রবিবার ● ৪ মার্চ ২০১৮
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » সুন্দরবনে বনরক্ষী-বনদস্যু বন্দুকযুদ্ধ ৬ জিম্মিসহ ৪টি নৌকা উদ্ধার
সুন্দরবনে বনরক্ষী-বনদস্যু বন্দুকযুদ্ধ ৬ জিম্মিসহ ৪টি নৌকা উদ্ধার
এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, সুন্দরবন থেকে ফিরে :: (২০ ফাল্গুন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.০০মি.) বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনে বনরক্ষী ও বনদস্যু মামা-ভাগ্নে বাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় দস্যুদের কবল থেকে ৬ জিম্মি ও ৪টি মাছ ধরা নৌকা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১টার দিকে শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্য কেন্দ্রের গাতার খাল নামক স্থানে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে বনরক্ষী ও কোস্টগার্ড সুন্দরবনে যৌথ অভিযান শুরু করেছে।
দস্যুদের আস্তানা থেকে উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন, মো. জাফর শেখ (২২), গাউস শেখ (৪২), গফ্ফার হাওলাদার (২৭), নাজমুল হক (২৬), আবুল বাশার (১৯) ও মনিরুল হক (২৩)। তাদের বাড়ি খুলনার দাকোপ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। বনবিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়রণ্য কেন্দ্র’র অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কামাল সরকার সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধিকে জানান, এদিন সকালে তার নেতৃত্বে বনরক্ষীদের একটি দল নিয়মিত টহলে যান। তারা দুপুর ১২টার দিকে গাতার খাল এলাকায় পৌঁছলে অভয়ারণ্য এলাকার মধ্যে কিছু নৌকা দেখতে পান। এসময় ট্রলার নিয়ে নৌকার কাছাকাছি গেলে বনের মধ্য থেকে বনরক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করা হয়। আত্মরক্ষার্থে বনরক্ষীরাও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় আধাঘন্টা ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে শতাধিক রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। একপর্যায় দস্যুরা বনের গহীনে চলে যায়। পরে দস্যুদের আস্তানা থেকে ওই ৬ জিম্মি জেলে ও ৪টি নৌকা উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া জেলেদের বরাত দিয়ে ওই বন কর্মকর্তা আরো জানান, চারদিন আগে জেলেরা পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ঢাংমারী স্টেশন থেকে পাস (অনুমতি) নিয়ে শরণখোলা রেঞ্জের দুধমুখী এলাকায় মাছ ধরতে এলে বনদস্যু মামা-ভাগ্নে বাহিনী তাদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। দস্যুদের কাছে এখনো আরো ৭ জেলেসহ তিনটি নৌকা জিম্মি রয়েছে। তাদের উদ্ধারে বনরক্ষী ও কোস্টগার্ড যৌথ অভিযান শুরু করেছে।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের (মোংলা) অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহ্দীন সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধিকে জানান, ঘটনার পর পরই কোস্টগার্ড ও বনরক্ষী সুন্দরবনে যৌথ অভিযান শুরু করেছে। অভিযানে কোস্টগার্ডের কচিখালী ও কোকিলমনি ক্যাম্পের দুটি ইউনিট কাজ করছে।