সোমবার ● ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
প্রথম পাতা » ফিচার » সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়নে প্রাথমিক দন্ত পল্লী চিকিৎসকরাও অংশীদার
সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়নে প্রাথমিক দন্ত পল্লী চিকিৎসকরাও অংশীদার
অভিজিৎ দে রিপন :: স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার। দেশের সার্বিক উন্নয়নে একটি সুস্থ সবল জনগোষ্ঠিই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। স্বাধীনও যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের ভেঙ্গে পড়া স্বাস্থ্যখাতকে পুনঃগঠনে স্বাধীন বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা, বাংলার স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি দেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে মাত্র সাড়ে তিন বছরের সরকারে দেশের হাসপাতালসমুহে ডাক্তার, র্নাস নিয়োগ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়ে দেশের চিকিৎসাসেবাকে পুনরুজ্জীবিত করেন। ১৯৭৩ সালে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মাধ্যমে পূর্বে ১৯১৪-১৯৬৪ সালের লাইসেন্সশিয়েট অব মেডিকেল ফ্যাকাল্টি (এল.এম.এফ) মেম্বার অব মেডিকেল ফ্যাকাল্টি (এম.এম.এফ) চিকিৎসকগণের কারিকুলাম অনুসারে বাংলাদেশে মধ্যম মানের ডি.এম.এফ চিকিৎসক তৈরী করার জন্য সরকারী ম্যাটস (MAST) তৈরী করেছিলেন। পূর্বের এল.এম.এফ, এম.এম.এফ সনদধারী চিকিৎসকগণকে কনডেন্সে এম.বি.বি.এস কোর্স করিয়ে স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে পদোন্নতির মাধ্যমে মহকুমা হাসপাতাল ও প্রশাসনে নিয়োগ দিয়েছিলেন। এই ধারাবাহিকতায় স্বাধীন বাংলার স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত ও উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মানে বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বিশ্বশান্তির অগ্রদুত, মাদার অব হিউমিনিটি, মানবতার আশ্রয়দাতা, বিশ্ব ক্ষমতাধর রাষ্ট্র নায়কের দৃষ্টান্ত গনতন্ত্রের মানস কন্যা, জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্ন পুরণে যথাযথ মানসম্পন্ন আধুনিক স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোড়গোড়ায় পৌছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ২০০৮ ইং সালে নির্বাচনী ইশতিহারে (১১.১) গুরুত্বপুর্ণ কর্মসূচীর তালিকায় ছিল। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়ন ও তৃণমুল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে নতুন অবকাঠামো স্থাপন, উন্নয়ন, চিকিৎসা সেবা আধুনিকায়ন করে গড়ে তুলতে গ্রহণ করছে যুগউপযোগী উদ্যোগ। বর্তমান সরকারের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক একটি অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প। বর্তমানে দেশের উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে এই কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে স্বাস্থ্যসেবার সুফল পাচ্ছে জনগণ। জাতীয় ও আন্তজার্তিকভাবে বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস করণ, নিরাপদ মাতৃত্ব, মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবা এসব উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে ভূয়সী প্রশংসা পাচ্ছে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে সরকারের সাফল্যে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি লাভ করেছে। দেশের সর্বত্র ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার নেটওয়ার্ক বিস্তার লাভ করেছে। বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার অবকাঠামো এবং স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন এক যুগান্তকারী বিপ্লবের সূচনা করতে সক্ষম হয়েছে বর্তমান সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সোশাল প্রোগ্রেস ইমপারেটিভ ১৩৩টি দেশের উপর জরিপ চালিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করে জানিয়েছেন-পুষ্টি, প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা ও স্বাস্থ্য এই তিন খাতে বাংলাদেশ এগিয়ে। বর্তমান মানুষের গড় আয়ু ৭১.৮ বছর। এর মধ্যে মহিলাদের ৭৩.১ বছর এবং পুরুষের ৭০.