সোমবার ● ২৬ মার্চ ২০১৮
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » দেশব্যাপী যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
দেশব্যাপী যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
মহালছড়ি প্রতিনিধি :: (১২ চৈত্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় বেলা ১২.০৬মি.) খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় ২৬শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়েছে। প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনি, সুর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং সকাল সাড়ে ৬টায় উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় রাজনৈতিক দলসমূহ শোভাযাত্রা সহকারে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। আজ সকাল ৮টায় উপজেলা মাঠে সারাদেশে একই সাথে শুদ্ধস্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর পর পরই পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, ব্যান্ডদল, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রোভার স্কাউট দল ও গালর্স গাইড কুচকাওয়াজ এবং শরীর চর্চা প্রদর্শনীতে অংশগ্রহন করেন। কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহন করেন মহালছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কান্তি চাকমা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তামান্না নাসরিন উর্মি ও মহালছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ জোবায়েরুল হক।
সারাদিনের কর্মসূচীর মধ্যে আরো রয়েছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারবর্গের প্রতি সংবর্ধনা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরন, শহীদদের স্মরণে বিশেষ মোনাজাত, কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে উন্নত খাবার পরিবেশনসহ সন্ধ্যায় সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান।
ঈশ্বরদীতে মহান স্বাধীনতা দিবসে ব্যাপক কর্মসুচি পালন
ঈশ্বরদী প্রতিনিধি :: মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন উপলক্ষে ঈশ্বরদীতে আজ সোমবার দিনব্যপি আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাসদ, উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসুচি পালন করা হয়। স্বস্ব সংগঠনের কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করার পর আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আওযামীলীগ সভাপতি নায়েব আলী বিশ্বাসের নেতৃত্বে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এতে অংশ নেয়। পরে জাতীয় সাংবাদিক সোসাইটি, প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ সুগার ক্রপস গবেষণা ইনষ্টিটিউটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক,সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন,বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আলহাজ্ব মোড়স্থ বিজয়স্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এর আগে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির পক্ষ থেকে শহওে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মীরা ও সমর্থকরা এসব র্যালিতে অংশ নেয়। এদিকে এসএম স্কুল এ্যান্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজ। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেয়।উপজেলা চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান মিন্টু ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন এতে অংশ নেন।
পানছড়িতে মাহন স্বাধীনতা দিবস পালন
পানছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ির পনাছড়িতে নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে উপজেলার নালকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ে মিলন মেলায় পরিণত হয়। অপর দিকে সকাল থেকে প্রতিষ্টানটিতে ক্রিড়া প্রতিযোগীতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও প্রতিষ্টানটির প্রতিষ্টাতা খগেশ্বর ত্রিপুরা। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পানছড়ি প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন ইলিয়াছ।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ডাকে সাধারণ মানুষ মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহণ করে এই দেশ স্বাধীন করেছে, যার সুফল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে আসছে যার কারণে আজ বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন শত প্রতিকুল পরিবেশের মধ্য আমি এই প্রতিষ্টানটি স্থাপন করি, যা আজ হাটিহাটি পাপা করে অনেক দুর এগিয়ে গেছে।
প্রতিষ্টানটির স্থান সংকুলন হচ্ছে না উল্লেখ করে প্রধান শিক্ষক ও অনুষ্টানের সভাপতি আনিশ দত্ত চাকমা বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বসার ব্রেঞ্চ, চেয়ার, টেবিল এবং বিদ্যালয়ের পুরাতন ঝুকিপূর্ণ ভবনে আমার শ্রেণী কার্যক্রম পরিচালনা করছি, তারপরও প্রতিটি জাতীয় দিবসে আমরা নানা প্রকার অনুষ্টান পালন করি।
