শনিবার ● ২০ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » করোনা আপডেট » মোরেলগঞ্জে ও শরণখোলায় কমিউনিটি ক্লিনিক কর্মীদের ৩দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি
মোরেলগঞ্জে ও শরণখোলায় কমিউনিটি ক্লিনিক কর্মীদের ৩দিনব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি
বাগেরহাট অফিস :: (৭ মাঘ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.২৫মি.) চাকরি জাতীয়করণসহ ১০দফা দাবিতে কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার এ্যাসোসিয়েশনের (সিএইচসিপিএ) কর্মীরা আন্দোলনে নেমেছে। আন্দোলনের প্রথম দিন কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের কর্মীরা আজ শনিবার সকাল থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে তিন দিনের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে। এছাড়া, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছেন তারা।
মোরেলগঞ্জে উপজেলা সিএইচসিপিএ’র সভাপতি সাইফুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন হাওলাদার, সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান রুমান, দপ্তর সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন, পপি রানী বিশ্বাস ও সুমা দাস।অবস্থান কর্মসূচির প্রধান আলোচক ফারুক হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণ এবং ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের যে প্রত্যয় গ্রহণ করেছেন তা আমরা এই “সিএইচসিপিএ” কর্মীরাই বাস্তবায়ন করছি। প্রান্তিক এ স্বাস্থ্যখাতে আমাদের অগ্রণী ভূমিকা থাকায় ২০১৩ সালে চাকরি জাতীয়করণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজও সেই উদ্যোগ বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে, সারা বাংলাদেশে ১৩ হাজার সিএইচসিপিএ কর্মী আর্থিক অনটনে মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাই আমরা সাধারণ স্বাস্থ্যকর্মীরা চাকরি জাতীয়করণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।
বক্তারা বলেন, ‘২০১৩ সালে আমাদের চাকরী রাজস্ব খাতে নেওয়ার কথা থাকলেও আজ অবধি তা বাস্তবায়িত হয়নি। বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট নেই। অনিশ্চয়তাসহ মানবেতর জীবন যাপন করছি আমরা’। কর্মকর্তারা বেলা ১২টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রেসক্লাবে তাদের ১০দফা দাবি সম্বলিত স্মরকলিপি প্রাদন করেন।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত এই কর্মসূচী চলবে। টানা ৩ দিন বন্ধ থাকবে ৫১টি কমিউনিটি ক্লিনিক। ফলে স্বাস্থ্য সেবা পাবেন না গর্ভবতী মা, প্রসূতী মা, ও শিশুসহ ২ হাজার লোক।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামাল হোসেন মুফতিবলেন, সিএইচসিপিএ কর্মীরা কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করেই আন্দোলনে নেমেছেন। এর ফলে, মানুষ যাতে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য বিকল্পভাবে উপজেলার ৫১টি কমিউনিটি ক্লিনিকই চালু রাখা হয়েছে। এসব ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ কর্মীদের নিযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সিএইচসিপিএ কর্মীদের কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) প্রকল্পের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্বারকলিপি দিয়েছে। এখন চাকরি জাতীয়করণের বিষয়টি সরকার বিবেচনা করবে।