স্থানীয় ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন বিষয়টি আমার কানে আসার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় কিছু গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে বিষয়টি জানার জন্য যাই। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরন করে বলেন যে আমার প্রতিষ্ঠানের বই আমি বিক্রয় করেছি তাতে অন্যের কী। তিনি আরো জানান আমরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তর মুলক শাস্তি চাই।
এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: মাহবুুব রহমান জানান, এটা সম্পন্ন মিথ্যে ও বানোয়াট। সমাজে আমার মান ক্ষুন্ন করার জন্য একটি মহল এই মিথ্যে গুজব প্রচার করেছে।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো: আব্দুল মজিদ মৃধা (গোলাপ) জানান, বিষয়টি সম্পন্ন মিথ্যে। বিদ্যালয়ের মান ক্ষুন্ন করার জন্য একটি মহল এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলাম জানান, প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা বিগত সালের পুরাতন বই বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য কিংবা অন্যান্য শিক্ষকদের সহযোগিতায় বিক্রয় করতে পারেন। এই বিষযটি তার আওতার মধ্যে পড়ে না। তবে রাতের আাঁধারে বই বিক্রয় করার বিষয়ে এই কর্মকর্তা কোন মন্তব্য করতে রাজি নন।