বৃহস্পতিবার ● ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বাসিয়া নদীর পুনঃখনন কাজ ফের শুরু
বাসিয়া নদীর পুনঃখনন কাজ ফের শুরু
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (২৬ মাঘ ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.১২মি.) বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের মধ্যদিয়ে বয়ে যাওয়া এক সময়ের খড়স্রোতা বাসিয়া নদীর অবশিষ্ট অংশে ফের পুনঃখনন কাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কালিগঞ্জ বাজারের পশ্চিম দিক থেকে এই খনন কাজ শুরু হয়।
২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাষ্ট ফান্ডের অর্থায়নে ৭ কিলোমিটার ‘বাসিয়া নদী পুনঃখনন প্রকল্প’ বাস্তবায়নের কার্যক্রম গ্রহণ করে সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ড। তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে উপজেলা পরিষদের গেটের সামন থেকে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকায় ৭ কিলোমিটার পশ্চিম দিকে এই খনন করার কথা। গত বছরের ১০ফেব্রুয়ারি এই খনন কাজ শুরু হয়। কিন্ত ২কিলোমিটার খনন কাজ করার পর বন্যার কারণে কাজ স্থগিত করা হয়। গত বছর যে স্থান থেকে নদী খননকাজ বন্ধ করা হয়েছিল সেই স্থান থেকেই বৃহস্পতিবার পুনঃরায় খনন কাজ শরু করা হয়েছে।
এদিকে, উপজেলা সদর ও কালিগঞ্জ বাজার এলাকায় বাসিয়া নদীর দু-পাড়ে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও নদীর সীমানা নির্ধারণ না করেই এই খনন কাজ শুরুর করার অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে নদী খনন ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার দাবিতে বাঁচাও বাসিয়া নদী ঐক্য পরিষদ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। উপজেলা সদর ও কালিগঞ্জ বাজারে বাসিয়া নদীর দুই তীরে গড়ে উঠা ১৭২টি অবৈধ স্থাপনার তালিকা তৈরি করে প্রশাসন। এরপর গড়ে উঠা এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি উচ্ছেদ মামলা করা হয়। পরবর্তিতে দখলদারদের পক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে একটি রিট করা হলে আদালত ৬মাসের জন্য মামলাটি স্থগিত করেন। চলতি মাসে ৬মাস পূর্ণ হবে এবং আগামী ১৮ফেব্রুয়ারি সিলেট জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর কার্যালয়ে মামলার শুনানী অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
জানা যায়, সুরমা নদীর শাখা নদী ‘বাসিয়া’ এক সময় প্রচন্ড খড়স্রোতা ছিল। কালের বির্বতনে পাহাড়ি ঢল ও পলি মিশ্রিত বন্যার পানিতে ভরাট হতে থাকে বাসিয়ার তলদেশ। এছাড়াও বিশ্বনাথ বাজার এলাকায় নদীতে বর্জ্য ফেলে ভরাট করে দেয়া হয়েছে নদীর স্বাভাবিক গতি পথ। সঙ্গে সঙ্গে ভূমি দস্যুতা দখল করে নিয়েছে নদীর দুই তীর। গড়ে তুলেছে শত শত অবৈধ স্থাপনা। শেষ পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্চেদ করে নদীর খনন কাজ সম্পন হবে কি না এনিয়ে ধ্রুমজাল দেখা দিয়েছে।
চলমান মামলা নিস্পত্তির মাধ্যমে নদীর সীমানা নির্ধারণ করে দু’তীরে গড়ে উঠা সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্চেদ করে নদী পুনঃখনন কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন বাঁচাও বাসিয়া ঐক্য পরিষদের আহবায়ক ফজল খান। এজন্য তিনি এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতার কামনা করেন।