মঙ্গলবার ● ১৬ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » কৃষি » কাপ্তাই হ্রদের পানির স্থর না কমায় জলেভাসা জমির চাষীরা বিপাকে
কাপ্তাই হ্রদের পানির স্থর না কমায় জলেভাসা জমির চাষীরা বিপাকে
মহালছড়ি প্রতিনিধি :: (৩ মাঘ ১৪২৪ বাঙলা : বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৩৬মি.) প্রতিবছর এ সময়ে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্থর না কমায় একারণে খাগড়াছড়ি জেলাধীন মহালছড়ি উপজেলার জলেভাসা জমির কৃষকদের দুর্ভোগের অভিযোগ পাওয়া যায়। সময়মতো ধানের বীজ বপন করে চারা রোপন করতে না পারলে বর্ষার মৌসুম এসে গেলে তখন কৃষকদের উৎপাদিত ফলন পানিতে তলিয়ে যেতে দেখা যায়। সারা বছরের ফসল পানিতে তলিয়ে গেলে তখন কৃষকদের সর্বশ্রান্ত হয়ে কপালে হাত দিয়ে বসে থাকা ছাড়া কোন উপায় থাকেনা। স্থানীয় কৃষকেরা এ সমস্যার সমাধানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার দাবী জানিয়েও কোন সুফল পাচ্ছেন না । এবারেও একইভাবে অভিযোগ করেছেন মহালছড়ির জলেভাসা জমির বোরো চাষীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষি জমি পানিতে নিমজ্জিত থাকায় বোরো চাষীরা ধান রোপন করতে পারছেন না। এখনো কেউ কেউ ধানের বীজ বপন করতে পারেননি আর যারা বীজ বপন করেছে তাঁদের জমি এখনো ৩-৪ফুট পানির নীচে নিমজ্জিত । এদিকে ধানের চারার বয়স বৃদ্ধি হয়ে রোপনের সময় পার হয়ে যাচ্ছে।
মুবাছড়ি ব্লকের সিঙ্গিনালা গ্রামের কৃষক অংসাথোয়াই মারমা সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এর প্রতিনিধিকে বলেন, ধানের চারা এভাবে নষ্ট হয়ে গেলে গরীব চাষীদের বার বার বীজ ক্রয় করারও সামর্থ থাকেনা। জলে ভাসা জমিতে ঠিক সময়ে ধান রোপন করা সম্ভব না হলে কৃষকদের ক্ষতির সম্ভাবনা বেশী থাকে। কারণ ফলনের সময় বর্ষার পানিতে ফসল তলিয়ে গেলে কৃষকের কিছুই করার থাকেনা। সারাবছর অভাব অনটনের মধ্যে কাটাতে হয়। কৃষকদের এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।
মুবাছড়ি ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ঞোলামং মারমা সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এর প্রতিনিধিকে বলেন, মহালছড়ি উপজেলায় প্রায় ২’শ হেক্টরের অধিক জমি এখনো কাপ্তাই হ্রদের পানিতে নিমজ্জিত। কাপ্তাই হ্রদের পানি কমানো বা বাড়ানোর বিষয়ে কৃষি বিভাগের সাথে সংশ্লিষ্ট না থাকায় কৃষকদের সমস্যার সমাধান দেওয়া সম্ভব হয়না। তারপরও এ ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মহালছড়ির জলেভাসা জমির কৃষকদের দুর্দ্দশার কথা বিবেচনা করে কৃষি অফিস থেকে স্বল্প মেয়াদি বীজ ধান বিআর ১৪ বিতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। কৃষকেরা এ বীজ ব্যবহারে কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন বলে আশাবাদী তিনি।