শুক্রবার ● ১১ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » লংগদু উপজেলায় বেড়েই চলেছে বাল্য বিবাহ
লংগদু উপজেলায় বেড়েই চলেছে বাল্য বিবাহ
লংগদু প্রতিনিধি::লংগদু উপজেলায় বেড়েই চলেছে বাল্য বিবাহ।রাঙামাটি জেলার লংগদু উপজেলায় আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে দিন দিন ক্রমেই বেড়ে চলেছে বাল্য বিবাহের মত অন্যতম সামাজিক সমস্যাটি।বাংলাদেশের আইনে ১৮ বছরেরর কম বয়সী মেয়েদের এবং ২১ বছরের কম বয়সী ছেলেদের বিয়ে বন্ধ করা হলেও আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে লংগদু উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামে দিন দিন বেড়েই চলেছে বাল্য বিবাহের প্রবণতা।প্রায় প্রতিদিনই কোন না কোন গ্রামে বাল্য বিবাহ হচ্ছেই।হাটি হাটি পা পা করে প্রাথমিক শিক্ষাস্তর অতিক্রম করে মাধ্যমিক স্তরে পা রাখার আগেই শত শত কিশোরী ঝরে পড়ছে।স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান,মেম্বার এবং এলাকার প্রভাবশালীদের সমর্থন ও সহযোগিতা থাকার কারণে অধিকাংশ বাল্য বিবাহ হচ্ছে।অনুসন্ধানীর পাওয়া তথ্য মতে,জনপ্রতিনিধি হিসেবে ভোট প্রাপ্তির আশায় তাড়াতাড়ি করে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোর কিশোরীদের প্রাপ্ত বয়স্কের জন্ম নিবন্ধন দিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করে থাকেন।তাদের জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন,বয়স সঠিক থাকায় আমরা দিয়েছি।পরে তদন্ত করে দেখা যায়,স্কুলের ভর্তির তারিখ,নিবন্ধন যাচাই-বাচাই করলে অনিয়ম ধরা পরে সচারচর।অন্যদিকে লংগদু উপজেলার ভাসান্যাদম ইউনিয়নের প্রভাবশালী নেতাদের ইন্ধনে আরো বেশি বাল্য বিবাহ হচ্ছে। ইউনিয়নটিতে প্রাথমিক স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বাল্য বিবাহ নিয়ম নীতিতে পরিণত হয়েছে।প্রতি বছর ভাসান্যাদম ইউনিয়নে প্রায় ২৫/৩০ জন প্রাইমারী পড়ুয়া শিক্ষার্থী বাল্য বিবাহের শিকার হচ্ছে।অভিবাবকরা কাজীদের ম্যানেজ করে নিবন্ধনে বয়স বারিয়ে নিকাহ্ রেজিস্ট্রেশন করে চলেছেন।স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা বাল্য বিবাহ রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করলেও নানা কারণে ব্যর্থ হন।কারণ হিসেবে জানা গেছে,অধিক সন্তানের ভরণ-পোষনের দায় এড়াতে কন্যাদায়গ্রস্থ পিতা অল্প বয়সে তাদের কন্যাদের বিয়ের পিড়িতে বসাতে বাধ্য করান।এদিকে যৌতুকের লোভে পুত্র সন্তানের অভিবাবক অল্প বয়সের পুত্র সন্তানদের অপ্রাপ্ত বয়স্ক কন্যার সাথে বিয়ে দিচ্ছেন।যার ফলে সমাজের অন্যতম সমস্যাটিকে কিছুতেই প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।এলাকাবাসীরা বলেন,অতি দ্রুত বাল্য বিবাহ বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহন করা না হলে সমাজে যৌতুক,নির্যাতন, অল্প বয়সে সন্তান গ্রহনের মত মারাত্মক সমস্যা গুলো বাড়তেই থাবে যা ভবিষ্যৎ প্রযন্মের জন্য অশুভ সংকেত।