মঙ্গলবার ● ৬ মার্চ ২০১৮
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে চালক বিসু খুনের ঘটনায় অবশেষে মামলা নিল পুলিশ
বিশ্বনাথে চালক বিসু খুনের ঘটনায় অবশেষে মামলা নিল পুলিশ
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (২২ ফাল্গুন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৮.৪৫মি.) বিশ্বনাথের অটোরিকশা চালক খুনের ঘটনায় মামলা নিয়ে দুই থানার ঠেলাঠেলির অবসান ঘটেছে। অবশেষে মামলা রেকর্ড করেছে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানা পুলিশ। অটোরিকশা চালক বিশ্বনাথ উপজেলার মজলিশ ভোগশাইল গ্রামের নিখিল চন্দ্র মালাকারের পুত্র বিষু চন্দ্র মালাকার (৩০)। সিএনজি চালিত অটোরিকশাসহ নিখোঁজের পর গত ২ মার্চ সন্ধ্যায় জগন্নাথপুর থানাধীন সমষপুর আইছলাবাড়ি নামক স্থান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ। লাশ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহালও করেন ওই থানার এসআই ফাত্তাহ। সুরতহালের সময় তার ডান পায়ের রগ কাটা ও বাম হাতে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। পরে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য জগন্নাথপুর থানা পুলিশ সুনামগঞ্জের হাসপাতালে প্রেরণ করে। ময়না তদন্ত শেষে ৩মার্চ শনিবার বিকেলে বিশ্বনাথের বাসিয়া নদীর শশ্মান ঘাটে লাশের দাহ সম্পন্ন করা হয়। জগন্নাথপুর থানা এলাকা থেকে ওই থানা পুলিশ বিষু মালাকারের লাশ উদ্ধার, সুরতহাল রিপোর্ট ও ময়না তদন্তের জন্যে সুনামগঞ্জে প্রেরন করলেও মামলা নিতে গড়িমশি শুরু করে। ঘটনার দিন রাতে বিষু চন্দ্র মালাকারের পিতা নিখিল চন্দ্র মালাকার মামলা করতে জগন্নাথপুর থানায় গেলে ওসি তাকে বিশ্বনাথ থানায় মামলা করতে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু ঘটনাস্থল জগন্নাথপুর থানায় এলাকায় হওয়ায় বিশ্বনাথ থানার ওসি জগন্নাথপুর থানায় মামলা দিতে পরার্শ দেন। এভাবে ছেলে খুনের মামলা করতে গিয়ে দুই থানার ঠেলাঠেলিতে চরম বিপাকে পড়তে হন নিখিল চন্দ্র মালাকার। অবশেষে মামলা নিয়ে দুই থানা পুলিশের ঠেলাঠেলির অবসানের পর গতকাল সোমবার রাতে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা রেকর্ড করেছে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ। মামলা নং-(৩)। মামলা রেকর্ডের বিষয়টি স্বীকার করেছেন থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা জগন্নাথপুর থানার এসআই ফাত্তাহ।