রবিবার ● ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » পটুয়াখালী » পটুয়াখালীতে বিদ্যুৎ সংযোগের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ
পটুয়াখালীতে বিদ্যুৎ সংযোগের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ
হাসান আলী,পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: (৬ ফাল্গুন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.৫৩মি.)পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের কিসমত শ্রীনগর গ্রামে গ্রাহকদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগের নামে প্রতারনার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন গ্রামবাসী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে কাফুলা গ্রামের আবদুল খালেক হাওলাদারের বিরুদ্ধে কিসমত শ্রীনগর গ্রামের ৩০ জন গ্রাহক স্বাক্ষরিত ২ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা আত্মসাতের লিখিত অভিযোগটি দাখিল করেন ২৮ জানুয়ারি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযোগটি তদন্তের জন্য মির্জাগঞ্জ থানায় প্রেরন করেছেন। এদিকে তদন্তের ১৯দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেননি তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই মোঃ কবির হোসেন।
অভিযোগে জানা যায়, মির্জাগঞ্জ উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের কিসমত শ্রীনগর ও কাফুলা গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের বিআরইবি প্রকল্পের অধীনে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া ও বিদ্যুতের খুটি কিনে আনার কথা বলে একই গ্রামের মোঃ আবদুল খালেক ৫৪ জন গ্রাহকের কাছ থেকে ৫ হাজার ৫শত টাকা করে ২ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা উত্তোলন করেন গত বছরের মার্চ মাসে এবং দুই মাসের মধ্যে বিদ্যুত সংযোগ দেয়ার কথা বলেন।
অভিযোগকারী মোঃ খোকন হাওলাদার ও মোঃ ইউসুফ জানান,এক বছর আগে টাকা দিয়েছি এখন পর্যন্ত বিদ্যুত পাইনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দেওয়ার পরে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা শ্রীনগর গ্রামে সিলভাইরার পার বাজারে আবদুল খালেককে পেয়ে উক্ত গ্রাহকরা টাকা ফেরৎ চায়। টাকা না পেয়ে গ্রাহকরা তাকে রশি এনে বেধেঁ ফেলার চেষ্টা করেন। পরে খালেক হাওলাদারের পুত্র এসে বিদ্যুতের নামে যে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে তা দুই দিনের মধ্যে ফেরৎ দেয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু এর ১৬ দিন অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত উত্তোলনকৃত টাকা না দিয়ে টালবাহানা করছে এবং এখন অভিযুক্ত আবদুল খালেক খুঁটি পরিবহনের জন্য আরো ৬০ হাজার টাকা দাবী করেছেন বলে জানান গ্রাহকরা।
এ বিষয়ে মোঃ আবদুল খালেক টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন, গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা উঠিয়ে অফিসে জমা দিয়েছি। কয়েক দিনের মধ্যে বিদ্যুতের খুটি বসানো হবে। এখন ঠিকাদার খুটি পরিবহনের জন্য আমার কাছে ৬০ হাজার টাকা দাবী করেন। টাকা না দিলে বিদ্যুতের মালামাল পরিবহনসহ কাজ না করার কথা বলেন।
এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের জিএম বলেন, সরকার সম্পূর্ণ বিনা খরচে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছে। এতে গ্রাহককে কোন টাকা দিতে হবেনা। যদি কেউ কোন গ্রাহকের কাছ থেকে একটি টাকাও উত্তোলন করে তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা মির্জাগঞ্জ থানার এএসআই মোঃ কবির হোসেন বলেন, বিদ্যুত সংযোগের নামে টাকা উত্তোলনের ঘটনা সত্যতা পাওয়া গেছে। আবদুল খালেক গ্রাহকদের কাছ থেকে বিদ্যুতের নামে যে টাকা উত্তোলন করেছেন তা ১৫ দিনের মধ্যে ফেরত দিবেন। টাকা ফেরৎ না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ্ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, তদন্তের জন্য মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে প্রতারনা মূলক মামলা দায়ের করা হবে।