রবিবার ● ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » দিনাজপুর » পার্বতীপুরে পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি জবর দখলের চেষ্টা
পার্বতীপুরে পুলিশ কর্মকর্তার বাড়ি জবর দখলের চেষ্টা
পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি :: (৬ ফাল্গুন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.০৭মি.) দিনাজপুরের পার্বতীপুরে শহীদ মাহবুব সেনা নিবাস এলাকার এক পুলিশ অফিসারের বাড়ি জবর দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী জনৈক মাহফুজুর রহমান ও তার ভাড়াটে সন্ত্রাসী বাহিনী। এ অভিযোগ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর উপ-পরিদর্শক রাসেল মাহমুদ সরকারের।
গতকাল শনিবার দুপুরে সরেজমিন উপজেলার পলাশবাড়ি ইউনিয়নের শহীদ মাহবুব সেনানিবাস পার্শ্ববর্তী খোলাহাটি ধোপাকল (বালাপাড়া) এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখনকার ৯নং ওয়ার্ডে ধোপাকল মৌজার ২২৪/২৪০ নং খতিয়ান, ১৪৯ দাগে মোট জমির পরিমান ১ দশমিক ৬২ একর। ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময়ে ওই জমির মধ্যে দশমিক ৯১ একর জমি ক্রয় করেন রাসেল মাহমুদের বাব-মা। তারও কিছু পরে জনৈক মাহফুজুর রহমানসহ আরও ১৭ ব্যক্তি অবশিষ্ট জমি ক্রয় করেন। তার মধ্যে মাহফুজুর রহমান দশমিক ১৫ একর জমি ক্রয় করে সেখানে গাছপালা লাগিয়ে ভোগ দখল করছেন। অন্যরাও বাড়িঘর ও প্রাচীর তুলে নিজ নিজ জমি ভোগ দখলে রেখেছে। বর্তমানে এ এলাকার জমির দাম বহুগুন বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব জমির উপর প্রভাবশালীদের নজর পড়ে। শুরু হয় জমি জবর দখলের প্রতিযোগীতা। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, এলাকার জমি কেনাবেচায় মধ্যসত্বভোগী (দালাল) বাসেদ, মাজেদ, মজিদ, ওয়াজেদ ও খায়রুলকে নিয়ে নতুন খেলায়-নামে মাহফুজুর রহমান। তিনি দাবী করেন, তার জমি থেকে প্রধান সড়কে যাওয়ার জন্য ৮ফুট প্রশস্ত রাস্তা করার মত যায়গা ছেড়ে না দিলে তিনি রাসেল মাহমুদের পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে রাস্তা বানাবেন। না হলে প্রাচীর ভেঙ্গে ওই স্থানে তার ক্রয়কৃত ১৫শতক জমির দখল বুঝে নিবেন। এ ব্যাপারে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে রাসেল মাহমুদকে নানা হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। এ নিয়ে পার্বতীপুর মডেল থানায় রাসেল মাহমুদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীসহ একাধিক হয়রানী মূলক মামলা করে মাহফুজুর রহমান। এসব মামলায় রাসেল মাহমুদের মা-বাবা, পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও বন্ধুবান্ধবদের মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী হিসেবে প্রমান করার নানামুখী তৎপরতা চালিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ করেন রাসেল মাহমুদ। এ ব্যাপারে ধোবাকল বালাপাড়া গ্রামে রাসেল মাহমুদের প্রতিবেশী গৃহবধূ জান্নাতুন, হাসনা বেগম ও আলহাজ্জ্ব আব্দুল বাতেন জানান, প্রায় ২২ বছর আগে মাহফুজুর রহমান ১৪৯ দাগে দশমিক ১৫ একর জমি ক্রয় করেন। বর্তমানে নিজের সুবিধামত দুই জায়গা মিলে দশমিক ১৫একর জমি দাবী করায় বর্তমান বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। মাহফুজুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে রাসেল মাহমুদের বিরুদ্ধে পার্বতীপুর মডেল থানায় চাঁদাবাজির মামলা দায়েরের কথা তিনি স্বীকার করেছেন।