মঙ্গলবার ● ২৩ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » গৃহবধুর নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছাড়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির দাবি : গ্রেফতার-৩
গৃহবধুর নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছাড়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির দাবি : গ্রেফতার-৩
মো. আসাদুজ্জামান শামিম, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি :: (১০ মাঘ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.৪৬মি.) ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ কনষ্টেবলের স্ত্রী ও এক যুবককে বিবস্ত্র করে মোবাইলে নগ্ন ছবি ধারণ এবং ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করার চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ যুবককে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, পঞ্চগড় জেলার বোদা থানায় কর্মরত এক পুলিশ কনষ্টেবলের স্ত্রী ও ২ ছেলে ঠাকুরগাঁও শহরের গোয়ালপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে বসবাস করে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার সময় ২ সন্তানের জননী পুলিশের স্ত্রী বাড়িতে একা থাকাকালে ৫/৭ জন যুবক ওই বাসায় জোরপুর্বক প্রবেশ করে। তারা মোজাম্মেল হক নামে অপর যুবককে জরপুর্বক রাস্তা থেকে ধরে নিয়ে পুলিশের স্ত্রীর শয়ন কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে ওই যুবককে বিবস্ত্র করে পুলিশের স্ত্রীর সাথে অশালীন ভঙ্গিমায় মেলামেশার নগ্নছবি মোবাইলে ধারণ করে। ওইসময় গৃহবধূ বাধা দিলে রিপন, সোহাগ, নাহিদ, বাপ্পী ও নুরজামান তাকে চুলের মুঠি ধরে এলোপাথারী মারপিট করে। শুধু তাই নয়, ওই দুর্বত্তরা একশ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে পুলিশের স্ত্রী ও মোজাম্মেলকে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করে। পরে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও ছবিকে পূঁজি করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। অন্যথায় তাদের অশালীন ছবি ফেসবুক ও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। নিরুপায় হয়ে ওই গৃহবধু তাৎক্ষনিকভাবে ২০ হাজার টাকা দুর্বৃত্তদের হাতে তুলে দেয়। তারপরও তারা অবশিষ্ট টাকা বিকাশ করে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ তার স্বামী ও আত্বীয় স্বজনের সঙ্গে পরামর্শ করে শনিবার রাতে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, পর্ণোগ্রাফি এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নুর জামান ওরফে ছুটু (২৫), বাপ্পী ইসলাম (২৬) ও নাহিদ হোসেন (২৮) নামে ৩ জনকে গ্রেফতার করে। আজ ১৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরন করে।
অভিযুক্ত নুর জামান ছুটু পূর্ব গোয়ালপাড়া মহল্লার আবু তালেবের ছেলে, বাপ্পী ইসলাম দক্ষিন সালন্দর মুন্সিপাড়া গ্রামের জামাল ড্রাইভারের ছেলে এবং নাহিদ মাদরাসাপাড়া মুসলিম নগর গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে। পলাতক আসামীরা হলেন-গোয়ালপাড়া মহল্লার মৃত মোজহারুল ইসলামের ছেলে রিপন (৩০), একই মহল্লার এন্তাজুল ড্রাইভারের ছেলে সোহাগ (২৮), পুর্ব গোয়ালপাড়া মহল্লার মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে দিপু খান (২৫), একই মহল্লার নুরুল হকের ছেলে মামুন (২৫)। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম এর প্রতিনিধিকে বলেন, মামলার এজাহার নামীয় ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।