বৃহস্পতিবার ● ১১ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » দেশের বিভিন্ন জেলায় এবং উপজেলায় উন্নয়ন মেলা উদ্বোধন
দেশের বিভিন্ন জেলায় এবং উপজেলায় উন্নয়ন মেলা উদ্বোধন
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :: (২৮ পৌষ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.৪৭মি.) ঠাকুরগাঁওয়ে ৩দিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। “উন্নয়নের রোল মডেল, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ” এই শ্লোগানে উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক আনোয়ার হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম (বিডি হল)’এ ভিডিও কনফারেন্সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন ভিডিও প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হয়। পরপরই ঠাকুরগাঁওয়ে মেলার উদ্বোধন করা হয়।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল, জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুহা: সাদেক কুরাইশী, সহ-সভাপতি মাহাবুবুর রহমান খোকন, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি অরুনাংশু দত্ত টিটো, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জাবেদ আলী ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান বাবু। এছাড়াও ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারী, এনজিও’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন শেষে বিডি হল চত্ত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বেড় হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। মেলায় জেলার বিভিন্ন স্কুল ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮০টি স্টল অংশগ্রহন করছে।
মহালছড়িতে উন্নয়ন মেলার আয়োজন
মহালছড়ি প্রতিনিধি :: সারা দেশের ন্যায় খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যেগে “উন্নয়নের রোল মডেল, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ” এর শ্লোগানে বিভিন্ন কর্মসূচী নিয়ে ৩দিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলার ব্যাপক আয়োজন করা হয়। অাজ ১১ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মহালছড়ি উপজেলা পরিষদ এর কার্যালয় প্রাঙ্গন থেকে বর্ণাঢ্য এক র্যালী বের হয় এবং র্যালী শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, মহালছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না নাসরিন উর্মি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাকলী খীসা, ভাইস চেয়ারম্যান ক্যাচিংমিং চৌধুরী, মহালছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান রতন কুমার শীল, মাইসছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সাজাই মারমা, ক্যায়াংঘাট ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিত চাকমাসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে প্রত্যেকটি স্টলসমূহ পরিদর্শন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না নাসরিন উর্মিসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
উন্নয়ন মেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন, মহালছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, উপজেলা নির্বাচন অফিস, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ছাড়াও উপজেলার প্রতিটি দপ্তরের একটি করে স্টল বসানো হয়। নানা সাজে সজ্জিত স্টল সমূহে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখের পড়ার মতো।
আলোচনায় বক্তারা বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের বিষয়ে আলোচনা করেন এবং উন্নয়নের ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
রাঙামাটিতে ৩দিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলা শুরু
ষ্টাফ রিপোর্টার :: রাঙামাটি পার্বত্য জেলার জিমনেসিয়াম মাঠে ৩ দিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলা ২০১৮ শুরু হয়েছে। আজ ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে উন্নয়ন মেলা ২০১৮ এর শুভ উদ্বোধন করেন। এর পূর্বে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের আয়োজনে উন্নয়ন মেলা ২০১৮ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
র্যালী এবং আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, এনডিসি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. টিপু সুলতান, রাঙামাটি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ, কে, এইচ, জাহাঙ্গীর হোসেন ও জেলার সরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ। মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন মেলায় আগত অতিথিরা।
লামায় ৩দিন ব্যপি উন্নয়ন মেলা শুরু
লামা (বান্দরবান)প্রতিনিধি :: উন্নয়নের রোল মডেল, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ স্লোগানে দেশব্যাপী উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তারই ধারাবাহিকতায় বান্দরবানের লামা উপজেলায় আজ ১১ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে ৩ দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।
