সোমবার ● ১৯ মার্চ ২০১৮
প্রথম পাতা » ময়মনসিংহ » ছাত্রলীগনেতা শাওনের মরদেহ ১০ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলনের পর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন
ছাত্রলীগনেতা শাওনের মরদেহ ১০ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলনের পর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন
ময়মনসিংহ অফিস :: (৫ চৈত্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬.৩৭মি.) ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশফাক আল রাফি শাওনের মরদেহ দাফনের ১০ দিন পর আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করার পর মমেক হাসপাতালে ময়নাতদন্তের কাজ সম্পন্ন শেষে আবারো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ ১৯ মার্চ সোমবার বেলা ১২টার দিকে ফুলবাড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিউলি হরি,এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ কুমার রায়ের উপস্থিতিতে ফুলবাড়িয়া উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাড়ির কবর থেকে শাওনের মরদেহ উত্তোলন করা হয়।পরে মমেক হাসপাতালে ময়নাতদন্তের কাজ সম্পন্ন শেষে আবারো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম সিএইচটি মিডিয়া টুয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধিকে জানান, আদালতের নির্দেশে মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। একইসাথে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের ডাক্তার লুৎফুর রহমান জানান, শাওনের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। খুব শিগগিরই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পুলিশের কাছে পাঠানো হবে।
তারআগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ময়মনসিংহ নগরীর জেলা পরিষদের সামনের এলাকায় রহস্যজনকভাবে গুলিবিদ্ধ হয় শাওন। পরে স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা শাওনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করেন।
পরে ৮ মার্চ দুপুরে ঢাকার ধানমন্ডিতে ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাওন মারা যান। এ ঘটনায় শাওনের বাবা আকুয়া চৌরঙ্গীর মোড় এলাকার বাসিন্দা জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ কদ্দুস মামলা না করে তিনি আল্লাহ’র কাছে হত্যাকারীদের বিচার দাবি জানান।পরদিন তার গ্রামের বাড়ি ফুলবাড়ীয়া উপজেলা লক্ষীপুর এলাকায় পারিবারিক কবরস্থানে ময়নাতদন্তছাড়াই শাওনকে দাফন করা হয়।
পরবর্তীতে প্রথমে শাওনের সহপাঠিরা পরে ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পাল্টা-পাল্টি সমাবেশ থেকে শাওনের হত্যাকারীদের বিচার দাবি করা হয়। এ প্রেক্ষিতে গত বুধবার (১৪ মার্চ) রাতে কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জয় দত্ত, এসএম আরিফুল হক ওরফে পিচ্চি আরিফ ও আমিনুল ইসলাম হিমেল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
এসময় কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পলাশ কুমার রায় এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। পরে রোববার (১৮ মার্চ) দুপুরে ময়মনসিংহের ১ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুল হক ওই তিনজনের বিরুদ্ধে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সেইসাথে ময়নাতদন্তের জন্য শাওনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের নির্দেশ প্রদান করলে সোমবার (১৯ মার্চ) বেলা ১২টার দিকে মরদেহ তোলা হয়।