রবিবার ● ১৩ ডিসেম্বর ২০১৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যা
স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যা
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, গাজীপুর প্রতিনিধি:: গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পাবিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রী হালিমা বেগম(৩০)কে হত্যা করে স্বামী রায়হান (৩৮) আত্মহত্যা করেছে ৷
১২ ডিসেম্বর শনিবার রাত ১১টার দিকে কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে৷
রায়হান দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ থানার তিলাপাড়া এলাকার আত্তাব আলীর ছেলে এবং হালিমা দিনাজপুর জেলার দিরামপুর থানার হোসেনপুর এলাকার আমিনুল ইসলামের মেয়ে৷
এসআই সাইফুল ও এলাকাবাসী জানান, দু’মাস আগে হালিমা বেগম দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে স্থানীয় চুন্নু মিয়ার বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নেন এবং বসবাস শুরু করেন৷ পরে স্থানীয় সফিপুরের মাহমুদ ডেনিমস লিমিটেড নামের একটি পোশাক তৈরির কারখানায় চাকরি নেয়৷ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অমিল থাকায় হালিমা আক্তার একাই সন্তান নিয়ে এখানে বসবাস শুরু করেন৷ এর মধ্যে স্বামী রায়হানকে বাড়ির লোকজন কখনো দেখেনি৷ রায়হান সফিপুর এলাকায় রিকশা চালাতেন৷
স্ত্রী হালিমার সঙ্গে পারিবারিক কলহের জের ধরে রায়হান শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি ধারালো চাকু নিয়ে ভাড়া বাসার কাছে অপেক্ষা করতে থাকে৷ হালিমা আক্তার রাতের কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে স্বামী তাকে জাপটে ধরে ধারালো চাকু দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে৷ ওই সময় তার বড় মেয়ে এগিয়ে আসলে তাকেও চাকু দিয়ে কোপাতে গেলে মেয়ে পালিয়ে যায়৷ পরে স্ত্রী হালিমা আক্তারকে খুন করে রায়হান নিজেই পেটের নিচে চাকু ঢুকিয়ে দিয়ে আত্মহত্যা করে৷ পরে এলাকাবাসী স্বামী ও স্ত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয় সফিপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিত্সক দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন৷
এসআই সাইফুল বলেন, ছুরিটি রায়হানের পেটে আটকানো অবস্থায় পাওয়া গেছে৷ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে৷
কালিয়কৈর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোতালেব মিয়া বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী আত্মহত্যা করেছে৷ তাদের রানু (১৪) ও মুন্নুজান (১১) নামে দুটি মেয়ে এবং খালেদ (৫) নামে একটি ছেলে রয়েছে ৷
পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ (শতামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে৷
সফিপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিত্সক মো. রিফায়েজ মাহমুদ জানান, রাত ১১টার দিকে দু’জনকেই এলাকাবাসী হাসপাতালে নিয়ে আসেন৷ আসার পথেই তাদের মৃত্যু হয়৷