বৃহস্পতিবার ● ২৫ জানুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » মহাসংঘ নায়ক বরন উৎসব
মহাসংঘ নায়ক বরন উৎসব
রতিকান্ত তঞ্চঙ্গ্যা :: (পূর্বে প্রকাশের পর) ভিক্ষু অগ্রবংশ স্থবির তার ভিক্ষুত্ব জীবন বিশ বর্ষ (ওয়া) পূর্ণ হলে মহাস্থবির বা মহাসংঘনায়ক পদে বরন উপলক্ষে কমিটি গঠন করা হয়।
১। শ্রীযুক্ত কামিনী মোহন দেওয়ান(ভুতপূর্ব এমএলএ) -সভাপতি।
২। শ্রীযুক্ত তুষ্টমনি চাকমা সহ-সভাপতি
৩। শ্রীযুক্ত শৈলেশ কান্তি বড়ুয়া- সম্পাদক
৪। শ্রীযুক্ত সনৎ কান্তি বড়ুয়া - সহ সম্পাদক
৫। শ্রীযুক্ত চিত্রগুপ্ত চাকমা - সহ সম্পাদক
৬। শ্রীযুক্ত বিরাজ মোহন দেওয়ান- কোষাধ্যক্ষ
৭। শ্রীযুক্ত উপেন্দ্র লাল চাকমা - সদস্য
৮। শ্রীযুক্ত সত্যেন্দ্র লাল চাকমা - সদস্য
৯। শ্রীযুক্ত ব্রজেন্দ্র লাল চাকমা - সদস্য
১০। শ্রীযুক্ত নিবারন চন্দ্র দেওয়ান - সদস্য
১১। শ্রীযুক্ত অনন্ত কুমার চাকমা - সদস্য
১২। শ্রীযুক্ত অশ্বিনী কুমার চাকমা - সদস্য
১৩। শ্রীযুক্ত প্রফুল কুমার চাকমা - সদস্য
১৪। শ্রীযুক্ত বঙ্কিম কৃষ্ণ দেওয়ান - সদস্য
১৫। শ্রীযুক্ত সুকুমার বড়ুয়া - সদস্য
১৬। শ্রীযুক্ত যামিনী কুমার কার্বারী- সদস্য
পৃষ্ঠপোষকবৃন্দ:
১। মেজর রাজা ত্রিদিব রায় চাকমা রাজা (প্রধান পৃষ্ঠপোষক)
২। মং রাজা
৩। বোমাং রাজা
৪। রায় বাহাদুর বিরুপাক্ষ রায়
৫। শ্রীযুক্ত বলভদ্র তালুকদার (অবসরপ্রাপ্ত ম্যাজিষ্ট্রেট)
৬। শ্রীযুক্ত বিধুভুষন মুৎসুদ্দী (ডিষ্ট্রিক এডুকেশন অফিসার)
৭। শ্রীযুক্ত শশাংক কুমার দেওয়ান (হেডম্যান)
৮। শ্রীযুক্ত কৃষ্ণ মোহন খীসা (মহাজন)
৯। শ্রীযুক্ত পুরঞ্জয় খীসা (অগ্রগতি নেভিকেশান কোম্পানী স্বত্ত্বাধীকারী)
১০। শ্রীযুক্ত বিজয় চন্দ্র চাকমা (কন্ট্রাকটর)
রাজ বিহার ২ শে চৈত্র ১৩৭১ বাঙলা, রাঙামাটি ২৫০৮ বুদ্ধাব্দ, ১৯৬৫ খ্রীষ্টাব্দ। মহাস্থবির বরন উপলক্ষে নেপালের প্রধানমন্ত্রী শ্রী কীর্তি নিধিবিন্তাসহ বার্মা, জাপান, জার্মান রাষ্ট্রদূত (স্বস্ত্রীক) আর চট্টগ্রামসহ দেশের গণ্যমান্য পদস্থ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। উক্ত সময়ে রাজ পরিবারের চাকমা সলিল রায় রচিত বুদ্ধের স্মরনে জাগি নাটক মনস্থ হয়। এতে রাজ কুমারীসহ রাজ পরিবারের সদস্যরা অংশ গ্রহণ করে নাটকটি খুবই উপভোগ্য হয়।
আবার বিদেশ গমন
