শুক্রবার ● ১১ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » গাজিপুর » গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি চলছে
গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি চলছে
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, গাজীপুর প্রতিনিধি:: গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে আগামী ২০১৬ সালের বিশ্ব ইজতেমাকে সফল করতে ময়দানের প্রস্তুতি কাজ এগিয়ে চলছে ৷ কাজে অংশ নিতে ছুটে আসছে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলি্ল ছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা৷ প্রতিদিন শত শত মানুষ বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে প্যান্ডেল প্রস্তুতির কাজে অংশ নিচ্ছে ৷
১১ ডিসেম্বর শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় ভোর থেকে ইজতেমা ময়দানে রাজধানী ও আশপাশের এলাকা থেকে নানা বয়সের লোকের সমাগম ঘটে৷ ইজতেমা ময়দানে এখন রাতদিন চলছে প্রস্তুতির কাজ ৷
টঙ্গীর তুরাগ তীরে আগামী ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারী থেকে ১০ জানুয়ারী প্রথম পর্ব এবং ৪ দিন বিরতি দিয়ে ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারী দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে৷ এবারই প্রথম ৬৪ জেলাকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে৷ এই প্রথম ৩২ জেলার তাবলীগ জামাতের মুসলি্লরা বিশ্ব ইজতেমায় শরিক হবেন৷ বাকি ৩২ জেলার মুসল্লীরা আগামী ২০১৭ সালের ইজতেমায় শরীক হবেন৷
বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতিবিষয়ক জিম্মাদার গিয়াস উদ্দিন আহমেদ জানান, ইজতেমা উপলক্ষে তুরাগ নদীর পারে বিশাল প্যান্ডেল নির্মাণ করা হচ্ছে৷ ১৬০ একর এলাকাজুড়ে বাঁশ স্থাপনের পর এখন প্যান্ডেল তৈরির কাজ চলছে৷ খুটির উপর এখন সামিয়ানার কাজ করা হচ্ছে৷ প্রতিদিন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা দলবেঁধে ইজতেমা ময়দানে এসে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করছে৷ ইজতেমার নিয়মানুযায়ী যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে তাবলিগ জামাতের অনুসারী ছাড়াও বিভিন্ন পেশা ও বয়সের লোকজন প্রস্তুতিকাজে অংশ নেয়৷
তিনি আরো বলেন, জায়গা সঙ্কুলানের অভাবে এই প্রথমবার দেশের ৬৪ জেলাকে সমান দুইভাগে ভাগ করা হয়েছে৷ এবারই প্রথম ২০১৬ সালে ৩২ জেলার তাবলীগ জামাতের মুসল্লীরা এবং ২০১৭ সালে বাকি ৩২ জেলার মুসলি্লরা ইজতেমায় শরিক হবেন৷ মাঠের পশ্চিম-উত্তর দিকে আন্তর্জাতিক নিবাস তৈরির কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে৷ এ ছাড়া স্যানিটারি, গ্যাস, বিদ্যুত্ সংযোগসহ অন্য কাজ সম্পন্ন করতে কয়েকটি জামাতকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জোড় ইজতেমার পর থেকে বিভিন্ন জেলার শতাধিক জামাত মাঠের কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে৷
শুক্রবার সকালে ময়দানে স্বেচ্ছায় কাজ করতে আসা মুসলি্লরা বলেন, প্রতি বছর লোকসংখ্যা বাড়ে কিন্তু জায়গা বাড়ে না৷ তাই মুসলি্লদের চলাচলের সুবিধার্থে ময়দানের পাশে বাটা ফ্যাক্টরি, টিএসসি, এটলাস হোন্ডা, আশরাফ সেতু, সেনা কল্যাণ ভবনের পরিত্যক্ত সরকারি জমি ইজতেমা ময়দানের নামে বরাদ্দ দেয়ার জন্য তারা দাবি জানান৷
গাজীপুর-২ আসনের এমপি ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ময়দানে আসা মুসলি্লদের সুবিধার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ময়দানের অবকাঠামো উন্নয়নে এ পর্যন্ত ১১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন৷ যার কাজ চলমান রয়েছে৷ গাজীপুরের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর এবারও ৩ তলা বিশিষ্ট নতুন ৫ টি টয়লেট ভবন তৈরী করছেন৷
গাজীপুরের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নিবার্হী প্রকৌশলী মো. মোস্তফা জানান, বিশ্ব ইজতেমা শুরুর আগেই এসব ভবনের কাজ সমাপ্ত হবে৷