মঙ্গলবার ● ৯ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » সাম্প্রদায়িকতার রষানলে ফেলতে বড়ুয়া লেখকের নাম ব্যবহার হচ্ছে : মুক্তিযোদ্ধা ডা. বাদল বরণ বড়ুয়া
সাম্প্রদায়িকতার রষানলে ফেলতে বড়ুয়া লেখকের নাম ব্যবহার হচ্ছে : মুক্তিযোদ্ধা ডা. বাদল বরণ বড়ুয়া
ষ্টাফ রিপোর্টার :: (২৬ পৌষ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.১০মি.) পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বড়ুয়া জনগোষ্ঠির সাথে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, পাংখোয়া, লুসাই, চাক, খেয়াং ও তঞ্চঙ্গ্যাসহ অন্যান্য আদিবাসী জনগোষ্ঠির সাথে সুসম্পর্ক শত বৎসরের। উল্লেখিত জনগোষ্টির এবং বড়ুয়া জনগোষ্ঠি একই সমাজে মৈত্রীভাব পোষন করে যুগযুগ ধরে বসবাস করে আসছে। আদিবাসী জনগোষ্ঠি এবং বড়ুয়া জনগোষ্ঠির ঐতিহ্য সাংস্কৃতিগত কিছু পার্থক্য থাকলেও ধর্মীয় শিক্ষা, চিকিৎসা ও লেখাপড়ায় পার্বত্য অঞ্চলে প্রথম থেকে অবদান রয়েছে। আদিবাসী জনগোষ্ঠি এবং বড়ুয়া জনগোষ্ঠি নিজেদের একই জনগোষ্ঠি ভেবে সামাজিক বিবাহ বন্ধনেও আবদ্ধ হওয়ার ঘটনা রয়েছে। বড়ুয়া জনগোষ্ঠির লোকেরা নিজেদের ভুইয়ে মগ পরিচয় দিতে স্বাছন্দ্য বোধ করে। পার্বত্যঞ্চলে রাজনীতিক সমস্যা সমাধানে পার্বত্য চুক্তিতে ক্ষুদ্র - ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠিসমূহকে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও বড়ুয়া জনগোষ্ঠিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি ফলে চুক্তির পর বিশেষকরে পার্বত্যঞ্চলে বড়ুয়া জনগোষ্ঠি রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈষম্যের স্বীকার। ইদানিং বড়ুয়া জনগোষ্ঠিকে আদিবাসী জনগোষ্ঠির কাছে বিতর্কিত ও সাম্প্রদায়িকতার রষানলে ফেলতে একটি বিশেষ সংস্থা এবং গুটিকয়েক প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়াতে বিভিন্ন সময় বড়ুয়া জনগোষ্ঠির লেখকের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন লেখালেখির মাধ্যমে উগ্র সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে বলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠন অভিযোগ করেছে।
বিষয়টি একটি মহলের অশুভ তৎপরতা ছাড়া আর কিছু নয় বলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠনের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. বাদল বরণ বড়ুয়া সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পার্বত্য অঞ্চলে এবং সমতলে পাহাড়ী বলুন বা আদিবাসী বলুন এই জনগোষ্ঠির সাথে বংশ পরম্পরায় বড়ুয়া জনগোষ্ঠির সম্প্রীতি ছিল, রয়েছে আগামীতেও থাকবে, এ সম্প্রীতি কেউ নষ্ট করতে পারবে না। আদিবাসিদের নিয়ে উস্কানিমুলক যে সমস্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, আমরা খতিয়ে দেখেছি সেসব লেখকের নামের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ভুয়া নাম ব্যবহার করে সেসব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।
এখন থেকে যেকোন মিডিয়াতে বড়ুয়া লেখকের নাম ব্যবহার করে পার্বত্যঞ্চলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে এধরনের কোন লেখা বা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে আমাদেরকে জানাবেন, প্রয়োজনে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো। কেউ যাতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে পার্বত্যঞ্চলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার স্বার্থে পার্বত্য ও সমতলে উভয় জনগোষ্টিকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বড়ুয়া সংগঠন ।