শুক্রবার ● ৮ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » বিলাইছড়িতে সেনাবাহিনীর নির্বিচারে ধরপাকড়
বিলাইছড়িতে সেনাবাহিনীর নির্বিচারে ধরপাকড়
বিলাইছড়ি প্রতিনিধি :: (২৩ অগ্রহায়ন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.৫৮মি.) আজ ৭ ডিসেম্বর ভোর রাতে রাঙামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন জুম্ম গ্রামে সেনাবাহিনী নির্বিচারে ধরপাকড় চালিয়েছে। অভিযানে বিভিন্ন গ্রাম থেকে নারী ও কিশোরসহ ৮ জন গ্রামবাসীকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আটককৃতরা সকলেই নিরীহ গ্রামবাসী বলে জানা গেছে।
জানা যায়, গতকাল কাল রাত দেড় টায় বিলাইছড়ি উপজেলা দীঘলছড়ি সেনা জোনের ১৩ বেঙ্গলের একদল সেনা সদস্য বিলাইছড়ি ইউনিয়নের দীঘলছড়ি গ্রামের সুমন চাকমা (২৮) পিতা অমরেন্দ্র লাল চাকমা, বুদ্ধি বিজয় তঞ্চঙ্গ্যা (২৫) পিতা লাম্বাহুলো তঞ্চঙ্গ্যা ও সখিলাল তঞ্চঙ্গ্যা (৯ম শ্রেণির ছাত্র) গ্রামবাসীদের স্ব-স্ব বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। সকালে সখিলাল তঞ্চঙ্গ্যাকে ছেড়ে দিলেও সেনা সদস্যরা সুমন চাকমা ও বুদ্ধি বিজয় তঞ্চঙ্গ্যাকে বিলাইছড়ি থানায় সোপর্দ করে বলে জানা যায়। তবে কোন অভিযোগে বা কোন মামলায় জড়িত করে গ্রেফতার করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
অন্যদিকে দীঘলছড়ি জোনের সেনা সদস্যরা রাত ৩টায় উপজেলার কেঙড়াছড়ি ইউনিয়নের কেড়নছড়ি গ্রাম থেকে বীরময় চাকমা, পিতা নলিনী চাকমা ও সুনীল কান্তি চাকমা, পিতা কালিমন চাকমাকে তাদের স্ব-স্ব বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসে। তাদেরকে কোথায় রাখা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। দীঘলছড়ি সেনা জোনের আওতাধীন তক্তানালা সেনা ক্যাম্পের একদল সেনা সদস্য রাত ৩টায় ফারুয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত তক্তানালা গ্রাম থেকে ফারুয়া ইউনিয়নের ৫, ৬, ও ৭ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মিসেস রান্যাবী চাকমা, তাঁর স্বামী চন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যা (৩৮) (স্থানীয় দোকানদার) ৩জন গ্রামবাসীকে ধরে নিয়ে আসে। চন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যাকে সকালে দীঘলছড়ি সেনা জোনে নিয়ে আসা হয় বলে জানা গেছে। তবে রান্যাবী তঞ্চঙ্গ্যা ও তাঁর স্বামীকে কোথায় রাখা হয়েছে তার হদিস এখনো পাওয়া যায়নি।
সেনা সদস্য আটককৃতদের উপর হয়রানি ও নির্যাতন করা হতে পারে বলে তাদের স্বজনরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।