শুক্রবার ● ৫ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » শীত উপেক্ষা করে বোরো ধানের চারা রোপনে কৃষকরা ব্যস্ত
শীত উপেক্ষা করে বোরো ধানের চারা রোপনে কৃষকরা ব্যস্ত
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (২২ পৌষ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১২.২৬মি.) সিলেটের বিশ্বনাথে কৃষকরা ঋতু বৈচিত্রের শীতকালের সময় পার করছেন বোরো ধান চাষে। প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে প্রবাসী অধ্যুষিত বিশ্বনাথ উপজেলার কৃষকরা এখন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বোরো জমিতে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে চলতি মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ৭হাজার ৩শ হেক্টর বোরো ধান চাষ হবে। এর মধ্যে হাইব্রীড ৮০ হেক্টর, উফসী ৬ হাজার ২শ ৯০ হেক্টর ও স্থানীয় বোরো চাষ হবে ৩০ হেক্টর জমিতে।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার চাউল ধনী হাওরে কৃষকদের কেউ বীজ তলা থেকে চারা তুলছেন, অনেকে চারা রোপন করছেন। প্রচন্ড শীত থাকায় আবার হাওরাঞ্চলে পানিতে নামতে দেরি করছেন। সূর্য্যরে দেখা পেলে তারা চারা রোপনে নামছেন। আগাম তৈরি বীজতলা থেকে এবারও কৃষকরা শীতের শুরুতেই আগাম চারা রোপনের কাজ শুরু করেছেন। ক্ষেত প্রস্তুত করার লক্ষ্যে জমিতে সেচ ও হাল চাষের কাজেও ব্যস্ত দেখা গেছে কৃষকদের। যার ফলে কৃষকরা কালবৈশাখীর ভয়াল থাবা থেকে তাদের কষ্টার্জিত ফসল আগে ভাগে কেটে ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করছেন। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল জুড়ে এখন চলছে বোরো ধানের চারা রোপনের মহোৎসব। স্থানীয় কৃষকদের দাবী কৃষি অফিসারের জনবল বৃদ্ধি করে কৃষি চাষে আরো বেশি সেবা দিতে। বোরো চাষীরা সঠিকভাবে চাষ করতে পারে সে জন্য উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। মাঠে রয়েছেন ৮জন কৃষি অফিসার।
কৃষক পরতাব আলী বলেন, জমি প্রস্তুত। চারা উত্তোলন করছি জমিতে রোপনের জন্য। বোরো ফসলটি ভালো হলে, পরিবার পরিজন নিয়ে শান্তিতে থাকতে পারবো। তাই যত্ন সহকারে জমি তৈরি করেছি। রোপন করা শুরু হয়েছে।
উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা মনুজ কান্তি বলেন, এবার উপজেলা ৭ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হবে। আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি, রাসায়নিক সার পরিহার করে সঠিকভাবে জৈব সার ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দেয়া, সঠিক বয়সে (৩০/৪০ দিনের বয়সের চারা) সঠিক সময়ে চারা রোপন করা। পরামর্শ দিচ্ছেন পোকা থেকে বাচতে পার্চিং ব্যবস্থা করার। তবে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ২৪জন কৃষি অফিসার থাকার কথা থাকলেও সেখানে রয়েছেন ৮জন কৃষি অফিসার। যার ফলে কৃষি সেবা দিতে অফিসারদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলী নূর রহমান বলেন, ইউনিয়নে এবার ৭ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে বোরো উৎপাদন করা হবে বলে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ইতি মধ্যে ৯শত ৩৫ হেক্টর বোরো আবাদ শেষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।