শুক্রবার ● ১২ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » সন্তু লারমা ও প্রসিত বিকাশ খীসার উগ্রতা এবং এক নায়কতন্ত্রের কারণে ৪০ এর অধিক নেতাকর্মী মারা গেছে : মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী
সন্তু লারমা ও প্রসিত বিকাশ খীসার উগ্রতা এবং এক নায়কতন্ত্রের কারণে ৪০ এর অধিক নেতাকর্মী মারা গেছে : মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী
মহালছড়ি প্রতিনিধি :: (২৯ পৌষ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.৪৪মি.) খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস সংস্কারপন্থি এমএন লারমা গ্রুপ)’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস সংস্কারপন্থি এমএন লারমা গ্রুপ)’র মহালছড়ি থানা শাখা। আজ ১২ জানুয়ারী শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় বিক্ষোভ মিছিলটি মহালছড়ির ব্রিজ পাড়া থেকে শুরু হয়ে উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কলা বাজারে এসে এক বিক্ষোভ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ মহালছড়ি থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক নরম বলী চাকমার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস সংস্কারপন্থি এমএন লারমা গ্রুপ)’র কেন্দ্রীয় কমিটির ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক থুইলাঅং মারমা, জন সংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস সংস্কারপন্থি এমএন লারমা গ্রুপ)’র খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সহ সভাপতি প্রিয় কুমার চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি মহালছড়ি থানা শাখার সভাপতি নীল রঞ্জন চাকমা, সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ ময় চাকমা, সহ তথ্য প্রচার সম্পাদক অমিয় কান্তি চাকমা, যুব কমিটি মহালছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি সুজন চাকমা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ মহালছড়ি থানা শাখার সদস্য তুষন চাকমা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পিসিজেএসএস সংস্কারপন্থি এমএন লারমা গ্রুপ সব সময় ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের বিপক্ষে। পিসিজেএসএস সন্তু লারমা গ্রুপ এর সন্তু লারমা ও ইউপিডিএফ’র প্রসিত বিকাশ খীসার উগ্রতা ও এক নায়কতন্ত্রের কারণে চল্লিশের অধিক নেতাকর্মী মারা গেলেও তাঁরা এ যাবত কাউকে প্রতিঘাত করা হয়নি। বরং উভয় দলের আধিপত্য বিস্তার ও অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারণে তাঁদের নিজেদের হাতে অনেক নেতাকর্মী খুন হয়েছেন। পিসিজেএসএস সংস্কারপন্থি এমএন লারমা পন্থী গণতান্ত্রিক ও শান্তি প্রিয় একটি রাজনৈতিক সংগঠন। ইউপিডিএফ’র কথিত নেতা মিঠুন চাকমাকে হত্যা করার প্রশ্নই আসেনা। মিঠুন চাকমার খুণীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জেএসএস ও করে আসছে। মিঠুন চাকমাকে কে বা কারা খুন করেছে অথচ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে তার দায়ভার জনপ্রিয় সংগঠন জেএসএস এর উপড় চাপাচ্ছে। জনসংহতি সমিতি’র সুনাম ও জনপ্রিয়তা দেখে জন বিচ্ছিন্ন সংগঠন ইউপিডিএফ অস্থির হয়ে পড়েছে। যার কারণে সংগঠনের ভাবমূতি ক্ষুন্ন করতে জেএসএস এর শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করেছে। ইউপিডিএফ’র উদ্দেশ্যে বক্তারা হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, অতিশীঘ্রই বানোয়াট ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার করুন, অন্যথায় অশান্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সমস্ত দায়ভার ইউপিডিএফকে নিতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারী দিন দুপুরে ইউপিডিএফ নেতা মিঠুন চাকমাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পানখাইয়াপাড়া এলাকায় দুর্বত্তরা খুন করে রেখে যায়। নিহত মিঠুন চাকমার আত্নীয় পরিচয়ে অনি বিকাশ চাকমা নামের একজন বাদী হয়ে গত ৯ জানুয়ারী জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস সংস্কারপন্থি এমএন লারমা গ্রুপ)’র চার শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতা ও ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) এর ১৪ কর্মীর নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন।