সোমবার ● ৮ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » জনদুর্ভোগ » বিশ্বনাথের দশদল গ্রামের রাস্তা এখন মরণফাঁদ
বিশ্বনাথের দশদল গ্রামের রাস্তা এখন মরণফাঁদ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (২৫ পৌষ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.৫৯মি.) সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়ের দশদল গ্রামের রাস্তার ইট সোলিং উঠে গিয়ে এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বিশ্বনাথ লামাকাজি মধ্যে মেইন রাস্তা থেকে দশদল গ্রামের শেষ সীমানা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘদিন থেকে প্রয়োজনীয় সংস্কার না করার কারনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে শতশত মানুষ। জানা যায়, উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের নকিখালি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এ এলাকায় একটি মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়, একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি প্রাইভেট স্কুল, একটি মাদরাসা ও উপজেলা হাসপাতাল কেন্দ্র রয়েছে। এ জন্য রামপাশা’র দশদল উত্তরাঞ্চল জনসাধারণের প্রতিনিয়ত এ রাস্তা দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদসহ হাট বাজারে যাতায়াত করতে হয়। এ ছাড়াও উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও তাদের এ রাস্তা ব্যবহার করতে হয়।
এলাকার লোকজনের চলাচলের জন্য ১৯৮৫ সালের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমানের মাধ্যমে একটি মেটোরাস্তা তৈরী করা হয়। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে পূর্বে মেইন রাস্তা হতে দশদল গ্রামের ভিতর পর্যন্ত প্রায় অর্ধ কিলোমিটার রাস্তা ইট দ্বারা সোলিং করা হয়। বিভিন্ন সময়ে বৃষ্টি ও বন্যায় ইটের সোলিং ক্ষতবিক্ষত হয়ে রাস্তাটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ফলে ওই রাস্তায় এখন কোন প্রকার যানবাহনও চলাচল করতে চায় না। এ জন্য ওই এলাকার শতশত মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে কোনো রোগীকে চিকিৎসার জন্য নেয়া বা কৃষিপণ্য বাজারজাত করার ক্ষেত্রে এ দুর্ভোগ আরও প্রকট আকার ধারণ করে।
দশদল গ্রামের আবদুল মন্নান বলেন, এ রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় আমরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছি। এ রাস্তাদিয়ে প্রতিদিন শিশুরা এবং কলেজ শিক্ষার্থীসহ শতশত মানুষ চলাচল করে। প্রতিনিয়ত ছোটখাট অনেক দুর্ঘটনাও ঘটে।
একই গ্রামের শুনাব আলী বলেন, দীর্ঘদিন পূর্বে রাস্তাটিতে ইট বিছানো হয়েছিল। এরপর থেকে পর্যাপ্ত সংস্কার না করায় ইটগুলো উঠে গিয়ে রাস্তা দিয়ে এখন ভ্যানও চলাচল করতে পারে না। ফলে আমাদের কৃষিপণ্য বহন করা চরম কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীরের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলে তাহার কোনো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।