রাজগুরু অগ্রবংশ মহাস্থবির শুধু পার্বত্য অঞ্চলে নয়, সমতল চট্টগ্রামের ভিক্ষু সমিতি ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তাকে খুবই প্রয়োজন ছিল বলে আমন্ত্রিত হতেন। এমনকি ভারতেও আমন্ত্রিত অথিতি হিসেবে বড়বড় ধর্মানুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন। ১৯৭৩ সালে ভারতের ভুবনেশ্বরে আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ সম্মেলনে তিনি সভাপতি হিসেবে পালি ভাষায় বক্তব্য করেন। কলিকাতা মহাবোধি সোসাইটি কেন্দ্রে নিখিল ভারত বৌদ্ধ সম্মেলনে তিনি একদিন সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন। ১৯৭৯ সালে রাঙামাটি রাজ বিহার থেকে চলে যান কলিকাতা ধর্মাঙ্কুর বৌদ্ধ বিহারে। সেখানে বসে ছিলেন না, বাংলায় ইংরেজিতে ধর্মীয় গ্রন্থ প্রকাশ করেন। ভারতে অবস্থানরত চাকমাদের সাথে মিলিত হয়ে এবং শরণার্থী শিবিওে পূর্ণ সহযোগিতা করেছিলেন। তিনি জার্মান, সুইজারল্যান্ড, রাশিয়া, জেনেভা যোগদান করেছিলেন। ভারতে দিল্লি, নেপাল ও থাইল্যান্ড সম্মেলন করেছিলেন। কর্মবীর ভিক্ষু বিমলতিষ্য মহাস্থবিরের পরিচালনায় কলিকাতার অদূরে বোধিচারিয়া স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপিত হয়। রাজগুরু অগ্রবংশ মহাস্থবির ছিলেন এই প্রতিষ্টানের সভাপতি। তিনি ধর্মসংগীতিকারক, ত্রিপিটক বিশোধক, হিসেবে বিশ্ব বৌদ্ধ জাতির কাছে আরাধ্য। তার জ্ঞান গরিমার প্রতি নিরীক্ষাকরত: কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক তাকে পালি পরিক্ষক হিসেবে যোগ্যতার সম্মান প্রদান করা হয়। রাজগুরু শ্রীমৎ অগ্রবংশ মহাস্থবির আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন বৌদ্ধরাষ্ট্র ও বৌদ্ধ সংস্থার সঙ্গে এতদঅঞ্চলের জনগণের ধর্মীয় সামাজিক, সাংস্কৃতিক জীবনের নিবিড় যোগাযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হন।
Buddhists (Thailand),Mahabodhi society(india), Kalinga Nippon Buddhist sangha (japan), Union Buddha sasana council (burma), The colombo youngmens Buddhist Association (Srilanka), The Burma Buddhist world mission (Burma), London Buddhist society (London), All India Bengal Buddhist Association (India).
এইসব সংগঠন বা সংস্থার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার সঙ্গেসঙ্গে সরকারি পর্যায়েও রাজগুরু ভান্তে যোগাযোগ স্থাপনে সক্ষম হন। তন্মধ্যে ১৯৬৪ সালে সিংহলের (শ্রীলংকার) প্রধানমন্ত্রী এবং ১৯৬৭ সালে প্রাপ্ত আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পত্রাবলীতে তাদেও আগ্রহ, সহানুভুতি এবং সার্বিক সহযোগিতার অঙ্গিকার ব্যক্ত করা হয়েছে। সূত্র: শুভবানী, রাঙামাটি ১৯৬৭ সাল।
(“আলোকিত তঞ্চঙ্গ্যা ভিক্ষু” গ্রন্থ থেকে নেওয়া)