মঙ্গলবার ● ৫ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » মহালছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের জায়গা বেদখলের চেষ্টা
মহালছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের জায়গা বেদখলের চেষ্টা
মহালছড়ি প্রতিনিধি :: (২১ অগ্রহায়ন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.২২মি.) খাগড়াছড়ি জেলায় মহালছড়ি উপজেলার মহালছড়ি টেকনিক্যাল স্কুলএন্ড কলেজের জায়গা বেদখলের চেষ্টা করছে সংঘবদ্ধ ভূমি খেকো চক্র। বিষয়টি নিয়ে চক্রটি ইতি মধ্যে ভূমির মূল মালিক অংগ্য মারমাকে প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগে মহালছড়ি থানায় সাধারন ডায়রি (জিডি) দায়ের করা হয়েছে।
অংগ্য মারমা জানান, তিনি মহালছড়ি উপজেলার পৈতৃক সূত্রে ২.০০ একর জায়গা মালিক। আমার স্বর্গীয় পিতা কংঞোরী মগ প্রকাশ কংজরী মারমা’র নামীয় আর-৩ হোল্ডিং তৃতীয় শ্রেনী ভূমি ১৯৬২ইং সনের পাকিস্তান সরকারের আমলে কাপ্তাই বাঁধের ক্ষতি গ্রস্ত হিসাবে পূর্ণবাসন বন্দোবস্ত দিয়েছেন যা সরকারি জমাবন্দিতে রেকর্ডভূক্ত আছে এবং ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) পরিশোধকৃত আছে। উক্ত সম্পত্তি হতে ইতি পূর্বে জনৈক উম্রাসং মারমা’র নিকট ৭০ শতক বিক্রি করেন এবং মহালছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ কর্তৃপক্ষকে ৫০ শতক দান করেন। উক্ত দানকৃত সম্পত্তিতে প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। বর্তমানে স্থানীয় মৌজার হেডম্যান কালাচান চৌধুরী এবং চৌধুরীর ভগ্নিপতি মংসানাই মগ(মাস্টার) মহালছড়ি কেন্দ্রিয় গৌতম বৌদ্ধ বিহারকে ব্যবহার করে বৌদ্ধ বিহার জায়গা উল্লেখ করিয়া প্রতিষ্ঠানটির জায়গা অবৈধ ভাবে আমার দখলীয় ও রেকডীয় তৃতীয় শ্রেণী ভূমি খাস সম্পত্তি দেখিয়ে বন্দোবস্তি ০৭/৯০-৯১ইং মূলে মামলা রুজু করে দখলের চেষ্টা এবং প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। মহালছড়ি মতো প্রত্যন্ত এলাকায় টেকনিক্যাল শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমি জায়গা দান করেছি। সেই জায়গায় প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বেড়া দিয়েছে। স্থানীয় হেডম্যান কালাচান চৌধুরী এবং মংসানাই মগের নেতৃত্বে এসব বেড়া ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। তিনি এ দুইজনের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন। তিনি আরো জানান এলাকা হতদরিদ্র বিধবা নারী উসাইন্দা মারমা দখলীয় ৫.০০ একর ভূমি অবৈধ ভাবে চৌধুরী, উ মনি জ্যোতি মহাথের এবং মংসানাই মগের যোগ সাজে জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে।
এই বিষয়ে মহালছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল কংজরী মারমা বলেন, তারা প্রতিষ্ঠানটি এলাকার বেকার যুবক ছাত্র-ছাত্রীদের কল্যাণে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তারা অংগ্য মারমা রেকডীয় জায়গা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চালাছেন। অবৈধ ভাবে কেউ তাদের জায়গা দখল করার চেষ্টা করলে তারা তা আইনানুগত ভাবে মোকাবিলা করবেন।
এই দিকে স্থানীয় চেয়ারম্যান রতন কুমার শীল বলেন, এলাকা প্রতিনিধি এবং গণ্যমান্য গণের উপস্থিতিতে গ্রাম্য সালিশ হয়েছিল। মংসানাই মগের গৌতম বৌদ্ধ বিহারের নামে সঠিক কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেন নি। স্কুল প্রতিষ্ঠান স্বার্বজনিন প্রতিষ্ঠান, দেশ ও জাতি কল্যাণ নিহিত রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের জায়গায় রেকডীয় সম্পতি হওয়ায় নালিশি ভূমিতে স্কুল কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার একমত পোষন করেন।
স্থানীয় হেডম্যান কালাচান চৌধুরী ও মংসানাই মগ বলেন, এটি খাস জায়গা। জমিটি খাস হিসেবে বন্দোবস্তি পাওয়ার জন্য তারা বন্দোবস্তি মামলা নং- ০৭/৯০-৯১ইং মূলে দায়ের করেছেন। আমি আইগত ভাবেই সম্পত্তি পূনরুদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
মহালছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ জোবাইরুল হক বলেন, ইতি পূর্বে এই বিষয়ে একাধিক বার বসা হয়েছে। উভয় পক্ষই দাবী করেন জায়গাটি তাদের। এই বিষয়ে থানায় জিডি করা আছে এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে মামলা আছে। আমরা উভয় পক্ষকে বলেছি শান্তি শৃখলা বজায় রাখার জন্য আইনগত ভাবেই এই সমস্যা সমাধান হবে।