শনিবার ● ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে সুরমা নদী ভাঙনে ১০ পরিবারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
বিশ্বনাথে সুরমা নদী ভাঙনে ১০ পরিবারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (২ পৌষ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বেলা ১২.৩৫মি.) সিলেটের বিশ্বনাথে সুরম নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে একটি গ্রামের ১০টি পরিবার। আর এ সংখ্যা সময় যত যাচ্ছে ততই ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। নিজ বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় পুরো গ্রামের লোকজন চরম আতংকের মধ্যে রয়েছেন। মাথাগোজাঁর ঠাঁই হারিয়ে এখন গৃহহারা হচ্ছেন অনেক পরিবার। নদী ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো নিয়ে গৃহকর্তারা পড়েছেন চরম বিপাকে। এসব পরিবারের কথা চিন্তা করে জরুরী ভিত্তিতে নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এলাকার লোকজন। এদিকে, নদী ভাঙনে খবর পেয়ে গতকাল শুক্রবার দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া, দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহিদ মিয়া, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার গিয়াস উদ্দিন, ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলী শিপন প্রমূখ।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের মাহতাবপুর গ্রামের সুরমা নদীর তীরে ভাঙন দেখা দেয় গত দুই তিন দিন ধরে। নদী ভাঙ্গনে মাহতাবপুর গ্রামের ১০টি পরিবারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এলাকায় নদী ভাঙন রোধে ব্লক বসানো হয়। বর্তমানে এই ব্লকের পূর্বদিকে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। অতিদ্রুত ভাঙন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে অনেকের বসতভিটা ভাঙনের ফলে নদী গর্ভে বিলীত হতে চলেছে।
আছকর আলী, মোহাম্মদ আলী, আমজানুল হক, জিয়াউল হক, শামছুল হক, রুশন আলী, জামাল উদ্দিন, নওশাদ মিয়াসহ প্রায় ১০টি পরিবার নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
শুক্রবার নদী ভাঙন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নদী ভাঙনের ফলে বেশ কয়েকটি পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। তাদের আর্তনাতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সংবাদকর্মী এসেছেন শুনে এলাকার লোকজন জুড়ো হতে দেখা যায়। এসময় তারা নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোকজন শান্ত দেয়ার চেষ্ঠা করছেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী বলেন, বিষয়টি মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনা করা হবে।