অপর দিকে সাকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রত্যুষে ৩১বার তোপধ্বনি, সুর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং সকাল সাড়ে ৬টায় উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সরকারী, স্থানীয় রাজনৈতিক দলসমূহ বে-সরকারী প্রতিষ্ঠান শোভাযাত্রাসহ শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন। সকলে উপজেলা পরিষদ মাঠে দিনব্যাপী অনুষ্টানমালা, জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন পরবর্তি পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, ব্যান্ডদল, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ এবং শরীর চর্চা প্রদর্শনী শুরু হয়। কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহন করেন পানছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সর্বোত্তম চাকমা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম ও পানছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের পরিবারবর্গের প্রতি সংবর্ধনা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ ও সন্ধ্যায় স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে রয়েছে সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মহান স্বাধীনতা দিবসে সিলেট শহীদ মিনারে জনতার ঢল
সিলেট প্রতিনিধি :: মহান স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ উপলক্ষে ভোর থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেমেছে মানুষের ঢল। চলে শ্রদ্ধা নিবেদন। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারীদের শ্রদ্ধা জানাতে সবাই এখন শহীদ মিনার মুখী।
নারী-শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধ, সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভোর থেকে নেমেছে জনতার ঢল। সোমবার ২৬ মার্চ ভোর ৫টা ৫১ মিনিটে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন।
সিলেট নগরীর চৌহাট্টাস্থ সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথমেই শ্রদ্ধা নিবেদন করে শহীদ মিনার বাস্তবায়ন কমিটি। এরপর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ও মহানগর ইউনিটের নেতারা।
পরে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ডিআইজি সিলেট রেঞ্জ, সিলেট জেলা প্রশাসক (ডিসি), জেলা পরিষদ প্রশাসক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, সিলেট শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান, আর আর এফ কমান্ড্যান্ট, আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশ, আনসার ভিডিপি, বন কর্মকর্তা, সিলেট চেম্বার প্রশাসক, সিলেট প্রেসক্লাব, জেলা প্রেসক্লাব, সিলেট জেলা বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরাম’র নেতারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এছাড়া শহীদ বেদীতে আরো পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন- জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ, জেলা ও মহানগর বিএনপি, জাসদ, বাসদ, ওয়ার্কাস পাটি, গণতন্ত্রী পার্টি, জনতা পার্টি, মহিলা আওয়ামী লীগ, জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগ, ছাত্রফ্রন্ট, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, বিভিন্ন ব্যাংক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
স্বাধীনতা দিবসে প্রশাসন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে নগরের রিকাবীবাজার স্টেডিয়ামে কোচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে শহীদ মিনারের পাশেই চলছে রক্তদান কর্মসূচি।
এদিকে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনার ও আশপাশ এলাকায় সিলেট মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
২৫ মার্চ রাত থেকে শহীদ মিনার, চৌহাট্টা ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) মুহম্মদ আব্দুল ওয়াহাব।
পাশাপাশি র্যাব ও সাদা পোশাকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ঝালকাঠিতে নানা কর্মসূচিতে মহান স্বাধীনতা দিবস
ঝালকাঠি প্রতিনিধি:: ঝালকাঠিতে নানা কর্মসূচিতে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়।
সকাল ৮টায় স্থানীয় শেখ রাসের মিনি স্টেডিয়ামে জাতীয় কর্মসূচির সাথে পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। পরে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজ, সালাম গ্রহণ ও ডিসপ্লে। বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও পুলিশ আনসানসহ সামাজিক সংগঠনও এতে অংশ নেয়। এছাড়া একই অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। জেলা প্রশাসক মো: হামিদুল হক ও পুলিশ সুপার মো: জোবায়দুর রহমান বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। ঝালকাঠি আদালতের বিচারক, সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ শ্রেণি পেশার মানুষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠন দিনব্যাপী আরও নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
ময়মনসিংহে নানা আয়োজনে মহান স্বাধীনতা পালিত: প্রথম প্রহরে ধর্মমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ময়মনসিংহ অফিস :: ময়মনসিংহে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। প্রথম প্রহরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধে ধর্মমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ছাড়াও শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এসময় হাজারো মানুষের ঢল নামে।
