বৃহস্পতিবার ● ২২ মার্চ ২০১৮
প্রথম পাতা » জনদুর্ভোগ » পরির্বতন হয়নি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সুবিধা বঞ্চিত চরাঞ্চলের মানুষদের ভাগ্য
পরির্বতন হয়নি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সুবিধা বঞ্চিত চরাঞ্চলের মানুষদের ভাগ্য
পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: (৮ চৈত্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.৩মি.) পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরির্বতন কখনো ঘটেনা। দুর্গম চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যাবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাব্যাবস্থা কোন কিছুরই পরির্বতন হয়নি এই ৩০-৩৫ বছরে। উপজেলার তেতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর বুকচিড়ে জেগেওঠা চরহাদী, চরশাহজালাল, চরবোরহান, চরবাশবাড়িয়া, চরবোথাম, চরহায়াদর, লালচরের অবহেলিত মানুষের দুরবস্থার কথা শুনে ইতিপূর্বে ৯টি দেশের ১৮ জন ভূমিহীন কৃষক নেতারা সরেজমিনে পরির্দশন করে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। একমাত্র বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন বাংলাদেশ কিষাণী সভা এই ভাগ্যাহত চরবাসী জীবন জীবীকা নিয়ে বিভিন্ন সময় কাজ করলেও এ সংগঠনটি একটি সম্পুর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন হওয়ায় তেমন কোন উন্নত হয়ে উঠতে পারেনি।
তবে দেখা গছে যে , একমাত্র বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের হাত ধরেই এই ছিন্নমূল মানুষগুলো এক সময় আশ্রয় পায় এই সকল চরাঞ্চলে। সে সময় ভুমি দস্যু, দালালচক্র, ভুমিগ্রাসী চক্রের সাথে এক রকম জীবন মরণ বাজী রেখে এবং, ঝড়, জলোচ্ছাস, টর্নেডো, নদী ভাঙ্গন, অতিবৃস্টি, অনাবৃস্টি, খড়ারমত প্রাকৃতিক দুর্যোগ গুলোকে মোকাবেলা করে আজও বাঁচার স্বপ্ন দেখে এই চরবাসী সাধারন জনগণ ।
তাই তাহাদের আক্ষেপ ভরা বক্তব্যগুলো এ রকমই, ‘কত এলেকসনইতো আইছে, কত কস্ট কইরা হ্যাগোরে ভোটও দিছি, হেইয়ারা কেই মেম্বার হইছে, চেয়ারমান হইছে, আমাগো কি হইছে ? হয়, একটা হইছে, তহন নায়(নৌকায়) খেওয়া পারাইতাম, এহন ট্রলারে চইর্যা আই-যাই। আর এমপির লোকেরা আমাগোরে ডাহে মিটিন করার লইগ্যা। এরপর আর আমাগো কোন খবর থাহেনা।’
কেন, ওই দিন আপনাদের কিছু দেয় না ? উত্তরে বলেন, হ- পাই এক পোটলা হুরুম (মুড়ী) আর দুইডা জেলাপি। এরপরই নেতারা কয়, তারা তারি লও, টলার ছাড়ার সময় হইছে।’
র্দীঘ ৩০/৩৫ বছর আগে দশমিনার চরাঞ্চলে জন বসতী গড়ে উঠলেও এখন পর্যন্ত সেখানে মাত্র দুই/তিনটি ছাড়া আর কোন প্রাথমিক বিদ্যালয় কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি। প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ না থাকায় চরাঞ্চলের ৫ হাজার শিশু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শিশুরা শিক্ষার সুযোগ না পেয়ে মাছ ধরা, পাতা কাটা এবং মাঠে গরু/মহিষ চড়ানোসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত হচ্ছে। তার বঞ্চিত হচ্ছে নানা সুবিধা থেকে। যার মধ্যে, স্বাস্থ সেবা পায়না চরাঞ্চলের মানুষ, যোগাযোগ ব্যবস্থা এমনকি বিশুদ্ধ পানি।