বুধবার ● ৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » জাতীয় » ক্ষমতাসীন দলের সদস্য-সমর্থকদের ব্যাংক লুটপাটের কাহিনী দিন দুপুরে ডাকাতির সমতুল্য : বাম মোর্চা
ক্ষমতাসীন দলের সদস্য-সমর্থকদের ব্যাংক লুটপাটের কাহিনী দিন দুপুরে ডাকাতির সমতুল্য : বাম মোর্চা
ঢাকা প্রতিনিধি :: (২৫ মাঘ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.০৯মি.) আজ ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিপিবি-বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সভায় গৃহিত এক প্রস্তাবে উপরোক্ত বক্তব্য প্রদান করা হয়
সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদ কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা ফখরুদ্দিন কবীর আতিক, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক ফিরোজ আহমেদ ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য আকবর খান।
প্রস্তাবে বলা হয় বর্তমান সরকারের গত নয় বছরের শাসন আমলে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে বড় বড় দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে। লুটেরারা ২০১০ সালে শেয়ার বাজার লুট করেছে। ঋণের নামে লুটে নিয়েছে সোনালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক ও জনতা ব্যাংকে রক্ষিত সাধারণ মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকার আমানত। জনতা ব্যাংকের সদ্য প্রকাশিত লুটের লোমহর্ষক কাহিনী যেকোনো চাঞ্চল্যকর ব্যাংক ডাকাতির কাহিনীকেও হার মানাবে। ব্যাংক কোম্পানী আইন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ প্রদান নির্দেশিকার তোয়াক্কা না করে জনতা ব্যাংক পরিচালকবৃন্দ একক গ্রুপকে তাদের পরিশোধিত পুঁজির ৩০০% ঋণ প্রদান করেছে। এর দায়িত্ব বহন করতে হবে অসৎ ব্যাংক কর্মকর্তা, বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত কমিশনভোগী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, তদারকি সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাবৃন্দ ও সর্বশেষ রাজনৈতিক বিবেচনায় ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের সদস্য নিয়োগকারী অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তদের।
প্রস্তাবে আরো বলা হয় এ সরকারের আমলেই ডেসটিনির মত সংগঠন সরকারের নিকটজনদের সহযোগিতায় জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সরকারের নিকটজন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর দাবি করেছেন এ সরকারের আমলে দেশ থেকে ছয় হাজার পাঁচ শত কোটি ডলার বিদেশে পাচার হয়ে গেছে। প্রস্তাবে বলা হয় এ সরকারের আমলে ব্যাংক খাতসহ আর্থিক খাতে হরিলুট সংঘটিত হয়েছে। জনতা ব্যাংক দুষ্কান্ডের হোতা কোম্পানীর মালিকের সাথে অর্থমন্ত্রী, নৌ পরিবহন মন্ত্রীসহ এ সরকারের ঘনিষ্টজনদের ছবি সামাজিক গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আমলা, সরকার দলীয় নেতৃবৃন্দ, সমর্থকরা, সর্বব্যাপী দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে।
জনগণের প্রতি শাসক দলের লুটপাটে সৃষ্ট গণঅসন্তোষকে গণঅভ্যুত্থানে পরিণত করার আহবান জানিয়ে প্রস্তাবে বলা হয় আসুন দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করি এবং দেশের জনগণের লুণ্ঠিত অর্থ জনগণকে ফেরত দিতে লুটেরাদের বাধ্য করি।
অপর এক প্রস্তাবে বলা হয় ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার দ্বন্দ্বে নাজেহাল হচ্ছে সাধারণ মানুষ। গণতল্লাশী, গণগ্রেফতার এবং গ্রেফতার বাণিজ্যে নাকাল দেশবাসী। প্রস্তাবে জনগণকে শাসকগোষ্ঠীর এই ক্ষমতার খেলার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানানো হয়।