লামা টাউন হলে আয়োজিত উন্নয়ন মেলায় ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগ করেন, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী, লামা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সায়েদ ইকবাল, লামা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার আলহাজ্ব শেখ মাহবুবুর রহমান, লামা প্রেস ক্লাব সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রিয়দর্শী বড়ুয়া, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নূরে আলম, এলজিইডি প্রকৌশলী মো. মোবারক হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, জোবাইরা বেগম, লামা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মো. ইউছুপ মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল বড়ুয়া, রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মংক্যহ্লা মার্মা, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিনসহ সরকারী বিভাগের সকল বিভাগীয় প্রধান ও স্কুল কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উপজেলা তথ্য অফিস প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সে উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শন করেন।
উন্নয়ন মেলায় অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠান গুলো হলো- উপজেলা তথ্য অফিস, লামা পৌরসভা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ, উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিস, প্রাণী সম্পদ বিভাগ, পরিসংখ্যান ব্যুরো, মৎস্য বিভাগ, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, লামা থানা পুলিশ, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিস, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, সমাজ সেবা কার্যালয়, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ, কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, হর্টিকালচার বিভাগ, রেশম উন্নয়ন বোর্ড, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, সোনালী, জনতা ও কৃষি ব্যাংক, লামা বনবিভাগ, কুটির শিল্প, উপজেলা আইসিটি বিভাগ, ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র, এবং বেসরকারী সংস্থা গ্রাম- ভাটি উন্নয়ন মেলার স্টলে অংশ নেন।
প্রসংগত জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারের গৃহীত উন্নয়ন কার্যক্রম সর্বস্তরের জনগণের মাঝে তুলে ধরা, সর্বস্তরের জনগণকে সরকারের উন্নয়ন কাজের সাথে সম্পৃক্ত করা; সরকারের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা, এমডিজি অর্জনে সরকারের সাফল্য প্রচার ও এসডিজি কার্যক্রম বাস্তবায়নে জনগণকে উদ্ভুদ্ধ করা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবর্গ ও সরকারি কর্মকর্তাগনের যৌথ অংশগ্রহণে স্থানীয় সমস্যা সম্পর্কে মতবিনিময় ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনা তৈরি এবং রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ তথা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের রাজধানীসহ দেশের জেলা ও উপজেলা সদরে শুরু হলো তিন দিনব্যাপী ‘উন্নয়ন মেলা- ২০১৮’।
বিশ্বনাথে ৩দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: ‘উন্নয়নের রোল মডেল, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ শ্লোগানকে সামনে রেখে সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা পরিষদের বিআরডিবি মাঠে তিনদিনব্যাপী উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশজুড়ে এ উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করেন তিনি।
এর আগে সকালে মেলা প্রাঙ্গন থেকে বের হওয়া র্যালি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মেলায় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতর, পুলিশ, ব্যাংক বীমা, ইউনিয়ন পরিষদ, ইউডিসি, পিঠা উৎসব, মিডিয়া কর্ণারসহ ২৬টি স্টল মেলায় অংশ নিয়েছে। বিগত বছর গুলোতে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রজেক্টরের তুলে ধরা হচ্ছে। উন্নয়ন মেলা চলবে ১৩ জানুয়ারী পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ মেলায় বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, উন্নয়নের ভিডিও প্রদর্শন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ ৩দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।
এসময় মেলা প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিতাভ পরাগ তালুকদার, বিশ্বনাথ সদর ইউপি চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, হাজী মফিজ আলী বালিকা বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নেহারুন নেছা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহবুব আলম সরকার, সমাজসেবা কর্মকর্তা আবু ইউসুফ, পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম কমলেশ বর্মণসহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ব্যক্তিবর্গ।
রাঙ্গুনিয়াতে ৩ দিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলা শুরু
রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি :: রাঙ্গুনিয়াতে তিনদিনব্যাপী উন্নয়ন মেলা অাজ বৃহস্পতিবার ১১ জানুয়ারী থেকে শুরু হয়েছে। উন্নয়ন মেলা উপজেলা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উন্নয়ন মেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামাল হোসেন। প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আলী শাহ।উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোহাম্মদ বদরুল আলমের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. আকতার হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর, আবদুল কাইয়ুম তালুকদার, শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, মো. সেলিম, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আক্রাম হোসেন, রাঙ্গুনিয়া প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক জিগারুল ইসলাম জিগার। সভা শেষে সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।