শুক্রবার ● ১ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » মায়ানমার সেনাবাহিনীর তান্ডবে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছে শানরাজ্যর বাসিন্দারা
মায়ানমার সেনাবাহিনীর তান্ডবে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছে শানরাজ্যর বাসিন্দারা
অনলাইন ডিজিটাল ডেস্ক :: (১৭ অগ্রহায়ন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.০৭ মি.) মায়ানমারের বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির সাথে মায়ানমার সেনাবাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সেনাবাহিনীর তান্ডব থেকে বাঁচতে আরাকান সংলগ্ন শানজ্যের বাসিন্দারা দলে দলে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিচ্ছে। ভারতে দৈনিক দ্যা হিন্দু এক প্রতিবেদনে বলছে শান রাজ্যে নতুন করে ছড়িয়ে পড়া এ সংঘর্ষে শান রাজ্যের বাসিন্দারা ভারতে ঢুকে পরছে। রোহিঙ্গ্যা সংকটে বিধ্বস্ত আরাকান প্রদেশে লাগোয়া শান প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলের পলোয়া এলাকায় আরাকান আর্মি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে কয়েকশত মানুষ বাস্তচ্যুত হয়েছে। ভারতে ঢুকে পরা মায়ানমারের এই নাগরিকরা বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারী। তারা দক্ষিণ মিজোরামের নাগরিকদের মত আদিবাসী ভাষায় কথা বলেন।
মিজোরামের লুঙলেই জেলার এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দ্যা হিন্দু বলছে শানরাজ্যর অস্থিতিশীলতায় মায়ানমার এই নাগরিকরা ভারতে ঢুকে পরার ঘটনা গত কিছু দিনের মধ্যে চারবার ঘটলো। রোহিঙ্গ্যা অধ্যুষিত আরাকানে সেনাবাহিনীর অভিযানে আন্তর্জাতিক সমালোচনার মূখে রয়েছে বার্মা। এরই মাঝে আরাকান আর্মির সদস্যদের সাথে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে মায়ানমার থেকে শতশত মনুষ ভারতে পালিয়ে যাচ্ছে। গত ২৫ আগষ্ট আরাকানে ক্লিয়ারেন্স অপারেশনের নামে রোহিঙ্গ্যা গণহত্যা শুরু করে প্রায় ৫ হাজার রোহিঙ্গ্যা হত্যা করে সেনাবাহিনী। অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬ লক্ষাধিক রোহিঙ্গ্যা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে সৈন্যরা। দ্যা হিন্দু তার প্রতিবেদনে বলছে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার তিন শত মানুষ শান রাজ্য থেকে ভারতে ঢুকে পরেছে। ভারতের দক্ষিণের প্রদেশ মিজোরামের চারটি পর্বত অঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রামে পালিয়ে যাওয়া নারী শিশূ ও পুরুষরা আশ্রয় নিয়েছে। মিজোরামে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মায়ানমার থেকে পালিয়ে যাওয়া আশ্রয় প্রার্থীদের ত্রাণ সরবরাহ করেছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে পলোয়া এলাকায় আরাকান আর্মির সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে মায়ানমার সেনাবাহিনীর অন্তত ১১ সদস্য নিহত ও ১৪ জন আহত হয়। বলাবাহুল্য মায়ানমার সেনাবাহিনীর দমন পীড়নের মুখে বিভিন্ন রাজ্যে পৃথক পৃথক বিদ্রোহী সংগঠন গড়ে উঠেছে। আরাকান আর্মি সেরকম একটি বৌদ্ধ বিদ্রোহী গোষ্ঠী যা ২০০৯ সালে গঠিত হয়।