সোমবার ● ৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » কক্সবাজার » উখিয়ায় দৈনিক হিমছড়ি’র বর্ষপূর্তি পালন
উখিয়ায় দৈনিক হিমছড়ি’র বর্ষপূর্তি পালন
উখিয়া প্রতিনিধি :: (২৩ মাঘ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.১৬মি.) কক্সবাজারের বহুল প্রচারিত দৈনিক হিমছড়ি পত্রিকা ২২ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে উখিয়ায় র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৫ ফেব্রুয়ারী সোমবার বিকেল ৩টায় উখিয়া প্রেসক্লাবে ভোরের কাগজ ও সকালের কক্সবাজারের ষ্টাফ রিপোর্টার গফুর মিয়া চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নতুন ধারার দৈনিক আমাদের সময় ও দৈনিক হিমছড়ি’র উখিয়া প্রতিনিধি পলাশ বড়ুয়া।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া প্রেস ক্লাব সভাপতি বর্ষীয়ান সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথিদের মধ্যে উখিয়া কলেজের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক তহিদুল আলম তহিদ, দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিনিধি প্রবীণ সাংবাদিক রফিক উদ্দিন বাবুল, মানবজমিনের ষ্টাফ রিপোর্টার সরওয়ার আলম শাহীন, উখিয়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার, আলোকিত বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি এএইচ সেলিম উল্লাহ, যুগান্তরের উখিয়া প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম আজাদ, উখিয়া ক্রাইম নিউজ সম্পাদক ও কক্সবাজার ৭১ প্রতিনিধি মাহমুদুল হক বাবুল, সিএসবি ২৪ সংবাদদাতা সবুজ বড়ুয়া।
সভায় বক্তারা বলেন, “উন্নয়ন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করে দৈনিক হিমছড়ি।” কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত এ পত্রিকাটি দীর্ঘ ২১ বছর সুদৃঢ় অবস্থান অক্ষুন্ন রেখে মানসম্মত ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে ২২ বছরে পদার্পণ করেছে আজ। দলমতের উর্ধ্বে উঠে জেলাবাসীর সুখ-দুঃখের খবর এই পত্রিকায় অতি গুরুত্ব পেয়ে থাকে। তাই আজ হিমছড়ির অবস্থান সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের লেখনী বাঁধাগ্রস্থ করতে সরকার ডিজিটাল আইন তৈরির নামে ৩২ ধারা ছাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ আইন বাস্তবায়ন হলে স্বাধীন সাংবাদিকতা বাঁধাগ্রস্থ ও গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার সামিল। তাই এ ধরণের কালো আইন বাতিল করার জোর দাবী করেন নেতৃবৃন্দ। তথাকথিত ডিজিটাল আইনের নামে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্বপালনে তথ্যসংগ্রহকে “গুপ্তচর” আখ্যায়িত করার বিষয়টিও অত্যন্ত নিন্দনীয়। একই সাথে সাংবাদিক নেতারা জোর দিয়ে বলেন, সাংবাদিকদের ন্যায্য দাবী সরকার নবম ওয়েজবোর্ড ঘোষণা করলেও এই সুবিধা ঢাকা ও বিভাগীয় শহরে আবদ্ধ না রেখে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকদের নবম ওয়েজবোর্ডের আওতায় আনার দাবী জানান।