মঙ্গলবার ● ৯ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » অপহরণের দীর্ঘ ৬মাস ২৪দিন পর ডা. রেনিন সো’র হদিস পাওয়া গেল
অপহরণের দীর্ঘ ৬মাস ২৪দিন পর ডা. রেনিন সো’র হদিস পাওয়া গেল
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (২৬ পৌষ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.১৩মি.) অপহরণের পর গোপন স্থানে আটকে রেখে দীর্ঘ ৬মাস ২৪দিন পর গত ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখ চট্টগ্রামের মিরসরাই এলাকায় চোখ ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে দিয়ে যায় ডা. রেনিন সোয়ে তালুকদারকে। অপহরনের পর অজ্ঞাতস্থানে দীর্ঘ প্রায় ৭ মাস বিভিন্ন মানসিক নির্যাতন করে কে বা কাহারা বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডের নাগরিক বান্দরবান জেলার রাজস্থলী থানার ডা. রেনি সো’কে ফেলে রেখে যায় বলে তার আইনজীবি এ্যাডভোকেট উথাই মং জানান। তার আইনজীবি এ্যাডভোকেট উথাই মং বলেন ২৯ ডিসেম্বর ভোরের দিকে গুম-অপহরণকারীরা আমার মক্কেল ডা. রেনিন সো তালুকদারকে চট্টগ্রাম জেলার মিরশরাইতে ফেলে রেখে যান, সেখান থেকে তিনি গাড়ীতে করে চট্টগ্রাম পৌঁছান, চট্টগ্রাম থেকে লিচু বাগান এসে লিচু বাগান থেকে তিনি বাঙ্গালহালিয়া তার এক আত্মীয়র বাড়ীতে গিয়ে আশ্রয় নেন। আরাকান আর্মির সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ডা. রেনিন সো তালুকদারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন, বৈদেশিক মুদ্রা ও অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে রাঙামাটি আদালতে তিনটি মামলা রয়েছে। আদালতে হাজিরা দিতে আসলে আইনগত সহায়তার কারণে আমার মক্কেল ডা. রেনিন সো তালুকদার আদালতকে অবহিত করেন। এরপর থানায় জিডি করে বিষয়টি আদালতের গোচরে আনা হলে আদালত পূণরায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। আইনজীবি এ্যাডভোকেট উথাই মং বলেন আমার মক্কেল ডা. রেনিন সো তালুকদারের শারিরীক অবস্থা খুবই নাজুক, সে মানসিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ, ডা. রেনিন সো তালুকদার যেকোন সময় মারা যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
ডা. রেনিন সো তালুকদার অপহরনের পর তার স্ত্রী ও পরিবারের লোকজন বান্দরবান জেলায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এরপর তার বড় মেয়ে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডের নাগরিক বাংলাদেশস্থ নেদারল্যান্ড দূতাবাস, বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নিকট তার পিতাকে ফেরত পাওয়ার জন্য আবেদন করেন বলে পররাষ্ট মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন ২০১৭ তারিখে ডা. রেনিন সো তালুকদার ও সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন রাঙামাটি জেল গেইটের সামনে থেকে অপহরণের শিকার হন। অপহরনের ১৪ ঘন্টা পর হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট থানার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে সাংবাদিক নির্মল বড়ুয়া মিলন হাত, চোখ ও মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হলেও ডা. রেনিন সো তালুকদারের কোন হদিস পাওয়া যায়নি। অবশেষে দীর্ঘ ৬ মাস ২৪ দিন পর তিনি ফিরে আসেন। এই গুম- অপহরনের ঘটনায় কে বা কাহারা জড়িত রয়েছে জানা যায়নি।