শনিবার ● ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭
প্রথম পাতা » কৃষি » আমন ধানের দরপতনে দিশেহারা কৃষক
আমন ধানের দরপতনে দিশেহারা কৃষক
পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: (৯ পৌষ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.২৩মি.)পটুয়াখালীর বেশকিছু উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে আমন ধানের দরপতন ঘটেছে। চলতি মৌসুমের উৎপাদিত ধানের দাম কম হওয়ায় কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে। অন্যান্য সময়ের তুলনায় কম দামে কেনা-বেচায় কৃষকরা রীতিমতো দিশেহারাও হয়ে পড়েছেন। ধানকাটার মাত্র ১০/১৫ দিন আগে বৈরী আবহাওয়া ও টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ভেজার কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কারনে বাজারে আমনের দরপতন ঘটছে বলে ধারনা কৃষি বিভাগের।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে অতিরিক্ত বৃষ্টির পানিতে ধানক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কিত প্রতিবেদন দিয়েছে কৃষিবিভাগ। প্রতিবেদনে টানা বর্ষণে আমন ধান, বোরো বীজতলা ও রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এব্যাপারে দশমিনা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর কৃষকদের যে ক্ষতি দেখিয়েছেন তার কয়েক গুন ছাড়িয়ে যাবে বলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জানিয়েছেন।বিগত তিন দিনের বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে আমন চাষিরা। নিচু জমির ধান তলিয়ে গেছে পানিতে। জমি থেকেই ধান তুলতে পারছেনা কৃষকরা। এদিকে, গতকাল শুক্রবার সাদেমুন্সি হাটের দিনে ধানের দরপতন হয়েছে। যে ধান ১০৫০ টাকা ছিল, সেই ধান ৬৪০ থেকে ৭৫০ টাকায় বেঁচা কেনা হয়েছে বলে ব্যবসায়ী মো. আবুল জানিয়েছেন।
কৃষি অফিসের প্রতিবদেনে রোপা আমন, গম, তরমুজ, খিরাই, আলু, খেসারী, মসুর, ফেলন, সরিষা, মরিচ, রোসুন, ধনিয়া, শসা, শাক সবজি জমির পানিতে তলিয়ে থাকায় নষ্ট হয়ে কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরূপন করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ। উপজেলায় প্রান্তিক, ক্ষুদ্র, মাঝারী কৃষক রয়েছে। উপজেলায় খেসারী, ফেলন, শাক সবজি, আলু, তরমুজের আবাদ বেশী হয়ে। উপজেলায় খেসারী ডাল প্রায় কৃষক জমিতে আবাদ করেছে , তবে ক্ষতিগ্রস্ত শতকরা সামন্য দেখানো হয়েছে।
৩নং আমড়াগাছিয়া ইউনিনেয়র ময়দা গ্রামের কৃষক মো. রফিক জানান, তার ২একর জমিতে খেসারী ডাল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে। এ কৃষি অফিসের প্রতিবেদন ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন অথচ সৈলাবুনিয়া গ্রামের মো.রহিম মিয়ার নতুন করে আলুর বীজ বপন করেছেন। এ বৃষ্টিতে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে। আলুর বীজ গজানোর কোন সম্ভাবনা নেই। আলুর ফলন ফলাতে হলে নতুন করে শুরু করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসারা জানান, মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এ প্রতিবেদন তৈরী করা হয়েছে। উপজেলার কৃষকরা যাতে মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে সবসময় যোগাযোগ রক্ষা করে সে ব্যাপারে সচেতন হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন তিনি।