৬ বছর। বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছে। সকল চিকিৎসা সেবা উন্নয়নের সাথে দন্ত চিকিৎসা সেবায় ও অতীতের চেয়ে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, বাংলাদেশে ১৭ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত দন্ত চিকিৎসা সেবায় বিশেষজ্ঞ দন্ত চিকিৎসক প্রায় ১২ হাজার,মেডিকেল ডেন্টাল টেকনোলজিস্ট প্রায় ১৮ হাজার এবং প্রাথমিক দন্ত চিকিৎসা বিষয়ে সার্টিফিকেট কোর্স ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড আওতাভুক্ত ডেন্টাল ডিপ্লোমা সম্পন্নকারী প্রাথমিক দন্ত (পল্লী) চিকিৎসক অর্ধলক্ষেরও অধিক সরকারের চলমান উন্নয়নমুখী ও আধুনিক চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত আছে। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৮৫ ভাগ মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বর্তমানে সরকারের বাস্তবায়িত কমিউনিটি ক্লিনিকের পাশাপাশি পল্লী চিকিৎসক ও দন্ত (পল্লী) চিকিৎসকদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে অধ্যবদী প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে পল্লী চিকিৎসক ও দন্ত (পল্লী) চিকিৎসকগন। দেশের শহর থেকে গ্রামীণ জনপদের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নিম্নবিত্ত ,অস্বচ্ছল ও হতদরিদ্র পরিবারের জনগোষ্ঠির প্রাথমিক দন্ত চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন দন্ত (পল্লী) চিকিৎসকগন। এই চিকিৎসক সমাজ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠির মাঝে স্বল্পমূল্যে প্রাথমিক দন্ত চিকিৎসা সেবা প্রদানের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিয়ে দেশের প্রাথমিক দন্ত চিকিৎসা সেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি সরকারের ঘোষিত স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন কর্মসুচী বাস্তবায়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভুিমকা রেখে চলেছে।
জটিল দন্ত রোগীদের ক্ষেত্রে সঠিক পরামর্শের মাধ্যমে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ডেন্টাল সার্জন , ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল, বিভিন্ন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, বিশেষজ্ঞ ডেন্টাল চিকিৎসকের নিকট পাঠানোর ক্ষেত্রেও প্রাথমিক (পল্লী) দন্ত চিকিৎসকগণ স্বস্থ্যসেবার উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামীণ জনগোষ্ঠির নিকট আস্থার প্রতীক হিসাবে বিবেচিত। বৃহত্তর এ অবহেলিত প্রাথমিক দন্ত চিকিৎসকগণের প্রয়োজন ও গুরুত্ব অনুধাবন করে তৎকালীন সরকার ১৯৮০ সালে মহান জাতীয় সংসদে রেজিষ্ট্রেশন প্রদানের আইন পাশ করেন। এর প্রেক্ষিতে ১৯৮২ সালে পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল ২৭৯ জন প্রাথমিক দন্ত (পল্লী) চিকিৎসককে রেজিষ্ট্রেশনও প্রদান করেন। পরবর্তীতে পরিক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রাথমিক দন্ত (পল্লী) চিকিৎসকদের ১৯৯০ ও ১৯৯৭ সালে দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে প্রাথমিক দন্ত (পল্লী) চিকিৎসকগন সকল শর্তাদি পূরণ করে আবেদন পত্র দাখিল করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুইবার পরিক্ষার জন্য ডাকা হলে অনিবার্য কারণ দেখিয়ে অদৃশ্য কারণে পরর্বতীতে দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পরিক্ষা স্থগিত করা হয়। যা বৃহত্তর প্রাথমিক দন্ত (পল্লী) চিকিৎসক জনগোষ্টিকে হতাশ করে। কিন্তু প্রাথমিক দন্ত চিকিৎসকগণের মান উন্নয়ন ও দাবী না হলেও সাধারণ জনগোষ্টির চিকিৎসা সেবা অব্যহত রেখে সাধারণ জনগোষ্টির সুখ দুঃখের সাথে থাকার পাশাপাশি সরকারের ঘোষিত স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। যা মানবতার মা খ্যাত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়,জাতীয় চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ এবং দেশের আপামর জনসাধারণ অবগত। তা সত্বেও অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল এ্যাক্ট -১৯৮০ বাতিল করে, প্রণীত বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল এ্যাক্ট ২০১০ এ কোন ক্যাটাগরিতে পল্লী চিকিৎসক ও প্রাথমিক দন্ত (পল্লী) চিকিৎসকদের অন্তর্ভুক্ত না করে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল এ্যাক্ট-২০১০ প্রণীত হয়।
