শনিবার ● ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » পাবনা » ঈশ্বরদীতে ধবংসের পথে আম কাঁঠালের বাগান
ঈশ্বরদীতে ধবংসের পথে আম কাঁঠালের বাগান
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি :: (২১ মাঘ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১২.৪২মি.) স্বাধীনতার পরবর্তী সময়েও ঈশ্বরদীর বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাক্তি মালিকানাধীন বড় বড় আম কাঁঠালের বাগান ছিল। কৃষিতে আধুনিক চাষাবাদ,অবৈধ ও অপরিকল্পিত ইটভাটা তৈরীর ফলে সে সব বাগান আজ ধবংসের পথে। এখন বড় আম কাঁঠালের বাগানের কথা ভাবা মানে শুধুই স্মৃতি। এমন এক পরিস্থিতেও ঈশ্বরদীর সাহাপুরে এ্যাড.রবিউল আলম বুদুর গ্রামের বাড়িতে একটি মাত্র বিশাল আমবাগান অরক্ষিত রয়েছে। বাগানটিতে টি বৃহতাকৃতির উন্নত জাতের আমগাছ রয়েছে। বাগানের পশ্চিমাংশে রয়েছে বাবা মার কবর আর শান বাঁধা পুকুরঘাট। পশ্চিম ও দক্ষিণাংশ দিয়ে দু’টি পৃথক কার্পেটিং রাস্তা বাগানটির গুরুত্ব বৃদ্ধি করায় দর্শনার্থীরাও উপকৃত হয়েছে। পারিবারিক অনুষ্ঠানসহ পিকনিক ও শ্যুটিংয়ের কাজে বাগানটি ব্যবহারের জুরি নেই।শুধু তাই নয়,বাগানটির কারণে অক্সিজেনের ঘাতটি না থাকায় নিকটস্থ এলাকার মানুষের স্বাথ্য রয়েছে যথেষ্ট ভাল। নিজেরা আন্তরিক হওয়ায় নিজেদের ও এলাকার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এবং পরিবেশ ও ইতিহাস সৃষ্টির জন্যই মূলতঃ বাগানটি এখনও অক্ষত রাখা হয়েছে।
স্বাধীনতার পর থেকে ক্রমান্বয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে আর্থিক,ফার্ণিচার ও নানাবিদও চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে ঈশ্বরদীর বিভিন্ন এলাকার বড় বড় আমকাঁঠালের বাগান ধবংস করা হয়েছে। তৈরী করা হয়েছে নতুন নতুন সবজি ও ফসলের জমি। আধুনিক ফলের চাষাবাদ ও ইটের ভাটা হওয়াতে ক্রমান্বয়ে পুরনো আম, কাঁঠালের বাগান কেটে সেসব জমিতে করা হয়েছে লিচু, থাই পেয়ারা, চায়না লেবু ও কলার বাগান।
বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির কেন্দ্রিয় সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ময়েজ বলেন, নতুন করে আম, কাঁঠালের বাগান করা না হলে অচিরেই ঈশ্বরদী থেকে হারিয়ে যাবে অবশিষ্ঠ আম, কাঁঠলের বাগান।
ঈশ্বরদীর কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল লতিফ বলেন, লিচু, থাই পেয়ারা ও লেবুর বাগান লাভবান হওয়াতে অবশিষ্ঠ আম-কাঁঠালের বাগান গুলোও কেটে তৈরী করা হচ্ছে লিচু, থাই পেয়ারা ও লেবুর বাগান। আম, কাঁঠালের পুরনো বাগান এখন সচারচার চোখে পড়েনা। আম, কাঁঠালের বাগান কাটা অব্যাহত থাকলে এক সময় ঘরের আসবারপত্র ও ফার্নিচার বানানোর জন্যও কাঠ পাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন,আম-কাঁঠাল বাগান রক্ষায় জরুরিভাবে নতুন করে আম, কাঁঠালের চারা রোপন করতে হবে।
রাবির সাবেক ছাত্রলীগনেতা,সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবি নেতা ও ঈশ্বরদীর সাহাপুরের বাসিন্দা আমবাগান বাগান মালিক অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু বলেন, আমাদের আমবাগানটি শত বর্ষের পুরনো। আমবাগানটি আমার বাবা মৃত হারান আলী সরদারের আমবাগান নামে পরিচিত। তিনি বলেন, বর্তমানে ঈশ্বরদীতে এত পুরনো আমবাগান একটিও চোখে পড়েনা। নতুন ভাবে আম, কাঁঠালের চারা রোপন করা না হলে এক সময় বিলুপ্তির পথে চলে যাবে আম, কাঁঠালের বাগান।