বুধবার ● ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিয়ে করে বেকায়দায় ষাটোর্ধ্ব প্রবাসী আব্দুল মতিন
বিয়ে করে বেকায়দায় ষাটোর্ধ্ব প্রবাসী আব্দুল মতিন
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (২৫ মাঘ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২.১৮মি.) সিলেটের বিশ্বনাথে বিয়ে করে বেকায়দায় পড়েছেন আব্দুল মতিন নামে ষাটোর্ধ এক লন্ডন প্রবাসী। বিয়ের ২মাসের মাথায় স্ত্রীকে তালাক নোটিশ পাঠিয়ে ধারাবাহিত ৩টি মামলার আসামী হতে হয়েছে ওই প্রবাসীকে। তাই ষড়যন্ত্রমূলক একাধিক মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের আবেদন জানিয়ে সিলেটের ডিআইজি, পুলিশ সুপার ও প্রবাসী কল্যাণ সেল-এ সোমবার স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আনফর আলীর পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল মতিন।
স্মারকলিপিতে প্রবাসী আব্দুল মতিন উল্লেখ করেন, তার স্ত্রী মৃত্যুবরণ করায় গত বছরের ৩ অক্টোবর উপজেলা দৌলতপুর ইউনিয়নের চরচন্ডি গ্রামের জহির উল্লাহর মেয়ে রাজনা বেগম (২৭) কে মুসলিম শরিয়তের বিধানমতে বিয়ে করেন। বিয়ের পরে তিনি বুঝতে পারেন তার স্ত্রী একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য ও একাধিক পুরুষের সঙ্গে তার অবৈধ সর্ম্পক রয়েছে। সম্পদ আত্মসাৎ করতে এই বিয়ের নাটক সাজিয়ে তাকে বেকায়দায় ফেলা হয়েছে। এরপর স্ত্রীকে তিনি বারন করার পরও সে কর্ণপাত না করায় বাধ্য হয়ে গত ৬ডিসেম্বর স্ত্রী রাজনা বেগমের কাছে ডাকযোগে তালাক নোটিশ প্রেরণ করেন আব্দুল মতিন। উক্ত তালাক নোটিশ হাতে পাওয়ার পরই গত ১৪ডিসেম্বর সিলেট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ৩য় আদালতে স্ত্রী আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা (সিআর-৩৬২/১৭) দায়ের করেন রাজনা। উক্ত মামলা দায়েরের ৫দিন পর মোকদ্দমাটি আদালত থেকে বিবাদী আব্দুল মতিনের অগোচরে উঠিয়ে আনা হয়। এরপর গত ১৩ জানুয়ারি এলাকার চিহিৃত দালালদের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং কাল্পনিক উক্তি দিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ঠ করার চেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় মামলা (মামলা নং-৭) দায়ের করেন রাজনা বেগম। পরবর্তিতে গত ১ফেব্রুয়ারি মেয়ের গর্ভের সন্তান নষ্ঠ ও মারপিট করে আহত করার অভিযোগে রাজনা বেগমের পিতা বাদি হয়ে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। উক্ত মামলায় আব্দুল মতিন’সহ ৪জনকে আসামী করা হয়েছে। উক্ত মামলার এজাহারে উল্লেখিত গত ২৪ জানুয়ারী রাত ৯টার দিকে চড়চন্ডি গ্রামস্থ প্রবাসী আবদুল মতিনের স্ত্রী রাজনা বেগমের পৈত্রিক বাড়িতে গিয়ে যে হামলা ও মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে তার সঠিক নয়। ঐদিন এধরের কোন ঘটনাই ঘটেনি। রাজনা বেগমের পৈত্রিক বাড়ি হতে আব্দুল মতিনের বাড়ির দূরত্ব প্রায় ৫কিলোমিটার। রাজনা বেগম, তার পিতা জহির উল্লাহ ও এলাকার দালালরা অবৈধ ফায়দা হাসিলের অসৎ উদ্দেশ্যে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানী করছেন বলে স্মারকলিপিতে আব্দুল মতিন উল্লেখ করেন। ন্যায় ও সুবিচারের স্বার্থে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতঃ ষড়যন্ত্রমূলক এসব মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই পেতে স্মারকলিপিতে আবেদন জানান প্রবাসী আব্দুল মতিন।