প্রণীত উক্ত আইনের ধারা ২২ এর (১) ও (২) বলা হয়ঃ ২২। (১) অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন নিবন্ধন ব্যতীত কোন মেডিকেল চিকিৎসক বা ডেন্টাল চিকিৎসক এলোপ্যাথি চিকিৎসা করিতে অথবা নিজেকে মেডিকেল চিকিৎসক বা ক্ষেত্রমত ডেন্টাল চিকিৎসক বলিয়া পরিচয় প্রদান করিতে পারিবেনা। (২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে উক্ত লংঘন হইবে একটি অপরাধ এবং তিনি ৩ (তিন) বৎসর কারাদন্ড অথবা ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন। বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল এ্যাক্ট-২০১০ প্রণীত আইনের ধারা ২২ এর (১) ও (২) এর কার্যকারিতার ফলে অর্ধলক্ষেরও অধিক প্রাথমিক (পল্লী) দন্ত চিকিৎসকদের প্রশাসনিক হয়রানি , সামাজিক হেয় প্রতিপন্ন ও অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। বৃহত্তর এ প্রাথমিক (পল্লী) দন্ত চিকিৎসকদের পেশায় ব্যাঘাত সৃষ্টির কারণে পরিবারে নেমে আসে অন্ধকার ও আর্থিক দৈন্যদশা। একটি শ্রেণীর নেতিকবাচক প্রচারণার ফলে নানাভাবে সমাজে অবহেলার স্বীকারও হতে হচ্ছে সরকারের ঘোষিত ও পরিকল্পিত চিকিৎসা ব্যবস্থায় অবদান রাখা প্রাথমিক (পল্লী) দন্ত চিকিৎসকদের। সন্তানদের শিক্ষা, চিকিৎসা, অন্ন, বস্ত্র ও মানসন্মত বাসস্থানের লাঘাম টানতে পেশাগত সমস্যা সৃষ্টির ফলে বেগ পেতে হছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকদের পাশাপাশি স্বাধীনভাবে প্রাথমিক চিকিৎসাকগন প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন । অথচ বাংলাদেশে কার স্বার্থে তার বাত্যয় ঘটল তা আজও সাধারণ জনগনের এবং বৃহত্তর এ প্রাথমিক (পল্লী) দন্ত চিকিৎসকদের অজানা ।
উলেখ্য যে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ব্যক্তিগত চিকিৎসক,বাংলাদেশে পোষ্ট গ্রেজুয়েট মেডিকেল শিক্ষার জনক,নন্দিত চিকিৎসক ও দেশে বেসরকারি খাতে প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ইউএসটিসির প্রতিষ্ঠাতা,জাতীয় অধ্যাপক ডা. নুরুল ইসলাম দেশে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে প্রাথমিক পল্লী চিকিৎসক ও প্রাথমিক (পল্লী) দন্ত চিকিৎসকদের অবদানের কথা বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নিকট তুলে ধরেন। তাঁর এ উদারতাপূর্ন পরামর্শটি তৎকালীন সময়ে আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়। দুঃখজনক হলেও সত্য যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকতার সহিত গ্রহন করলেও বিষয়টি অদৃশ্য কারণে ঝুলে আছে।
আশার আলো, বর্তমানে জনবান্ধব ও স্বাস্থ্যবান্ধব সরকার বাংলাদেশ প্যারামেডিকেল শিক্ষাবোর্ড গঠনের জন্য ‘বাংলাদেশ প্যারামেডিকেল শিক্ষাবোর্ড আইন-২০১৫’ এর খসড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। ১০আগস্ট ‘বাংলাদেশ প্যারামেডিকেল শিক্ষাবোর্ড আইন - ২০১৬’ এর খসড়া চুড়ান্ত করতে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সূত্রে জানা যায়,১৯৮৯ সালের প্যারামেডিকেল নাম বিলুপ্ত করে ‘ডিপ্লোমা মেডিকেল বোর্ড’ গঠনে ১৮ নভেম্বর ২০১৭ আন্তঃমন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সিন্ধান্ত হয়। সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় গঠিত এই বোর্ডে ডিপ্লোমা মেডিকেল টেকনোলজি, ডেন্টিষ্ট্রি, ফার্মেসী ও ১১ (এগার) টি ডিপ্লোমা কোর্স, ৩ (তিন)টি সার্টিফিকেট কোর্সসহ এই আইনে এই ধরনের আরও কোর্স অন্তর্ভুক্তের সুযোগ রয়েছে। এই ডিপ্লোমা মেডিকেল বোর্ড গঠনপূর্বক প্রাথমিক দন্ত (পল্লী) চিকিৎসকদের যুগউপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিবন্ধন পূর্বক তৃণমুল মানুষের স্বাধীনভাবে প্রাথমিক দন্ত চিকিৎসা সেবা প্রদানের সুযোগ সময়ের দাবী। কারণ বর্তমানে সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়নে প্রাথমিক দন্ত (পল্লী) চিকিৎসক ও অংশীদার। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পূর্বে নির্বাচনী ইশতেহারে স্বাস্থসেবা জনগনের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার ঘোষনা দিয়েছিলেন।সরকার এই ক্ষেত্রে অনেক দুর এগিয়েছে।স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে সরকার ইতিমধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরুস্কারও অর্জন করেছে।এতে বিশ্ববাসীর কাছে সরকার নানা ভাবে প্রশংসিত। সরকারের এ অর্জনে সমস্ত পেশাজীবি চিকিৎসকদের সাথে প্রাথমিক দন্ত (পল্লী) চিকিৎসকদেরও রয়েছে অনন্য অবদান।সরকারের নতুন ভাবে গৃহিত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়িত না হলে পরিকল্পিত ও আধুনিক চিকিৎসা সেবা ক্ষেত্রে পড়বে দারুন প্রভাব ও বেকারত্বের চাপ। বৃহত্তর এ প্রাথমিক চিকিৎসক জনগোষ্টির ভাগ্য উন্নয়ন ও জীবন যাত্রার মান চেয়ে আছে মানবতার মা খ্যাত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপ ও কার্যকারিতার উপর।