মঙ্গলবার ● ২৭ মার্চ ২০১৮
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » বিলাইছড়িতে স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণ বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা
বিলাইছড়িতে স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণ বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা
বিলাইছড়ি প্রতিনিধি :: (১৩ চৈত্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৯.৫৭মি.) রাঙামটির দূর্গম বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়মে ২৪/৭ (সার্বক্ষণিক) স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণ বিষয়ক-অবহিতকরণ কর্মশালা’’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ২৭মার্চ মঙ্গলবার সকালে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীনস্থ এমসিএইচ সার্ভিসেস ইউনিটের আয়োজনে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া।
বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শুভ মঙ্গল চাকমার সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অমৃত সেন তঞ্চঙ্গ্যা, বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শ্যামা চাকমা, বিলাইছড়ি ১নং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি দেওয়ান, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের কনসালটেন্ট এডিসিসি ডা. রোকন উদ্দিন আহমেদ ও রাঙ্গামাটি মা ও শিশু কেন্দ্রের গাইনী চিকিৎসক ডা. বেবী ত্রিপুরা প্রমূখ।
বিলাইছড়ি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের ডা. শুভ্র পালিত এর সঞ্চালনায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন রাঙামাটি জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক (ভাঃ) বেগম সাহান ওয়াজ ও প্রজেক্টরের মাধ্যমে কর্মশালায় প্রসবসেবা তথা নরমাল ডেলিভারী সেবা জোরদারকরণ বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার (এমসিএইচ) ডা. ফাহমিদা সুলতানা।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া বলেন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কেন্দ্রকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী’সহ সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ততায় আরো বেশি মা যাতে প্রসবসেবা’সহ অন্যান্য সেবা সহজে পেতে পারেন সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তিনি। তিনি বলেন, পরিকল্পিত পরিবার গঠনে সবার আগে প্রয়োজন জনসচেতনতা। এসব বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে এবং নিরাপদ মার্তৃত্ব নিশ্চিত করতে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর উন্নয়নে জনপ্রতিনিধি ও সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার কমানো এবং নিরাপদ প্রাতিষ্ঠানিক তথা হাসপাতাল ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে প্রসবকে উৎসাহিত করে বাণিজ্যিক হাসপাতালে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশানের হার কমানোসহ প্রসব ও অন্যান্য সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এই কর্মশালার অন্যতম উদ্দেশ্য। বক্তারা আরও বলেন, জরুরী প্রসুতি সেবায় গর্ভবতী মা এবং তার পরিবারকে অর্থ সঞ্চয়ের বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করাসহ দরিদ্র গর্ভবতী মাদের মধ্যে বিতরণের নিমিত্তে মায়ের ব্যাংক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এতে মাতৃ মৃত্যুহার ও নবজাতকের মৃত্যুহার কমিয়ে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ অর্জনে সহায়ক হবে বলে কর্মশালায় অভিমত ব্যক্ত করাহয়। অনুষ্ঠানে সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, কর্মকর্তা ও মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীসহ ৭৬জন অংশগ্রহণ করেন।