বৃহস্পতিবার ● ১৫ মার্চ ২০১৮
প্রথম পাতা » আন্তর্জাতিক » মহা বিজ্ঞানী স্টিফেন উইলিয়াম হকিং আর নেই
মহা বিজ্ঞানী স্টিফেন উইলিয়াম হকিং আর নেই
অনলাইন ডিজিটাল ডেস্ক :: (৩১ ফাল্গুন ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১২.২৫ মি.)মহাবিশ্বের মহা বিজ্ঞানী স্টিফেন উইলিয়াম হকিং আর নেই। আজ বুধবার ১৪ মার্চ তিনি মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। পরিবারের সদস্যদের বরাতে এ তথ্য প্রকাশ করেছে বিবিসি অনলাইন।
বুধবার এক বিবৃতিতে স্টিফেন হকিংয়ের মৃত্যুর খবর জানান তার সন্তান লুসি রবার্ট ও টিম।
বিবৃতিতে তারা বলেন, প্রাণপ্রিয় বাবাকে হারিয়ে আমরা শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছি। তিনি ছিলেন একজন বড়মাপের বিজ্ঞানী ও অসাধারণ মানুষ। তার কাজ ও গ্রহণযোগ্যতা বহু বছর ধরে টিকে থাকবে। তার সাহস ও কাজ পৃথিবীর বহু মানুষকে উৎসাহিত করেছে। আমরা তাকে চিরকাল মনে রাখব।
হকিংকে বিশ্বের অন্যতম সেরা তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী বিবেচনা করা হয়। তিনি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের লুকাসিয়ান অধ্যাপক ছিলেন। কিংবদন্তি বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটনও একসময় এই পদে ছিলেন। ২০০৯ সালের ১ অক্টোবর হকিং অবসরে যান। এর পর তিনি ক্যামব্রিজের গনভিলি এবং কেয়াস কলেজের ফেলো হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তিনি একসময় বলেছেন, যাদের আপনি ভালোবাসেন তাদের আশ্রয় কেন্দ্র না হলে মহাবিশ্বটা বড় কিছু নয়।
তার সন্তানরা নিজেদের একাকীত্ব বজায় রাখতে সবার সাহায্য কামনা করেন। যারা সারাজীবন হকিংয়ের পাশে ছিলেন ও তাকে সমর্থন করেছেন, তাদের সবাইকে তারা ধন্যবাদ দিয়েছেন।
মোটর নিউরন রোগ এমায়োট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লোরোসিস বা এএলএসে আক্রান্ত হয়ে শারীরিকভাবে অচল ছিলেন তিনি। এ রোগে ক্রমাগতভাবে অচল হওয়া সত্ত্বেও বহু বছর ধরে তিনি সাফল্যের সঙ্গে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যান।
বিশ্বখ্যাত এই বিজ্ঞানীর লেখা আ ব্রিফ হিস্টোরি অব টাইম অবলম্বনে নির্মিত দা থিওরি অব এভরিথিং ২০১৪ সালে অস্কার পুরস্কার লাভ করে।
অধ্যাপক স্টিফেন উইলিয়াম হকিং ১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন।
স্টিফেন উইলিয়াম হকিং (Stephen William Hawking) বিশিষ্ট ইংরেজ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতজ্ঞ হিসেবে বিশ্বের সর্বত্র পরিচিত ব্যক্তিত্ব। তাঁকে বিশ্বের সমকালীন তাত্ত্বিক পদার্থবিদদের মধ্যে অন্যতম হিসাবে বিবেচনা করা হয়। হকিং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের লুকাসিয়ান অধ্যাপক (স্যার আইজ্যাক নিউটনও একসময় এই পদে ছিলেন) হিসেবে ১ অক্টোবর, ২০০৯ তারিখে অবসর নেন। এছাড়াও তিনি কেমব্রিজের গনভিলি এবং কেয়াস কলেজের ফেলো হিসাবে কাজ করেছেন। শারীরিকভাবে ভীষণরকম অচল এবং এ.এল.এসের (এমায়োট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস যা একপ্রকার মোটর নিউরন রোগ এর জন্য ক্রমাগতভাবে সম্পূর্ণ অথর্বতার দিকে ধাবিত হওয়া সত্ত্বেও বহু বছর যাবৎ তিনি তাঁর গবেষণা কার্যক্রম সাফল্যের সঙ্গে চালিয়ে যান।
পদার্থবিজ্ঞানে হকিংয়ের দুইটি অবদানের কথা সবচেয়ে বেশি স্বীকৃত। প্রথম জীবনে সতীর্থ রজার পেনরাজের সঙ্গে মিলে সাধারণ আপেক্ষিকতায় সিংগুলারিটি সংক্রান্ত তত্ত্ব। হকিং প্রথম অনিশ্চয়তার তত্ত্ব ব্ল্যাক হোল-এর ঘটনা দিগন্তে প্রয়োগ করে দেখান যে ব্ল্যাক হোল থেকে বিকিরিত হচ্ছে কণা প্রবাহ। এই বিকরণ এখন হকিং বিকিরণ নামে (অথবা কখনো কখনো বেকেনস্টাইন-হকিং বিকিরণ) অভিহিত। তিনি রয়েল সোসাইটি অব আর্টসের সম্মানীয় ফেলো এবং পন্টিফিকাল একাডেমি অব সায়েন্সের আজীবন সদস্য ছিলেন। ২০১৪ সালে তাঁকে নিয়ে একটি চলচ্চিত্র তৈরি হয়, যেটির নাম থিওরি অব এভরিথিং।