বৃহস্পতিবার ● ৩ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » জাতীয় » ভবিষ্যতে প্রতিবাদ নয়, প্রতিরোধের ডাক
ভবিষ্যতে প্রতিবাদ নয়, প্রতিরোধের ডাক
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি:: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় পরিষদের চেয়ারম্যানের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ও পরবর্তি করণীয় নিয়ে উপজেলাবাসীর সাথে মতবিনিয়ময় করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী৷ ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্বনাথ ডিগ্রী কলেজের পার্শ্ববর্তী মাঠে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ সভায় উপজেলার বিভিন্ন দলের ও মতের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন স্থরের কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন৷ উপজেলা চেয়ারম্যানের উপর হামলার ঘটনার পর জানাইয়া গ্রামবাসী নিয়ে কটুক্তির জন্য মতবিনিময় সভা থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়৷
অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা ও প্রাক্তন শিক্ষক আলহাজ্ব আব্দুল বারীর সভাপতিত্বে বিশাল মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, সুহেল আহমদ চৌধুরী কেবল একজন ব্যক্তি নন৷ তিনি উপজেলাবাসীর ভোটে নির্বাচিত উপজেলার শীর্ষ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি৷ তার উপর ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ নুর উদ্দিন ও তার অনুসারী বহিরাগত সন্ত্রাসীরা উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভা চলাকালীন সময়ে যে ন্যাক্কারজনক হামলা করেছে তা ভবিষ্যতে বিশ্বনাথের ইতিহাসে কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে৷
২৬ নভেম্বর যে ঘটনা ঘটেছে শুধু উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী সমস্ত বিশ্বনাথকে আঘাত করা হয়েছে ৷ পরিষদকে কলংকিত করেছে৷ একজন ব্যক্তির কারণে পুরো উপজেলা নষ্ট হতে পারেনা৷ ফলে আজ অন্যায়ের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন উপজেলাবাসি৷ বক্তারা আরো বলেন, নাদান বন্ধুর চেয়ে জানাবন্ধু অনেক ভাল৷ সমাজ সুন্দর করতে সামাজিক ব্যবস্থা ভাল করতে হয় ৷ সামাজিকভাবে অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে৷
মতবিনিময় সভার শুরুতে বক্তব্য কালে আবেগময় কণ্ঠে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী বলেন, আপনারা আমাকে স্নেহ ও ভালবেসে ভোট দিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করে আমাকে রক্ত ঋণে আবদ্ব করেছেন৷ তাই আমি আপনাদের কাছে চিরঋণী৷ আপনাদের এই ঋণের কিছুটা হলেও শোধ করতে প্রয়োজনে আমি আমার জীবন বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত রয়েছি৷
তিনি আরো বলেন, গত ২৬ নভেম্বর উপজেলা পরিষদের সভা চলাকালীন সময়ে পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ নুর উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আমার উপর ন্যাক্কারজনক হামলা করে বিশ্বনাথবাসীর হৃদয়ে আঘাত করেছে৷ আমি এই সব সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিচার আমার উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের কাছে ও প্রশাসনের কাছে রাখলাম৷ কারণ আমি মনে করি আপনাদের সবার কাছে আমি ন্যায় বিচার পাব৷
মাসিক বিশ্বনাথ ডাইজেস্ট সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জুবায়ের, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ফয়জুল ইসলাম জয় ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোতাহার আলীর যৌথ উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করেন উপজেলা খেলাফত মজলিশের সভাপতি মাওলানা আব্দুল মতিন৷
সভায় বক্তব্য রাখেন বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদাল মিয়া, তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরান রাব্বানী, বিশ্বনাথ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন, অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিল মিয়া, দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্বাস আলী, দেওকলস ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফখরম্নল আহমদ মতছিন, দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবারক আলী, মশররফ হোসেন, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ রজব আলী,উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল কালাম কছির, সাবেক চেয়ারম্যান আবারক আলী, ফখরুল আহমদ মতছিন, রজব আলী, মোশারফ হোসেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার তৈয়ব আলী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক আবদুল হাই, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের আহবায়ক সৈয়দ রাজ্জাক আলী, বৃৰপ্রেমিক আব্দুল গফ্ফার উমরা মিয়া, বিশ্বনাথ পুরান বাজার বণিক সমিতির সভাপতি মনির মিয়া, রামপাশা ইউপির বিশিষ্ট মুরব্বী মাস্টার আবদুল হেকিম, মুরব্বী তকদির মিয়া চৌধুরী, জামাল উদ্দিন,সিলেট জেলা যুবলীগ নেতা শেখ আজাদ, সিতার মিয়া, উপজেলা জাপার যুগ্ম-আহবায়ক রফিকুল আলম লালু,বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান নূর আসাদ, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মতিউর রহমান সুমন৷
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ.লীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ফারুক মিয়া, আ.লীগ নেতা বিমল চন্দ্র সরকার, নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর একান্ত সহকারি মঈনুল হক, এলাকার মুরব্বী মনু মিয়া, সিরাজ আলী, আখলিছ আলী সরকার, আবদুল মন্নান, হরুপ খান, আরশ আলী, আবদুর রব,শেখ নূর মিয়া, মখলিছুর রহমান, চমক আলী, চন্দন মিয়া,তালেব আলী, ছুটু মিয়া, ওয়ারিছ খান,আবুল হোসেন মেম্বার, এখলাছুর রহমান খান তসিল, আশিক মিয়া, মুল্লিক চৌধুরী, ইজার আলী, মাসুক মিয়া, তোরাব আলী, শেখ মনির মিয়া, আবারক আলী মেম্বার, আরব খান, হেলাল আহমদ মেম্বার, গোলাম হোসেন মেম্বার, বসারত আলী, আয়না মিয়া, চেরাগ আলী মেম্বার, কলমদর আলী, মখন মিয়া, আবদুস সুফান,জয়নাল আবেদিন, আবদুল বসর টুনু মিয়া, আইয়ুব আলী, ছোরাব আলী, মাহতাব উদ্দিন, নুরুল মিয়া, আবদুল হাই মালিক, আখরিজ উলস্না, জমিরম্নল ইসলাম কামালী, সমসির আলী, মানিক মিয়া, আবদুর রহিম, আতাউর রহমান, আবদুল মুছবি্বর, সৈকত আলী, গেদা মিয়া, আলকাছ আলী৷ এসময় উপজেলার সর্বদলীয় ও বিভিন্ন শ্রেনীর হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন৷