বৃহস্পতিবার ● ৭ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » রাঙামাটিতে আওয়ামীলীগ নেতা হত্যা ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের উপর হামলার প্রতিবাদে ডাকা হরতাল সর্বাত্মকভাবে পালিত
রাঙামাটিতে আওয়ামীলীগ নেতা হত্যা ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের উপর হামলার প্রতিবাদে ডাকা হরতাল সর্বাত্মকভাবে পালিত
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (২৩ অগ্রহায়ন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.১২মি.) রাঙামাটি জেলার জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দু চাকমাকে দুর্বত্ত্বদের গুলি করে হত্যা এবং বিলাইছড়ি উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি রাসেল মারমার উপর হামলার প্রতিবাদে রাঙামাটি জেলা যুবলীগের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কঠোরভাবে পালন করা হয়েছে।
আজ ৭ ডিসেম্বর বৃহষ্পতিবার হরতালের দিন রাঙামাটি শহরে অভ্যন্তরীণ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ছিল। সকাল থেকে দুর পাল্লার যাত্রীবাহী বাসসহ লঞ্চ ও অন্যান্য যান বাহন রাঙামাটির কোন রুট থেকে ছেড়ে যায়নি। অধিকাংশ ব্যাংক,বীমা ও সরকারী বেসরকারী অফিসসহ দোকান পাট বন্ধ ছিল।
এসময় সংবাদপত্রের গাড়ী, রোগীবাহী এ্যাম্বুল্যান্স, জরুরী বিদ্যুতের গাড়ী ব্যতিত কোন ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দেয়নি পিকেটারেরা। জেলায় স্মরনকালের সর্বাত্মকভাবে পালিত হয় আজকের এই হরতাল।
শহরের বিভিন্ন মোড়ে যুবলীগের নেতাকর্মীরা কঠোরভাবে পিকেটিং করেন। পুরো শহর থমথমে ভাব ছিল। শহরে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। শহরে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
জেলা যুবলীগের আহুত হরতাল পরবর্তী জেলা যুব লীগের সভাপতি ও রাঙামাটি পৌরসভা মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শহরের বনরুপা মসজিদ মার্কেটের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন, জেলা যুব লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল ত্রিপুরা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. সালাউদ্দিন, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি শামসুল আলম, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম রতন ও পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রোখসানা আক্তার।
প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য হাজী মো. মুছা মাতব্বর।
এসময় সমাবেশে প্রধান অথিতি মো. মুছা মাতব্বর পার্বত্য অঞ্চলে র্যাব এবং সেনাবাহিনী দিয়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের আহবান জানান। তিনি বলেন, জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দু চাকমাকে গুলি করে হত্যা, বিলাইছড়ি উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি রাসেল মারমার উপর হামলা ও জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ঝর্ণা খীসার উপর হামলার প্রতিবাদে পরবর্তীতে আরো কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে।
প্রতিবাদ সমাবেশের সভাপতি পৌরসভা মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-পিসিজেএসএস (সন্তু গ্রুপ) কে উদ্দেশ্য করে বলেন, একদিকে আপনারা পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন চান, আরেক দিকে পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টি করে রেখেছেন। অপহরণ, চাঁদাবাজি, হত্যা এগুলি বন্ধ করুন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনে আসুন। প্রতিবাদ সমাবেশে জেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় বক্তারা জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দু চাকমাকে গুলি করে হত্যা, বিলাইছড়ি উপজেলা যুবলীগের সহ সভাপতি রাসেল মারমার উপর হামলা ও জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ঝর্ণা খীসার উপর হামলা ঘটনার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি-পিসিজেএসএস (সন্তু গ্রুপ) কে দায়ী করেন।