সোমবার ২৬ মার্চ ভোর ৬ টার দিকে কাক ডাকা ভোরের প্রথম প্রহরে নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান সকল শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর পর্যায়ে ক্রমে বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন, ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র্র বিশ্বাস, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সর্বস্তরের মানুষজন বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
নগরীর রফিক উদ্দিন ভুইয়া স্টেডিয়ামে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় একই সাথে জাতীয় সংগীত পরিবেশনে অংশ নেন হাজারো মানুষজন। পরে ধর্মমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক ভাবে কুচকাওয়াজ উদ্বোধন করেন।
এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এরপর অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন নানা আয়োজনে দিবসটি পালনের খবর পাওয়া গেছে।
বিভাগীয় নগরী ছাড়াও ময়মনসিংহের প্রতিটি উপজেলায় প্রশাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক,সাংস্কৃতিক,রাজনৈতিক সংগঠনগুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন করছে।
অপরদিকে গত রোববার (২৫ মার্চ) রাত ৯টায় এক মিনিট আলো নিভিয়ে ২৫ মার্চের ভয়াল কালোরাত স্মরণ করা হয়।পরে জ্বলে উঠে বীর শহীদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জলনসহ সর্বসাধারণের মানববন্ধন কর্মসূচি। এসময় উপস্থিত বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা আ’লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোমবাতি জ্বালিয়ে নগরীর টাউন হল প্রাঙ্গনে হাজার হাজার মানুষ সারিবদ্ধ লাইনে দাঁড়িয়ে যান।
রাঙামাটিতে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা
ষ্টাফ রিপোর্টার :: সরকারী নীতি অনুস্মরন করে জেলা পরিষদ হতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কোন বৈষম্য হবে না বলে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নের্তৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করতে পাকিস্থানীদের উপর ঝাপিয়ে পড়েছিল। এই মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের জন্যই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি একথা ভুললে চলবে না। কাজেই তাদের সম্মান আমাদের সকলকে দিতেই হবে। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি অব্যাহত রেখেছেন বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ ২৬মার্চ সোমবার সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্দ্যেগে পরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা ও সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পরিষদ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার আলমগীর কবির, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্ঠা কমিটির সদস্য শাহজাহান মোল্লা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা হাজী কামাল উদ্দিন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য সান্তনা চাকমা, রাঙামাটি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার রবার্ট রোনাল্ড পিন্টু, মুক্তিযোদ্ধা মো. ইকবাল, মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য দেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদ। এ সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানন প্রধান ও জেলার মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনে মুক্তিযোদ্ধারা ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে। তাই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এই মার্চ মাস বাঙ্গালি জাতির গৌরবের ও ঐতিহাসিক মাস। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর বিএনপি জামাত দেশকে জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিনত করতে উঠে পরে লেগেছিল। দূর্নীতি দেশ হিসেবে এ দেশকে বিশ্বে পরিচিত করেছিল তারা। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করে প্রচার করেছিল। কিন্তু জনগন তাদের এই কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে ২০০৯ সালে আওয়ামীগকে নির্বাচনে জয়ী করে। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর তার পিতার স্বপ্ন পূরনে অঙ্গিকারবদ্ধ। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল এ দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত এবং উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিনত করা। তার সুযোগ্য কণ্যা তাই করে চলেছে। দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়ে বিশ্বে পরিচিত হয়েছে। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা ভুলেনি ভুলবেনা। মুক্তিযোদ্ধাদের উন্নয়ন ও কল্যাণে তিনি ৯টি ক্যাটাগরিতে ভাতা প্রদান, সন্তান্তানদের চাকুরী কৌটা’সহ বিভিন্নভাবে কল্যান করে যাচ্ছে যা অন্যকোন সরকার করেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উন্নয়ন অব্যাহৃত রাখতে মুক্তিযোদ্ধা’সহ সকলকে পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ বলেন, দেশের সূর্য সন্তানদের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা থাকবে। যে কোন সমস্যা নিয়ে আমার কাছে আসলে তা নিরসন করার চেষ্ঠা আমি করে যাবো। আমরা আজ কর্মকর্তা হওয়ার পেছনে তাদেরই অবদান। তিনি বলেন, উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স করার বিষয়ে সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতী দেন। তিনি আরো বরেন, এ জেলার সকল সম্প্রদায়ের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখতে আমি সেভাবে কাজ করে যাবো।
