বৃহস্পতিবার ● ৩০ নভেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » শাজনীন হত্যা: কাশিমপুরে কারাগারে শহীদের ফাঁসি
শাজনীন হত্যা: কাশিমপুরে কারাগারে শহীদের ফাঁসি
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি ::(১৬ অগ্রহায়ন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১২.১৫ মি.) রাজধানীর গুলশানের নিজ বাড়িতে শিল্পপতি লতিফুর রহমানের মেয়ে শাজনীন তাসনিম রহমানকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
২৯ নভেম্বর বুধবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে গাজীপুরের কাশিমপুরে হাই সিকিউরিটি কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান জেল গেটে সাংবাদিকদের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এসময় গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাহেনুল ইসলাম, কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, গাজীপুরের সিভিল সার্জন ডা. সৈয়দ মো. মঞ্জুরুল হক ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুপুরে শহীদের মা, ছোট ভাই মহিদুল ও তার স্ত্রী এবং খালাত বোন কারাগারে এসে শহীদের সঙ্গে দেখা করে গেছেন।
ট্রান্সকম গ্রুপের মালিক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী লতিফুর রহমানের মেয়ে স্কলাস্টিকা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী শাজনীন তাসনিম রহমান ১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে গুলশানের নিজ বাড়িতে খুন হন। মামলায় ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল শাজনীনকে ধর্ষণ ও খুনের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতার দায়ে তাদের বাড়ির সংস্কার কাজের দায়িত্বে নিয়োজিত ঠিকাদার সৈয়দ সাজ্জাদ মইনুদ্দিন হাসান ও গৃহপরিচারক শহীদুল ইসলাম শহীদসহ ৬জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
অপর চার আসামি হলেন- ঠিকাদার হাসানের সহকারী বাদল, গৃহপরিচারিকা দুই বোন এস্তেমা খাতুন (মিনু) ও তার বোন পারভীন এবং কাঠমিস্ত্রি শনিরাম মন্ডল। পরে ওই বছর আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) মামলার নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এরপর মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন। ২০০৬ সালের ১০ জুলাই ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর এক আসামি শনিরাম মন্ডলকে খালাস দেন।
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২৬ এপ্রিল আপিল বিভাগ চার আসামি হাসান, বাদল, মিনু ও পারভীনের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) মঞ্জুর করেন। পরে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অপর আসামি শহীদুল জেল আপিল করেন। সাত বছর পর ২০১৬ সালের ২৯ মার্চ ওই আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়।
গত বছরের ২ আগস্ট আপিল বিভাগ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পাঁচ আসামির মধ্যে শহীদের সাজা বহাল রেখে অপর চারজনকে খালাস দেওয়া হয়। পরে শহীদ রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করেন। চলতি বছরের ৫ মার্চ প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ রবিবার শুনানি শেষে রিভিউ আবেদন খারিজ করেন।