শনিবার ● ৭ এপ্রিল ২০১৮
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতার জিডি
বিশ্বনাথে পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতার জিডি
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: (২৪ চৈত্র ১৪২৪ বাঙলা: বাংলাদেশ সময় রাত ৩.০৪মি.) দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘‘যুবলীগ নেতার আস্তানায় দেহ ব্যবসা, পতিতা আটক’’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ ফেইসবুকে শেয়ার করার সিলেটের বিশ্বনাথে যুগান্তরের স্থানীয় প্রতিনিধি’সহ ৩ নিজের নাম উল্লেখ করে ৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে থানায় সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেন যুবলীগ নেতা রুহেল খান। ৬ এপ্রিল শুক্রবার দুপুর ১২টর দিকে ওই ৩ জনের একজন সিএনএন বাংলা টিভির বিশ্বনাথ প্রতিনিধি ও বাচাঁও বাসিয়া ঐক্য পরিষদের আহবায়ক ফজল খানকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে হামলা করার চেষ্ঠা করেন যুবলীগ নেতার পিতা ওয়ারিছ খান।
এরপর শুক্রবার সন্ধ্যায় সেই পিতা-পুত্রের (ওয়ারিছ খান ও রুহেল খান) বিরুদ্ধে ভাড়াটিয়া লোক কিংবা তারা নিজেরা তাকে (ফজল) হত্যা করতে পারে ও মিথ্যা মামলায় জড়াতে পারে মর্মে অভিযোগ এনে থানায় সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেছেন। ডায়েরী নং ৬.০৪.১৮ইং। ডায়েরীতে উল্লেখ রয়েছে ২০১৭ সালের ১২ ও ১৫ জুলাই তারিখে ০১৭৯৭-৩২৩২৮২ নাম্বার থেকে ফজল খানকে হত্যার হুমকি দিয়ে ছিলেন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ছিলেন ওই ওয়ারিছ খান। নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে সাংবাদিক ফজল খান ১৮.০৭.২০১৮ইং তারিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে অভিযোগ দিয়ে ছিলেন। যার অনুলিপি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি)’কে প্রদান করা হয়।
সাধারণ ডায়েরীতে ফজল খান উল্লেখ করেছেন, গত ৫ এপ্রিল পতিতা’সহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। ওই ঘটনায় দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘‘যুবলীগ নেতার আস্তানায় দেহ ব্যবসা, পতিতা আটক’’ শিরোনামে সংবাদটি অনলাইনে প্রচার হইলে ফজল খান রাত ৯.৪৮ মিনিটে তার ফেইসবুক আইডিতে শেয়ার করেন। ৬ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে ফজল খান জানতে পারেন যুবলীগ নেতা রুহেল খান ও তার পিতা ওয়ারিছ খান থানায় ফজল খান’সহ পত্রিকার প্রতিবেদক আশিক আলী ও পাঠক আবদুল হকের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরী করেন। এর সত্যতা জানার জন্য থানায় আসলে ফজল খান দেখতে পান থানার সকল অফিসাররা নামাজে রয়েছেন। ফলে ফজল খান নিজের এক সহকর্মীকে সাথে নিয়ে থানার পার্শ্ববর্তী ভোজন ঘর রেষ্টুরেন্টে অপেক্ষা করতে থাকেন। এমতাবস্থায় হঠাং ওয়ারিছ খান তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ফজল খানের উপর হামলা চালান, তবে স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পান ফজল। পরবর্তীতে ফজল খান আবার রেষ্টুরেন্টের সামনে আসলে তাকে (ফজল) উপস্থিত লোকজনের সামনে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এগিয়ে আসলে (ফজলের দিকে) উপস্থিত লোকজন বিবাদী ওয়ারিছ খানকে আটকে রাখেন। এরপর স্থানীয়দের সহযোগীতায় ও সাধারণ ডায়েরী দায়ের করতে ফজল খান থানা গিয়ে অবস্থান নেন। থানায় সাধারণ ডায়েরী দায়ের করার জন্য ফজল খান অপেক্ষা করা অবস্থায় ওয়ারিছ খান থানায় গিয়েও ফজল খানকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। তাই নিজের ও পরিবারের লোকজনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরী দায়ের করার পাশাপাশি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন ফজল খান।