শুক্রবার ● ২২ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » জনদুর্ভোগ » দুর্ভোগের আরেক নাম আত্রাই-ভবানীগঞ্জ সড়ক : দেখার কেউ নেই
দুর্ভোগের আরেক নাম আত্রাই-ভবানীগঞ্জ সড়ক : দেখার কেউ নেই
আত্রাই প্রতিনিধি :: (৮ পৌষ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.১১মি.) নওগাঁর আত্রাই-ভবানীগঞ্জ সড়কের প্রায় ৬কিলোমিটার সড়ক যেন ধানের জমিতে পরিণত হয়েছে। দুর্ভোগের আরেক নাম এই আত্রাই-ভবানীগঞ্জ সড়ক। আত্রাই থেকে বাগমারাতে যাওয়ার একমাত্র পথ এই সড়ক নামের মরণ ফাঁদ রাস্তাটি।
সূত্রে জানা, দীর্ঘদিন থেকে প্রয়োজনীয় সংস্কারের অভাবে ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এ সড়কটি বর্তমান সময়ে চলাচলের জন্য অযোগ্য হয়ে পড়েছে। আত্রাই সীমানা থেকে বাগমারা সীমানা পর্যন্ত প্রায় ৬কিলোমিটার রাস্তা মেরামত না করায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়েই চলাচল করছে বিভিন্ন ছোট-বড় যানবাহন। আর মাঝে মধ্যে ঘটে যাওয়া ছোট-বড় দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ পথিকরা। সংস্কারের অভাবে রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই ওই সব গর্তে পানি জমে যায়। ফলে পথচারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। অথচ নওগাঁর আত্রাই উপজেলাও রাজশাহীর বাগমারা উপজেলাসহ উত্তরাঞ্চল এলাকার লোকজনের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এর সাথে যোগাযোগের জন্য একটি মাত্র পথ এই রাস্তাটিই ব্যবহার করতে হয়। জন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হওয়ার পরও তা সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের ।
জাতাপুকুর গ্রামের ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চালক আনিছুর রহমান বলেন, এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য ছোট বড় যানবাহন চলাচল করে থাকে কিন্ত সড়কটি খানাখন্দ হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করা ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নেই। এতে রাস্তার মাঝে প্রায় যানবাহন বিকল হয়ে পড়ছে। কোথাও কোথাও আবার উল্টে গিয়ে হতাহতের ঘটনাও ঘটেই চলেছে হরহামেশায়।
অটো-ভ্যান চালক আব্দুল লতিফ বলেন, এ রাস্তায় ভ্যান চালানোতে একদিকে জীবনের ঝুঁকি অপরদিকে ভ্যানের যন্ত্রাংশও খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তার পরও পেটের দায়ে আমরা জীবনের ঝুঁনি নিয়েই এ রাস্তায় ভ্যান চালিয়ে আসছি দীর্ঘদিন যাবত।
সালেহা-ইমারত ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক সামছুর রহমান বলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী এবং সর্বস্তরের জন সাধারণ যাতায়াত এই বিপদগামী রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করে থাকেন। বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে থাকার কারণে প্রায়ই যানবাহনের চাকার পানি ছিটকে শিক্ষার্থীসহ সকলের পোষাক পরিচ্ছদ নষ্ট হয়ে যায়। এতে করে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হতে হয় পথচারীদের।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. একরামুল বারী রুঞ্জু বলেন, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। তাই বৃহত্তর স্বার্থে অতিদ্রুত রাস্তাটি প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হামিদুর রহমান বলেন, রাস্তাটির বেহাল দশা সম্পর্কে আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত আবেদন দিয়েছি। অনুমতি ও বরাদ্দ পেলেই সংস্কার কাজ শুরু করবো।