রবিবার ● ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » অপরাধ » মালামাল লুট করায় ১০ আনসার সদস্য গ্রেফতার
মালামাল লুট করায় ১০ আনসার সদস্য গ্রেফতার
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :: (৩ পৌষ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.১১মি.) গাজীপুরের টঙ্গীস্থ ‘ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানী’ (ডেসকো)’র সাবষ্টোর থেকে নিরাপত্তা কর্মীদের সহযোহিতায় সাড়ে ১১ লক্ষ টাকার মালামাল লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় নিরাপত্তাকর্মী ১০ আনসার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ১৬ ডিসেম্বর শনিবার রাতে ওই সাবষ্টোরের ব্যবস্থাপক (চলতি দায়িত্ব) মো. রাশেদুল হক শামছী বাদি হয়ে টঙ্গী থানায় মামলা করেছেন।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ডেসকোর সাবষ্টোরটিতে ১৫ জন আনসার সদস্য তিনভাগে বিভিক্ত হয়ে ডিউটি করেন এবং স্টোরের ভেতরে আনসার শেডে থাকেন। গত ১৫ ডিসেম্বর শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী সাবষ্টোরের প্রধান গেট সংলগ্ন পকেট গেটে সামনে গিয়ে আনসার সদস্য শফিকুল ইসলামের সাথে দেখা করার কথা জানায়। তখন দায়িত্বরত আনসার সদস্য সাবষ্টোরের পকেট গেট খুলে দেয়। পরে সন্ত্রাসীরা সাবষ্টোরের ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ডেসকোর স্পেশাল গার্ড মো. খোরশেদ আলম সরকার বহিরাগতদের প্রবেশের প্রতিবাদ করলে সস্ত্রাসীরা তাকে মারধর করে। কিন্তু কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা কোন কথা বলে নি। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা সাবষ্টোরের ভেতরে অবস্থিত গোডাউনের তালা ও সীল ভেঙ্গে বৈদ্যুতিক লাইন নির্মাণ/মেরামতের মালামাল, নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরিংয়ের জন্য সিসিটিভির ডিভিআরসহ সাড়ে ১১ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন, তিনি জেনেছেন ওই সন্ত্রাসীদের কয়েকজন ওই দিন দুপুরে আনসার সদস্য শফিকুল ইসলামের সাথে দেখা করে গেছে।
গাজীপুর জেলা আনসার অ্যাডজুডেন্ট মো. সাইদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, দায়িত্বে অবহেলার জন্য ওই ১০ জন আনসার সদস্যকে শনিবারই সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং ফৌজধারী অপরাধের জন্য তাদের টঙ্গী থানায় হস্তাস্তর করা হয়েছে। এ ঘটনার তদন্তে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টঙ্গী থানার এসআই মাহবুব আলম জানান, এ ঘটনায় ১০ আনসার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
টঙ্গী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফিরোজ তালুকদার জানান, ওই লুটের ঘটনায় শনিবার রাতে ডেসকোর পক্ষ থেকে টঙ্গী স্টোর ব্যবস্থাপক মো. রাশেদুর হক শামছী বাদী হয়ে ১০ আনসার সদস্য সহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের নামে টঙ্গী খানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ওই ১০জনকে আনসার কর্তৃপক্ষ তাদের থানায় সোপর্দ করেছে এবং ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাদেরকে ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।