বৃহস্পতিবার ● ৫ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » মহালছড়িতে মানববন্ধন
মহালছড়িতে মানববন্ধন
মহালছড়ি প্রতিনিধি :: (২২ চৈত্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ১০.১৯মি.) খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার বৌদ্ধ শিশুঘর স্কুল এন্ড কলেজের সুনয়ন ত্রিপুরা নামের এক এইচ,এস,সি পরীক্ষার্থীর প্রবেশ পত্র বাবদ ৫শত টাকা অনাদায়ের দায়ে পরীক্ষা অংশগ্রহন করতে না দেওয়ায় অধ্যক্ষ চাইলাপ্রু মারমা’র বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে মানববন্ধন করেছে মহালছড়ি কলেজ ছাত্রলীগ। আজ ৫ মার্চ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কলেজ প্রাঙ্গণে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি হামিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় মহালছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগ এর সভাপতি জিয়াউর রহমান জিয়া, জেলা ছাত্রলীগ এর সদস্য রোকন মিয়া, পরীক্ষা বঞ্চিত সুনয়ন ত্রিপুরাসহ ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও পরীক্ষা দিতে আসা অনেক পরীক্ষার্থী এ মানব বন্ধনে অংশগ্রহন করেন।
নেতৃবৃন্দ মানববন্ধনে অভিযোগ করে বলেন, মাত্র ৫ শত টাকার কারণে একজন গরীব ছাত্রের পরীক্ষায় অংশগ্রহনে বঞ্চিত করাতে প্রমাণিত হয় বৌদ্ধ শিশু ঘর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ চাইলাপ্রু মারমা একজন দুর্নীতিবাজ। সুনয়ন ত্রিপুরা যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণসহ অধ্যক্ষ চাইলাপ্রু মারমা’র বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবী জানান বক্তারা।
পরীক্ষা বঞ্চিত সুনয়ন ত্রিপুরা বলেন, আমি গরীব, লেখাপড়া খরচ চালানো আমার অভিভাবকের সামর্থ্য নেই। তাই আমি নিজে দিনমজুরী করে লেখাপড়া চালিয়ে আসছি। অনেক কষ্ট করে আমি টাকা যোগাড় করে ফরমপিলাপ করেছি। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, অধ্যক্ষ আমাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে দেননি। পরীক্ষার আগের দিন প্রবেশ পত্র আনতে কলেজে গেলে আমি ৫শত টাকা দিতে অপারগতা জানালে অধ্যক্ষ চাইলাপ্রু মারমা আমাকে তাড়িয়ে দেন। পরের দিন অর্থাৎ ২ মার্চ পরীক্ষার দিন আমাকে টাকা নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে বলে। আমি সময় মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত থাকলেও কলেজ অধ্যক্ষ চাইলাপ্রু মারমা পরীক্ষা কেন্দ্রে আসেন সাড়ে ১১টায়। তখন আমার পবেশ পত্র না থাকায় ডিউটিরত শিক্ষকরা আমাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি। আমার কলেজ অধ্যক্ষ অনেক দেরীতে এসে আমি প্রবেশ পত্রের কথা জানতে চেয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। সেদিন আর আমার পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হয়নি। আমি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য অনেক কাকুতি মিনতি করলে অধ্যক্ষ আমাকে তারপর দিন কেন্দ্রে আসতে বলে। সেদিনও আমি পরীক্ষা কেন্দ্রে যথাসময়ে উপস্থিত ছিলাম কিন্তু অধ্যক্ষ পরীক্ষা কেন্দ্রে আসেননি। আবার যদি পূণরায় আমার ফরম ফিলাপ করতে হয় তাহলে কিভাবে টাকা যোগাড় করবো বা আদৌ পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে কিনা ভেবে পাচ্ছিনা। একমাত্র গরীব হওয়াটাই আমার অপরাধ, এ অপরাধে আমি পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হলাম।
এ অভিযোগের বিষয়ে বৌদ্ধ শিশুঘর স্কুল এন্ড কলেজ অধ্যক্ষ চাইলাপ্রু মারমা’র সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সুনয়ন ত্রিপুরা একজন ভবঘুরে ছাত্র, সে সময়মতো প্রবেশ পত্র নিতে আসেনি। কতিপয় ব্যক্তির উস্কানিতে সে আমার বিরুদ্ধে এসব করছে।