পরে জেলা পরিষদ হতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ৬পরিবারের সদস্যদের মাঝে ২হাজার ৫শত টাকা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ৬০জন এবং ২৭জন মৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের মাঝে ১হাজার টাকার প্রাইজবন্ড বিতরন করেন অতিথিরা।
এর আগে সুর্যোদয়ের সাথে সাথে রাঙামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ হতে বীর শহীদদের পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।
কাউখালীতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন
কাউখালী প্রতিনিধি :: রাঙামাটি পার্বত্য জেলার কাউখালী উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ সোমবার উদযাপন করা হয়।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে কাউখালী উপজেলা সদর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সুর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রথমে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, কাউখালী থানার পক্ষ হতে পুষ্পমাল্য প্রদান করা হয়। পরে আ’লীগ কাউখালী উপজেলা শাখা ও তার অংগ সহযোগী সংঘঠন, বিএনপি উপজেলা শাখা ও তার অংগ সহযাগী সংগঠন, জাতীয় পার্টি উপজেলা শাখা, উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংঘঠনের পক্ষ হতে কেন্দ্রীয় শহীদ বেদিতে পুষ্প মাল্য অর্পন করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।
পরে উপজেলা প্রশাসন মাঠে এক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। কুচকাওয়াজে অংশ গ্রহন করেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী কাউখালী থানা, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি দল, বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় কাব দল, উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রী, বয়স্কাউট দল, গার্লস গাইড দল সদস্যরা। কুচকাওয়াজ শেষে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, বয়স্কাউট দল ও মাদ্রাসা ছাত্রদের পরিবেশনায় বিভিন্ন ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়। পরে উপজেলা প্রশাসন বিজয় দিবস জাতীর গর্বিত সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্ম্বধনা প্রদান করা হয়। সর্ম্বাধনা উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নেহাশীষ দাশ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএমচৌধুরী।
এ সময় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান এ্যানি চাকমা কৃপা,উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মংসুইউ চৌধুরী ডুমং,উপজেলা কৃষি অফিসার কাজী শফিকুল ইসলাম, আ’লীগ উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মো. এরশাদ সরকার, মুক্তিযোদ্ধা ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বাহার মিয়া ও কাউখালী থানার অফিসার ইনচাজ মো. কবির হোসেন প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে সম্মাননা পুরুস্কার তুলে দেওয়া হয়। আলোচনা সভার পুর্বে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উপজেলা পরিষদের পক্ষ হতে ফুল দিয়ে বরন করে নেওয়া হয়। পরে উপজেলা প্রশাসন মাঠে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শেষে কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে প্রধান অতিথি কর্তৃক পুরুস্কার তুলে দেওয়া হয়। বিকাল বেলা উপজেলা প্রশাসন মাঠে এক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। পরে উপজেলা বিজয় মনচে স্থানীয় শিল্পীঘোষ্টির পরিবেশনায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
আত্রাইয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত
আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: নওগাঁর আত্রাইয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে। আত্রাই উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত আজ সোমবার সকালে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সুচনা করা হয়।
এর আগে সকালে শহীদ মিনারে ফুলদিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান উপজেলা প্রশাসন, আত্রাই থানা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,বিভিন্ন সরকরী অফিস,বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।
সকাল ৮.০০ ঘটিকায় সারাদেশের সঙ্গে তথা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে লাখ কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়।
পরে কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এবাদুর রহমান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোখলেছুর রহমান,ওসি আত্রাই থানা মো. মোবারক হোসেন।
সালাম গ্রহন শেষে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এবাদুর রহমান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোখলেছুর রহমান, ওসি আত্রাই থানা মো. মোবারক হোসেন,উপজেলা আ’লীগ সভাপতি নৃপেন্দ্রনাথ দত্ত দুলাল,সম্পাদক চৌধুরী গোলাম মোস্তফা বাদল,যুগ্ম-সম্পাদক বরুন কুমার সরকার,ভাইস চেয়ারম্যান একরামুল বারী রঞ্জু,ইউপি চেয়ারম্যান আফছার আলী,উপজেলা প্রকৌশলী মো. মোবারক হোসেন ও যুব উন্নয়ন অফিসার মো. ফজলুল হক প্রমুখ।
