সোমবার ● ১২ মার্চ ২০১৮
প্রথম পাতা » অপরাধ » একের পর এক কংকাল চুরির ঘটনায় গৌরীপুরে তোলপাড়
একের পর এক কংকাল চুরির ঘটনায় গৌরীপুরে তোলপাড়
ময়মনসিংহঅফিস :: (২৮ ফাল্গুন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫.১০মি.) ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কবর থেকে একের পর এক কংকাল চুরির ঘটনায় তোলপাড় শুরুর পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ফুঁসে উঠছে এলাকাবাসী।গত রবিবার কংকাল বিক্রির টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ময়মনসিংহে আকির হোসেন, রাসেল মিয়া আর হযরত আলী নামে তিনজনের বিবাদ চলাকালীন গৌরীপুরের ভাংনামারী ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে নয়ন মিয়া শুনতে পেয়ে তা নিজ বাড়িতে ভাই ফয়সাল ইসলামকে ফোনে এ তথ্য জানান।
এসময় নয়ন মিয়া তার দাদা ওয়াহেদ আলী ও দাদী কদরবানুর কবরে লাশ আছে কী-না জানতে চান ? পরিবারের লোকজন ছুটে গিয়ে দেখেন, দুটি কবরেই দুই-আড়াই ফুট করে গর্ত (ফাঁকা)। কবরে লাশ নেই ! এরপর ছুটে আসেন আত্মীয়-স্বজনও।
এদিকে এই চক্রের লাশ চুরির ঘটনা শুনে ভাংনামারী ইউনিয়নের হাজী আবদুল মজিতের ছেলে আবুল হাসাদ বাচ্চু ছুটে যান মায়ের কবরে। কবরের মাথার অংশে দুই-আড়াই ফুট ফাঁকা দেখে চমকে উঠেন। মায়ের লাশ আছো-কী না নিশ্চিত হতে, গ্রামবাসীকে নিয়ে কবরের মাটি সরিয়ে দেখেন লাশ নেই। স্ত্রীর লাশ নেই এ কথা শুনেই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন হাজী আবদুল মজিদ।
বাচ্চু জানান, তার মা নুরজাহান বেগম প্রায় দেড় বছর আগে মারা যান। মায়ের শোক ভুলতে পারছেন না, এবার মায়ের লাশও নেই। কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দিনে দুবার মোনাজাত করতাম।
দ্রুত এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় শুরু হয় স্বজনের লাশের সন্ধানে করব খোঁড়াখুঁড়ি। এরপরে কুলিয়ারচর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর স্ত্রী হাসনা আক্তারের কবর খুঁড়ে লাশ পাওয়া যায়নি। তিনি মারা যান প্রায় দুই বছর আগে। তিন বছর আগে মারা যান মৃত একিন আলীর পুত্র মোর্শেদ আলী। তার কবরেও লাশ নেই।
গজারিয়া গ্রামের কেরামত আলীর ছেলে আবদুর রাজ্জাক জানান, তার ভাই আবু চান ও সালেহা খাতুনের কবরেও লাশ নেই। একই গ্রামের মৃত বাছির উদ্দিনের স্ত্রী জুবেদা খাতুনের কবরেও লাশ নেই।
স্থানীয়রা জানান,এ চক্রের আকির হোসেন, রাসেল মিয়া ও হযরত আলী নামে তিনজনের বাড়িই তার এলাকায়। মাত্র দুই-আড়াই ফুট ফাঁক করে অভিনব পদ্ধতিতে একের পর এক কবরের লাশ (কংকাল) চুরির ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।