রবিবার ● ১০ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » খাগড়াছড়িতে ঝুঁকিপূর্ণ চারতলা ভবন: ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশ
খাগড়াছড়িতে ঝুঁকিপূর্ণ চারতলা ভবন: ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অপসারণের নির্দেশ
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: (২৬ অগ্রহায়ন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.৩৯মি.) খাগড়াছড়ি পৌর শহরে কলেজ সড়কের ৪ তলার একটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে তা আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অপসারণ করার জন্য পৌরসভার মেয়র ১০ ডিসেম্বর রবিবার ওই বাড়ির মালিক অজিত করের কাছে পত্র দিয়েছে।
জানা গেছে, নিরাপত্তা চেয়ে পৌর মেয়রের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছে স্থানীয় প্রতিবেশিরা। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরপরই নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় নিয়ে ব্যাপক তদন্ত শেষে পৌর কর্তৃপক্ষ ওই বাড়ির মালিকের কাছে ভবনটি অপসারনের পত্র প্রেরণ করেন। একই সাথে ভবনের নিচ তলায় অবস্থিত হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ, বাংলাদেশ, বিআরবি ক্যাবল ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড, ৩য় ও ৪র্থ তলায় নতুন করে ভাড়া নেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ খাগড়াছড়ি আইডিয়েল পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের কাছেও ভবন অপসারণের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়।
পৌর মেয়র রফিকুল আলম স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ দ্বিতীয় তফসিল এর ৩৫ (১)“ইমারত নির্মাণ ও পুনির্মাণ ধারা পরিপন্থি”। যা পৌরসভা আইন ২০০৯ দ্বিতীয় তফসিল এর ৩৭নং “ইমারত নিয়ন্ত্রণ” ধারায় উক্ত ইমারতের বাসিন্দা/দখলদার/পথচারীদের জন্য বিপদজ্জনক বলে প্রতীয়মান হওয়ায় অভিজ্ঞ প্রকৌশলীর পরামর্শ নিয়ে উক্ত ভবনটি ভেঙ্গে অপসারণ করা অপরিহার্য হয়ে দাড়িঁয়েছে।
পত্র দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে খাগড়াছড়ি পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. জামাল হোসেন জানান, অভিযোগের আলোকে পৌর সার্ভেয়ার মো. মোস্তাফিজুর রহমান শিমুলের নেতৃতে ব্যাপক তদন্ত শেষে ভবনটি ঝূকিঁপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যা জনস্বার্থে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অপসারণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে, প্রতিবেশী এ.কে.এম আনিছ আলম খাঁন (সেলিম), সনত বড়ুয়া, চন্দ্র শেখর দাশ জানান, দীর্ঘদিনধরে এ ভবনের পাশে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করে আসছি। এ ঝূকিঁপূর্ণ হওয়ায় আমাদের জন্য মৃত্যুর ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভূমিকম্প কিংবা কোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগ হলেই আমাদেরকে বাড়ি ছেলে অন্যত্র চলে যেতে হয়। পৌর মেয়র দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় আমরা প্রতিবেশিরা এখন স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলছি।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. জামাল হোসেন আরো জানান, আলোচিত রানা প্লাজার মতো দ্বিতীয় কোনো ঘটনা আমরা খাগড়াছড়িতে প্রত্যাশা করি না।