উপজেলা অডিটরিয়াম হল রুমে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা ও সম্মাননা প্রদান এবং বিভিন্ন প্রকার খেলায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করা হয়।
স্বাধীনতা দিবসে বিশ্বনাথ উপজেলা আ’লীগের শ্রদ্ধাঞ্জলি
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করেছেন বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। আজ সোমবার সকালে উপজেলা সদরস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দলীয় নেতৃবৃন্দ এ শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব আকদ্দুছ আলী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির আলী চেয়ারম্যান, যুগ্ম সম্পাদক মকদ্দছ আলী, প্রচার সম্পাদক নিখিল পাল, বন ও পরিবেশ সম্পাদক রুনু কান্ত দে, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক রনজিত ধর রন মেম্বার, কার্যনির্বাহী সদস্য নিজাম উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা সিতাব আলী, উপজেল যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আলতাব হোসেন, উপজেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, যুবলীগ নেতা দবির মিয়া, অ্যাডভোকেট সায়েদ মিয়া, উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি মাহফুজুর রহমান দুলু, প্রচার সম্পাদক সিজিল মিয়া প্রমুখ’সহ আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মুক্তিযোদ্ধাদের হাত ধরেই স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি : কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি
মাটিরাঙ্গা প্রতিনিধি :: মুক্তিযোদ্ধাদের আলোয় আমরা নিজেদের আলোকিত করেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের হাত ধরেই আমরা আলোকিত বাংলাদেশ পেয়েছি। মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিরোধ কাম্য নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ বিপদগামী ছিল, তাদের কারনে এখন মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিয়েছে। যারা জয় বাংলা ছেড়ে জিন্দাবাদ বলে তারা কখনোই মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেনা। আজ সোমবার দুপুরে মাটিরাঙ্গার স্বাধীনতা সোপান প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি আসনের সাংসদ ও ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা) কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা উপরোক্ত কথা বলেন। মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ‘এর সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মাটিরাঙ্গা জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল কাজী মো. শামশের উদ্দিন, মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক ও খাগড়াছড়ি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. রইচ উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মাটিরাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোহাম্মাদ আলীর স্বাগত বক্তব্য ছাড়াও মাটিরাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. মনছুর আলী এবং মাটিরাঙ্গা পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. আবুল হাসেম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সৈযদ মো. জাকির হোসেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সুবাস চাকমা, মাটিরাঙ্গা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিরনজয় ত্রিপুরা প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। স্বাধীনতার কিছুদিন না যেতেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে ফেলার চেষ্ঠা করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারন করে আগামী নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষনে উজ্জীবিত হয়েই এদেশের মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল উল্লেখ করে সংবর্ধনার অনুষ্ঠানের সভাপতি বিভীষণ কান্তি দাশ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথ ধরেই প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। এর আগে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের জন্য মাটিরাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন।
পানছড়িতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
পানছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলা আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস টি যথাযোগ্য মর্যাদা মুসলিম নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পালিত হয় । এসময় মো. সিরাজুল ইসলাম পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপিস্থত ছিলেন ৫ নং উল্টাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় চাকমা । প্রধান শিক্ষক মো. বাবুল হোসেন এর সভপতিতে বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার দেলোয়ার হোসেন দুলাল। এসময় আরোও উপিস্থত ছিলেন বীর মুক্তীযোদ্ধা সাজাহান মিয়া, ডাঃ. বিজয় সরকার ও শিক্ষকগন। শিক্ষার্থীরা আনন্দ উল্লাসে খেলা অংশ গ্রহন করে । পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করা হয়।