বুধবার ● ২ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » গাজিপুর » গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর নির্বাচন
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর নির্বাচন
গাজীপুর প্রতিনিধি :: গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এ পর্যন্ত মেয়র পদে পাঁচজন মনোনয়নপত্র কিনেছেন৷
২৯ নভেম্বর রবিবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে তারা এ মনোনয়ন ফরম কিনেন ৷
এই পাঁচ প্রার্থী হলেন- বর্তমান মেয়র ও জেলা শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনিছুর রহমান, শ্রীপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের প্রথম ভিপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সদস্য মো. আহসান উল্লাহ, আওয়ামী লীগ কর্মী একেএম সাখাওয়াত হোসেন খান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ শহীদ এবং ইসলামী আন্দোলন সমর্থিত প্রার্থী ফরহাদ আহম্মেদ মমতাজী৷
এদের মধ্যে বিএনপি এবং ইসলামী আন্দোলন দলীয় মনোনয়নের অনুমতিপত্র জমা দিলেও আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দেননি নির্বাচন কমিশনে৷
এদিকে নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নির্বাচনী এলাকায় স্থাপিত বিলবোর্ড, ব্যানার-পোস্টার সরিয়ে ফেলার নির্দেশনা দেয়া হলেও এখনো তা সরানো হয়নি৷
শ্রীপুর পৌর নির্বাচনের গাজীপুর জেলা রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান আমাদের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিককে জানান, ২৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার শ্রীপুর পৌরসভার তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে৷ রবিবার বিকেল পর্যন্ত মেয়র পদে পাঁচজন, কাউন্সিলর (সাধারণ) পদে ৪৩ জন এবং কাউন্সিলর (সংরক্ষিত) পদে ১০ জন মনোনয়নপত্র কিনেছেন৷ আগামী ৩০ ডিসেম্বর বুধবার এ পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী ২৮ ডিসেম্বর সোমবার মধ্য রাত থেকে নির্বাচনের দিন (৩০ডিসেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত সকল প্রচার প্রচারণা বন্ধ থাকবে৷
তবে, ১৪ ডিসেম্বর সোমবার থেকে শ্রীপুর পৌর নির্বাচনের প্রার্থীরা প্রতীকসহ ২৮ ডিসেম্বর সোমবার মধ্যরাতের আগ পর্যন্ত প্রচারণা চালাতে পারবেন৷ সে অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার আগে কিংবা ১৪ ডিসেম্বর সোমবার আগ পর্যন্ত আগাম প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে যারা যারা পোস্টার, ব্যানার ও বিলবোর্ড স্থাপন করেছেন নির্বাচন কমিশন ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ওইসব অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন৷
সরেজমিনে দেখা গেছে, ২৯ নভেম্বর রবিবার বিকেলেও পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীদের ছবি ও ভোট চাওয়ার বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিলবোর্ড, পোস্টার ও ব্যানার শোভা পাচ্ছিল৷ কিন্তু এসব উচ্ছেদে কোথায়ও কোনো অভিযান চালানো হয়নি৷
এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসার মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, রবিবার সম্ভাব্য প্রার্থীদের স্থাপিত কিছু কিছু পোস্টার-ব্যানার নিজেরা নামিয়েছেন৷ সোমবার এ ব্যাপারে সতর্কীকরণ মাইকিং করা হবে৷ তারপরও না সরালে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