শনিবার ● ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » পাহাড়ের প্রাচীন বিদ্যাপীঠের প্রথম পুনর্মিলনী উৎসবের মাধ্যমে সম্প্রীতির মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়েছে
পাহাড়ের প্রাচীন বিদ্যাপীঠের প্রথম পুনর্মিলনী উৎসবের মাধ্যমে সম্প্রীতির মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়েছে
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: (৯ পৌষ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.৫৩মি.) পার্বত্য খাগড়াছড়ির প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ খাগড়াছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রথম পুনর্মিলনী উৎসবের বর্ণিল উদ্বোধন হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টায় খাগড়াছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কয়েক হাজার প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা ও বেলুন উড়িয়ে বর্ণিল এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী মো: নুরুল ইসলাম নাহিদ।
এর পরপরই প্রথম পুনর্মিলনী উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন প্রবীন শিক্ষাবিদ অনন্ত বিহারী খীসা।
এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর, ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, সাবেক সংসদ সদস্য যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. আলী আহমেদ খান, খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল আলম, পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. সুধীন কুমার চাকমা এবং খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির সচিব শ্রীলা তালুকদারসহ প্রাচীন এই বিদ্যাপীঠের দেশে-বিদেশে অবস্থানরত আলোকিত প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
‘আর একটি বার আয়রে সখা, প্রানের মাঝে আয়’ শ্লোগানকে সামনে রেখে বিদেশ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরা নিজের প্রিয় প্রাঙনের প্রথম পুনর্মিলনী উৎসবে যোগ দিয়েছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে খাগড়াছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসেন শিক্ষামন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম নাহিদ।
এসময় খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির সচিব শ্রীলা তালুকদার তাকে স্বাগত জানান। এসময় তিনি উৎসবে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন ও সেলফি তোলেন।
পাহাড়ের ব্যাতিক্রমী এ যাবতকালের সবচেয়ে বৃহৎ এ উৎসবকে ঘিরে ‘উৎসবের রঙে রঙিন খাগড়াছড়ি’। পাহাড়ের প্রাচীন এ বিদ্যাপীঠের প্রথম পুনর্মিলনী উৎসবের মাধ্যমে সম্প্রীতির মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়েছে। এ উৎসব পাহাড়ে সম্প্রীতির নতুন ডানা মেলবে বলে মন্তব্য উৎসবে অংশগ্রহণকারী আলোকিতদের।