শুক্রবার ● ৩০ মার্চ ২০১৮
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন : রাসেল হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক রং দেওয়ার অভিযোগ
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন : রাসেল হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক রং দেওয়ার অভিযোগ
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: (১৬ চৈত্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১১.০৮মি.) রাসেল হত্যাকান্ডকে রাজনৈতিক রং দিয়ে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলমসহ দলীয় নেতাকর্মীদের হয়রানী করছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এর অংশ।
আজ শুক্রবার ৩০মার্চ সকাল ১০টায় খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন ফিরোজের নেতৃত্বাধীন অংশ আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এমন অভিযোগ করে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে রাসেল হত্যাকাণ্ডে আসল দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন ফিরোজ দাবি করেন, রাসেল কোন দিন, কখনও ছাত্রলীগের নেতা বা কর্মী ছিল না। ছাত্রলীগের কোন কমিটিতে তার নাম নেই। মামলাটিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের হয়রানীর উদ্দেশ্যে বর্তমান এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার গুটিকয়েক অনুসারী খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনের পর থেকে বিএনপি জোট সরকারের হামলা-মামলার শিকার ত্যাগী নেতাকর্মীদের কোনঠাসা করে নিজেদের পকেট ভারী করার অপ-রাজনীতির অংশ হিসেবে রাসেল হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত খুনীদের আঁড়াল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য তাকে ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বানানো হয়। কিন্তু বাস্তবে পৌর ছাত্রলীগ ও ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কমিটি পর্যালোচনা করে কোথাও তার নাম পাওয়া যায়নি। সাংবাদিক সম্মেলনে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল আলমকে আওয়ামী লীগ পরিবারে জন্ম ও বিগত ২০০৬ সালে গঠিত খাগড়াছড়ি যুবলীগের প্রথম সদস্য দাবি করে বলেন, তিনি এখনও আওয়ামী রাজনীতির আদর্শকে লালন করে ত্যাগী নেতাকর্মীদের সাথে দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় রয়েছে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ঈমান হোসেন, ফারুক আহম্মদ, প্রজ্ঞা বীর চাকম, নুরুল আলম রনি ও নাজমুল হাসান অপু প্রমূখ।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি টেকো চাকমার নেতৃত্বে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে ছাত্রলীগ কর্মী মোঃ রাসেল হত্যাকান্ডের ঘটনায় পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল আলমসহ ও তার অনুসারিদের গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।